Logo
Logo
×

শেষ পাতা

জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের বিবৃতি

ইইউ পার্লামেন্টের প্রস্তাব বিচারিক কাজে হস্তক্ষেপ

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

ইইউ পার্লামেন্টের প্রস্তাব বিচারিক কাজে হস্তক্ষেপ

বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির ‘অবনতি’ নিয়ে ইউরোপীয় পার্লামেন্টে প্রস্তাব গৃহীত হওয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিচারকদের সংগঠন বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন। সংগঠনটির সভাপতি এইচএম হাবিবুর রহমান ভুঁইয়া ও সাধারণ সম্পাদক মো. মজিবুর রহমান সোমবার এক বিবৃতিতে বলেন, ১৪ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি, বিশেষ করে ‘অধিকারের’ বিরুদ্ধে মামলা নিয়ে ইউরোপীয় পার্লামেন্টে প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে। বিষয়টি বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের নজরে এসেছে। আমরা এই প্রস্তাবে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। কারণ, এটি একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশের বিচারিক প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপের চেষ্টা, যা অপ্রত্যাশিত ও অন্যায্য।

বিবৃতিতে তারা বলেন, এটি উল্লেখ করা জরুরি যে বিদ্যমান আইন কঠোরভাবে অনুসরণ করে এবং বাস্তব প্রমাণের ভিত্তিতে নিরপেক্ষভাবে ও নিষ্ঠার সঙ্গে মামলা পরিচালনা করেছেন আদালত। বাহ্যিক কোনো উৎস থেকে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ কোনো প্রভাব ছাড়াই এ রায় দেওয়া হয়েছে।

ইউরোপীয় পার্লামেন্টের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে বিবৃতিতে বলা হয়, ২০০৭ সালের ১ নভেম্বর বাংলাদেশের নির্বাহী বিভাগ থেকে আলাদা হওয়ার পর বিচার বিভাগ সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে পরিচালিত হচ্ছে। বিচারিক প্রক্রিয়ার সঙ্গে নির্বাহী কার্যক্রমের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। তাই ইউরোপীয় পার্লামেন্টের প্রস্তাবকে বিচারিক কার্যক্রমের ওপর নগ্ন হস্তক্ষেপ হিসাবে দেখছে জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন।

উল্লেখ্য, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) আইনের ৫৭ ধারার একটি মামলায় ১৪ সেপ্টেম্বর ‘অধিকার’ সম্পাদক আদিলুর রহমান খান এবং পরিচালক এএসএম নাসির উদ্দিন এলানকে দুই বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার একটি আদালত। ২০১৩ সালের ৫ মে মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযান নিয়ে অসত্য ও বিকৃত তথ্য প্রচারের অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে এই মামলা হয়েছিল।

ওইদিনই বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে উল্লেখ করে গভীর উদ্বেগ জানিয়ে ইউরোপীয় পার্লামেন্টে প্রস্তাব গৃহীত হয়। তাতে দুইজনকে কারাদণ্ড দিয়ে রায়ের নিন্দা জানানো হয়। পাশাপাশি অবিলম্বে তাদের নিঃশর্ত মুক্তি দিতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম