Logo
Logo
×

শেষ পাতা

এসপির বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা নারী সহকর্মীর

রাজধানীর উত্তরা পূর্ব থানাকে তদন্তের নির্দেশ

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ১২ আগস্ট ২০২১, ০২:০০ পিএম

প্রিন্ট সংস্করণ

এসপির বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা নারী সহকর্মীর

পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পুলিশ সুপার (এসপি) মোক্তার হোসেনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেছেন এক নারী পুলিশ পরিদর্শক।

ঢাকার সপ্তম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোছা. কামরুন্নাহারের আদালতে বৃহস্পতিবার মামলাটি করা হয়।

আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে অভিযোগটি উত্তরা পূর্ব থানার ভ্যারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) এজাহার হিসাবে গ্রহণ করে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। বাদীপক্ষের আইনজীবী সালাহ উদ্দিন খান যুগান্তরকে এসব তথ্য জানিয়েছেন।

ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আফরোজা আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন, বিয়ের আশ্বাস দিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে এসপি মোক্তার হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা নেওয়ার আবেদন করেন পুলিশ পরিদর্শক পদমর্যাদার একজন নারী পুলিশ কর্মকর্তা। আদালত বাদীর জবানবন্দি, অন্যান্য তথ্য-উপাত্ত পর্যালোচনা করে ওই নারীর অভিযোগে এজাহার হিসাবে নেওয়ার জন্য উত্তরা-পূর্ব মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন। পিপি আরও জানান, অভিযুক্ত পুলিশ সুপার মোক্তার হোসেন এখন বাগেরহাটে পিবিআইতে কর্মরত।

অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য জানতে মোক্তার হোসেনকে কয়েক দফা ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি। তবে পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদার যুগান্তরকে বলেন, আদালতের নির্দেশে মামলা হয়েছে, সে অনুযায়ী তদন্ত হবে। তদন্তেই সব জানা যাবে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ওই নারী পুলিশ পরিদর্শক মামলা করার আগে পিবিআইতে কোনো অভিযোগ করেননি।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, এসপি মোক্তার হোসেন ২০১৯ সালের মে মাসে সুদানে জাতিসংঘের শান্তি মিশনে বাংলাদেশ পুলিশের কন্টিনজেন্টের কমান্ডার হিসাবে নিযুক্ত হন। আর ওই নারী পুলিশ কর্মকর্তা আগের থেকেই মিশনে কর্মরত ছিলেন। এ কারণে মিশন সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে বাদীর পূর্ব অভিজ্ঞতা ছিল। সেই অজুহাতে সহযোগিতার কথা বলে মোক্তার হোসেন ওই নারী কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করতেন। এক পর্যায়ে বিভিন্ন অজুহাতে তার বাসায় যাতায়াত শুরু করেন বলে বাদীর ভাষ্য।

আর্জিতে বাদী বলেছেন, ২০১৯ সালের ২০ ডিসেম্বর দুপুরে তার বাসায় তাকে ধর্ষণ করেন মোক্তার হোসেন। ওই ঘটনা কাউকে না জানানোর জন্য হুমকি দিয়ে সেদিন চলে যান মোক্তার। পরে ২২ ডিসেম্বর আবারও ওই বাসায় গিয়ে প্রথমে ‘ভুল হয়েছে; বলে ক্ষমা চান এবং তারপরই আবারও ‘ধর্ষণ’ করেন।

আর্জিতে বলা হয়েছে, বাদীকে ‘মুখে মুখে কলেমা পড়ে বিয়ের প্রলোভন’ দেখিয়েছিলেন আসামি। পরে ছুটিতে দেশে ফিরে ২০২০ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি রাতে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ঢাকার উত্তরার একটি হোটেলে নিয়ে তাকে আবারও ধর্ষণ করেন। পরে ওই বছরের ২৬ জুন থেকে ৩০ জুন সুদানের খার্তুমের একটি হোটেলে এবং ১০ নভেম্বর থেকে ১৩ নভেম্বর ঢাকার উত্তরার ওই হোটেলে ৩০৬ নম্বর কক্ষে আবারও তাকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ করেছেন বাদী।

তিনি আর্জিতে লিখেছেন, দেশে ফেরার পর তিনি বিয়ে নিবন্ধনের তাগিদ দিলে আসামি টালবাহানা শুরু করেন। ২০২১ সালের ১২ এপ্রিলে বাদী রাজারবাগে আসামির বাসায় উপস্থিত হয়ে বিয়ে রেজিস্ট্রি ও কাবিননামা সম্পন্ন করতে বললে আসামি তাতে অস্বীকৃতি জানান। আসামির বাসায় তার স্ত্রী এবং পরিবারের অন্য সদস্যরা উত্তেজিত হয়ে সেদিন বাদীকে মারধর করেন বলেও আর্জিতে অভিযোগ করা হয়েছে। মহামারিতে আদালত বন্ধ থাকায় মামলা করতে বিলম্ব হয়েছে বলে আর্জিতে উল্লেখ করেছেন বাদী।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম