ধানমন্ডিতে মধ্যরাতে বন্ধুসহ অভিনেত্রী স্পর্শিয়া আটক
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২২ জানুয়ারি ২০২২, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
বেপরোয়া গাড়ি চালানো এবং পুলিশের সঙ্গে অসদাচরণ করায় মধ্যরাতে মডেল অভিনেত্রী অর্চিতা স্পর্শিয়া ও তার বন্ধু প্রাঙ্গন দত্ত অর্ঘকে (৩৩) আটক করে ধানমন্ডি থানা পুলিশ। পরে প্রাঙ্গন মুচলেকা দিলে ছাড়া পান তারা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাতে ধানমন্ডির ৮/এ রোডে ইউনিমার্ট শপিং সেন্টার এলাকায় ধানমন্ডি থানার এসআই মাহবুব উল আলম এবং এসআই মাইনুল ইসলাম টহল ডিউটিতে ছিলেন। রাত ১১টার দিকে আবাহনী মাঠের দিক থেকে জিগাতলার দিকে একটি অভিজাত প্রাইভেট কার (ঢাকা মেট্রো-ঘ-১৭-৪০৭২) বেপরোয়া গতিতে যাচ্ছিল।
ইউনিমার্টের সামনের সড়কে একটি অটোরিকশায় ধাক্কা দেওয়ার উপক্রম হয়েছিল গাড়িটি। এসআই মাহবুব গাড়িটি থামার সংকেত দিলে গাড়িটি থামানো হয়। ওই গাড়িতে ছিলেন অভিনেত্রী স্পর্শিয়া ও তার বন্ধু প্রাঙ্গন দত্ত অর্ঘ। অর্ঘ গাড়ি চালাচ্ছিলেন আর পাশের সিটে ছিলেন স্পর্শিয়া। তাদের গাড়ি কেনো থামানো হয়েছে, এমন প্রশ্ন করে পুলিশের সঙ্গে অসদাচরণ করেন তারা।
এ সময় তারা মদ্যপ অবস্থায় আছেন কি-না- প্রাঙ্গনের কাছে জানতে চায় পুলিশ। প্রাঙ্গন বলেন, তার মদপানের লাইসেন্স রয়েছে। কিন্তু তখন লাইসেন্স দেখাতে পারেননি। এক পর্যায়ে গাড়িসহ তাদের ধানমন্ডি থানায় নেওয়া হয়। পরে রাতেই প্রাঙ্গন মুচলেকা দেন থানায়। এরপর স্পর্শিয়া ও তিনি ছাড়া পান। মদ্যপ অবস্থায় থাকার কথা মুচলেকায় উল্লেখ করেন। অবশ্য মুচলেকায় স্পর্শিয়ার নাম উল্লেখ করেননি।
এসআই মাহবুব বলেন, গাড়ি কেনো থামানো হয়েছে, এই প্রশ্ন তুলে প্রাঙ্গন খারাপ আচরণ করেন। স্পর্শিয়াও চিৎকার চেঁচামেচি করছিলেন। অবশ্য আমরা তার সঙ্গে কথা বলিনি। যেহেতু প্রাঙ্গন মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালাচ্ছিলেন তাই তাকেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে সিনিয়র স্যারদের সঙ্গে কথা বলে থানায় নেওয়া হয়।
ধানমন্ডি থানার ওসি ইকরাম আলী মিয়া বলেন, দ্রুতগতিতে গাড়ি চালানোর কারণে পুলিশ গাড়ি থামিয়ে প্রাঙ্গনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। গাড়িতে স্পর্শিয়া ছিল। তারা পুলিশের সঙ্গে অসদাচরণ করেন। এ কারণে তাদের থানায় নেওয়া হয়েছিল। রাতেই মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
অভিনেত্রী স্পর্শিয়া যুগান্তরকে বলেন, একটি পারিবারিক প্রোগ্রাম থেকে রাত ১১টার পর আমরা ফিরছিলাম। আমাদের গাড়ির গতি ছিল ৬০ কিলোমিটার। এ গতিকে পুলিশ বেপরোয়া গতি বলছে। তারা প্রাঙ্গনকে থানায় যেতে বলে, আর আমাকে বাসায় চলে যেতে বলে। আমি জেদ করেই প্রাঙ্গনের সঙ্গে থানায় যাই।
এরপর প্রাঙ্গনকে আলাদা রুমে নিয়ে কথা বলে পুলিশ। পরে মুচলেকা দিয়ে, নাকি কিভাবে ছাড়া পেয়েছে আমি তা জানি না। রাত ৩টার দিকে আমরা একসঙ্গে থানা থেকে বেরিয়ে আসি। তবে নিজে মদ্যপ থাকার বিষয়টি অস্বীকার করেন স্পর্শিয়া।