৩২ বিশ্ববিদ্যালয়ে এবারও গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা
![Icon](https://cdn.jugantor.com/uploads/settings/icon_2.jpg)
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০৮ এপ্রিল ২০২২, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
![৩২ বিশ্ববিদ্যালয়ে এবারও গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা](https://cdn.jugantor.com/assets/news_photos/2022/04/08/image-539018-1649371621.jpg)
এবারও বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্সে গুচ্ছপদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া হবে। এতে দেশের ৩২টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় তিনটি গুচ্ছে অংশ নেবে। গুচ্ছগুলো হচ্ছে- সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি (জিএসটি), প্রকৌশল এবং কৃষি ও কৃষিপ্রধান। গত বছরও এ তিনটি গুচ্ছেই ভর্তি হয়েছিল। তবে তখন বিশ্ববিদ্যালয় ছিল ২৯টি। এবার নতুন যুক্ত হয়েছে কিশোরগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়, চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। প্রথম দুটি জিএসটি আর শেষেরটি কৃষি গুচ্ছে যুক্ত হবে।
বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনে (ইউজিসি) অনুষ্ঠিত এক সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়েছে। আজ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের সংগঠন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদের বৈঠক আছে। সেখানে ভর্তি পরীক্ষার সময়সূচি নির্ধারণ করা হবে।
সভায় সভাপতিত্ব করেন ইউজিসির চেয়ারম্যান (রুটিন দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. দিল আফরোজা বেগম। সংস্থাটির সদস্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর, অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দ, অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের, কমিশনের সচিব ড. ফেরদৌস জামান, জনসংযোগ ও তথ্য অধিকার বিভাগের পরিচালক ড. শামসুল আরেফিন, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ম্যানেজমেন্ট বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ জামিনুর রহমানসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া সরাসরি ও ভার্চুয়ালি মিলিয়ে এতে ৩৬ টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও তাদের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
ড. দিল আফরোজা বেগম গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী বিশ্ববিদ্যালয়কে সাহসী ভূমিকা পালনের জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার বাইরে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে গুচ্ছ পদ্ধতিতে নিয়ে আসার চেষ্টা করা হবে। এক্ষেত্রে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন। দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার জন্য ভারতের ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সির (এনটিএ) আদলে একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সরকারের নীতিনির্ধারণী মহলে অবগত করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
অধ্যাপক আলমগীর বলেন, গুচ্ছপদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা ক্রমান্বয়ে বাড়াতে হবে। তিনি গুচ্ছপদ্ধতিতে কেন্দ্রীয়ভাবে সাবজেক্ট পছন্দ ও মাইগ্রেশনের সুযোগ দেওয়া এবং যৌক্তিকভাবে ভর্তি পরীক্ষার ফি নির্ধারণের পরামর্শ দেন।
সভায় শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদউদ্দিন আহমেদ বলেন, গুচ্ছপদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ অনেকাংশে লাঘব হয়েছে। কিছু সীমাবদ্ধতা থাকলেও এ পদ্ধতিতে পরীক্ষার সফলতার মাত্রা অনেক বেশি। এবছর ভর্তি পরীক্ষা পদ্ধতি সহজ করা হবে এবং এবছর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে বিভিন্ন কলেজে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে বলে তিনি জানান।