যুক্তরাষ্ট্রে বন্ধের ঝুঁকিতে আরও ছয় ব্যাংক
এক দিনে ১০ হাজার কোটি ডলারের পতন ২০ ব্যাংকের লেনদেন বন্ধ
যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ১৫ মার্চ ২০২৩, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
যুক্তরাষ্ট্রে বন্ধের ঝুঁকিতে রয়েছে আরও ছয় ব্যাংক। এগুলো হলো-ফার্স্ট রিপাবলিক ব্যাংক (এফআরসি.এন), জিয়নস ব্যাংক করোরেশন (জিয়ন.ও), ওয়েস্টার্ন অ্যালায়েন্স ব্যানকর্প (ডব্লিউএএল.এন), ক্যামেরিয়া ইনক (সিএমএ.এন), ইউএমবি ফিনান্সিয়াল করপ ও ইনট্রাস্ট ফিনান্সিয়াল কনপোরেশন। রেটিং এজেন্সি মুডিস এ তথ্য জানিয়েছে। এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রে মাত্র একদিনে ১০ হাজার কোটি ডলারের বেশি মূল্যপতন হয়েছে ব্যাংকগুলোতে। একে বলা হচ্ছে ওয়াল স্ট্রিটে রক্তক্ষরণ হিসাবে। তবে হোয়াইট হাউজের সাবেক একজন উপদেষ্টা একে ‘বরফ চাঁইয়ের মাত্র অগ্রভাগ’ বলে মন্তব্য করেছেন। রয়টার্স ও ডেইলি মেইল। মাত্র এক দিনেই ওয়াল স্ট্রিটে আঞ্চলিক ব্যাংকগুলোতে মূল্যপতন হয়েছে শতকরা ৬০ ভাগ। এমন আতঙ্ক পেয়ে বসায় অর্থ নিয়ন্ত্রকদের হস্তক্ষেপে লেনদেনের গতি কমপক্ষে ২০টি আঞ্চলিক ব্যাংকে তাৎক্ষণিকভাবে বন্ধ ছিল। সোমবার সিটি গ্রুপের শেয়ারের মূল্য পড়ে গেছে শতকরা ৭.৪৫ ভাগ। ওয়েলস ফারগোর পতন হয়েছে শতকরা ৭.১ ভাগ, ব্যাংক অব আমেরিকার পতন হয়েছে শতকরা ৫.৮ ভাগ এবং জেপি মর্গানের পতন হয়েছে শতকরা ১.৮ ভাগ।
সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত আঞ্চলিক ব্যাংক হলো ফার্স্ট রিপাবলিক। তাদের শেয়ারের পতন হয়েছে শতকরা ৬২ ভাগ। ওয়েস্টার্ন এলায়েন্স শতকরা ৪৭ ভাগ লোকসান দেয়ার পর লেনদেন বন্ধ হয়ে যায়। কি-কর্পের শেয়ারের পতন হয়েছে শতকরা ২১ ভাগ।
বাজারব্যবস্থা খোলার আগে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন মার্কিনিদের আশ্বস্ত করেছেন। তিনি বলেছেন, ব্যাংকিং ব্যবস্থা নিরাপদ আছে। এ বিষয়ে আস্থা থাকতে হবে মার্কিনিদের। কিন্তু তিনি এ বিষয়ে হস্তক্ষেপের কয়েক মিনিট আগেই ওয়াল স্ট্রিটে পতন শুরু হয়। ট্রাম্প আমলে হোয়াইট হাউজের সাবেক উপদেষ্টা স্টিভ মুর সতর্ক করেছেন এই বলে যে, এসভিবি হতে পারে বরফ চাঁইয়ের মাত্র অগ্রভাগ। বাইডেন চার ট্রিলিয়ন ডলারের কোভিড স্টিমুলেশন প্যাকেজ ঘোষণার পর এই দুর্বল অবস্থা প্রকাশিত হয়েছে।
শুক্রবার আকস্মিত পতন হয় যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিতীয় বৃহৎ ব্যাংক এসভিবির। বিনিয়োগকারীরা এ সময় পাগলের মতো তাদের তহবিল প্রত্যাহার করে নিচ্ছিলেন। তাদের মধ্যে ভয় ঢুকে যায় যে, ফেডারেল রিজার্ভের হার যেভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে তা আর সঠিক পথে রাখা সম্ভব হবে না।