জেএসসি বাতিল
আগামী বছর এইচএসসি সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২১ জুন ২০২৩, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
আগামী বছরের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষাও পুনর্বিন্যাস করা সিলেবাসে নেওয়া হবে। চলতি বছর ছাত্রছাত্রীরা যে সিলেবাস অনুসরণ করছে, সেটিই অনুসৃত হবে তাদের (২০২৪ সালে) ক্ষেত্রে। তবে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা পূর্ণাঙ্গ সিলেবাসেই নেওয়া হবে। চলতি বছর এ পরীক্ষাটি পুনর্বিন্যাস করা সিলেবাসে নেওয়া হয়।
১৭ আগস্ট এ পরীক্ষা শুরু হচ্ছে। অন্যদিকে অষ্টম শ্রেণির সমাপনী বা জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা একেবারেই বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগামী বছর থেকে এ পরীক্ষাটি আর নেওয়া হবে না। তবে এ বছর পরীক্ষাটি স্কুলে ও মাদ্রাসায় নেওয়া হবে। যে নিয়মে ২০১৯ সাল পর্যন্ত পরীক্ষাটি নেওয়া হয়েছে সেভাবে প্রশ্ন করে শিক্ষকরাই পরীক্ষাটি নেবেন।
এজন্য শিক্ষার্থীরা যথারীতি বোর্ডে রেজিস্ট্রেশন করবে। এর ভিত্তিতে নিজ নিজ বোর্ড থেকে তারা সনদ পাবে। মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে এক সভায় এ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ও আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক তপন কুমার সরকার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
উল্লিখিত সভায় আরও একটি সিদ্ধান্ত হয়েছে। সেটি হচ্ছে, এখন থেকে ২৫ বছর বয়স পর্যন্ত প্রতিবন্ধীরা পরীক্ষা দিতে পারবে। এজন্য বোর্ড থেকে আগের মতো অনুমতি নেওয়ার দরকার হবে না। এছাড়া যেহেতু জেএসসি-জেডিসি বা জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা হচ্ছে না তাই তাদের জন্য বরাদ্দ জুনিয়র মেধাবৃত্তি কীভাবে দেওয়া যেতে পারে তা আলোচনা হয়েছে। স্কুলে বার্ষিক পরীক্ষার ফল, খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিকসহ শিক্ষা সহায়ক কার্যক্রমে অংশগ্রহণ, নিয়মানুবর্তিতাসহ বিভিন্ন বিষয় বিবেচনায় এ বৃত্তি দেওয়া যেতে পারে বলে বৈঠকে উল্লেখ করেন শিক্ষামন্ত্রী। কিন্তু সিদ্ধান্ত হয়নি।
জানা গেছে, পুনর্বিন্যাস করা সিলেবাসে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা নেওয়া হলেও ১০০ নম্বরেই তাদের পরীক্ষা নেওয়া হবে। পাশাপাশি প্রশ্নের উত্তরও সাধারণ সময়ের মতো দিতে হবে। অর্থাৎ, এমসিকিউ এবং সৃজনশীল প্রশ্নের সংখ্যা আগের মতোই থাকছে। শুধু ছোট সিলেবাস অনুসরণ করা হবে।
চলতি বছর ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রমের পাঠ্যবই দেওয়া হবে। এর ধারাবাহিকতায় আগামী বছর অষ্টম ও নবম শ্রেণিতেও যাচ্ছে নতুন পাঠ্যবই। নতুন শিক্ষাক্রমে মূল্যায়ন পদ্ধতি ভিন্নরকম, যা গতানুগতিক পরীক্ষা নয়। তাই জেএসসি পরীক্ষা বাতিল করা হলেও তাদের ধারাবাহিক মূল্যায়ন আর অভ্যন্তরীণ পরীক্ষা হবে।
সভায় সভাপতিত্ব করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। এতে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোলেমান খান, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. ফরহাদুল ইসলাম, মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক হাবিবুর রহমান, বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক কায়সার আহমেদ, কারিগরি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. মহসিনসহ সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।