
প্রিন্ট: ১৩ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৪৭ পিএম

যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ৩০ জানুয়ারি ২০২০, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

আরও পড়ুন
দেশের বিভিন্ন স্থানে ৫ শিশু শিক্ষার্থীসহ ৭ জন ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এসব ঘটনায় ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এরমধ্যে নোয়াখালীর সুবর্ণচরে প্রতিবন্ধী ও বেগমগঞ্জে তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। টাঙ্গাইলের দেলদুয়ারে তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী, কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে প্রথম শ্রেণির, ভোলার চরফ্যাশনে চতুর্থ শ্রেণির এবং বরগুনার পাথরঘাটায় পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এসব ঘটনায় আরও দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়া মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে ওরসে ৬ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণ করে স্থানীয় এক বখাটে। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-
নোয়াখালী : মঙ্গলবার সকালে সুবর্ণচর উপজেলার চর হাসানে প্রতিবন্ধী চাচাতো বোনকে (১১) নিজের ঘরে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করে রাকিব (২১)। এ ঘটনায় শিশুটির মা বাদী হয়ে চর জব্বর থানায় মামলা করেছেন। পুলিশ ধর্ষক রাকিবকে গ্রেফতার করেছে। একই দিন বেগমগঞ্জ থানার রাজগঞ্জ ইউনিয়নের তেতিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্রীকে (৯) ধর্ষণ করে দর্জি আবুল খায়ের।
জামা সেলাইয়ের জন্য কালিরহাট বাজারে তার দোকানে গেলে আবুল খায়ের কৌশলে তাকে দোকানের পেছনের কক্ষে নিয়ে ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় দর্জি আবুল খায়েরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শিশুটিকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
দেলদুয়ার (টাঙ্গাইল) : দেলদুয়ার উপজেলার ফাজিলহাটী ইউনিয়নের ফাজিলহাটী গ্রামে তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে বাড়ির পাশে জমি থেকে গরুর জন্য ঘাস আনতে গেলে শিশুটিকে একা পেয়ে ধর্ষণ করে প্রতিবেশী মৃত শামছুল হকের ছেলে এমদাদুল হক (৫৫)। এদিন রাতেই ধর্ষক এমদাদুলকে আটক করেছে পুলিশ। শিশুটিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদিকে ঘটনাটি সামাজিকভাবে মীমাংসার জন্য স্থানীয় এক ইউপি সদস্য বাদীপক্ষকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে বলে অভিযোগ করেছেন ভিকটিমের মা।
কুড়িগ্রাম ও নাগেশ্বরী : নাগেশ্বরী উপজেলার বল্লভের খাস ইউনিয়নের বেরুবাড়ি গ্রামে প্রথম শ্রেণির এক শিশুকে (৭) ধর্ষণের অভিযোগে হবিবর রহমান হবি নামে ষাটোর্ধ্ব এক ব্যক্তিকে মঙ্গলবার রাতে আটক করেছে কচাকাটা থানা পুলিশ। বুধবার সকালে তাকে কুড়িগ্রাম আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
পরিবারের লোকজন জানায়, মঙ্গলবার শিশুটিকে টাকার প্রলোভন দেখিয়ে হবিবর রহমান হবি তাকে বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। অসুস্থ ও রক্তাক্ত মেয়েটি বাড়িতে গিয়ে বাবা-মাকে জানালে শিশুটিকে চিকিৎসার জন্য কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
চরফ্যাশন (ভোলা) : চরফ্যাশনে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ৭ মাস ধরে ধর্ষণের ফলে চতুর্থ শ্রেণির এক শিক্ষার্থী অন্তঃসত্ত্বা হয়েছে। এ ঘটনায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ওই ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে নির্মাণ শ্রমিক আওলাদকে আসামি করে চরফ্যাশন থানায় মামলা করেছেন। অভিযুক্ত ধর্ষক আওলাদ এওয়াজপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের আবদুল মালেকের ছেলে। সে পলাতক রয়েছে। চরফ্যাশন থানার ওসি সামসুল আরেফিন জানান, আওলাদকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
পাথরঘাটা (বরগুনা) : পাথরঘাটায় পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে সত্তরোর্ধ্ব বৃদ্ধ মোসলেম আলী খানের বিরুদ্ধে। এতে ওই ছাত্রী অন্তঃসত্ত্বা হয়েছে বলেও অভিযোগ। এ ঘটনায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ওই ছাত্রীর নানা পাথরঘাটা থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযুক্ত মোসলেম আলী খান উপজেলার কালমেঘা ইউনিয়নের ছোটপাথরঘাটা গ্রামের মৃত আফতাব উদ্দিন খানের ছেলে। ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রী জানায়, মোসলেম আলী তাকে পেয়ারা খাওয়ানোর কথা বলে ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করে।
শ্রীনগর (মুন্সীগঞ্জ) : ২৫ জানুয়ারি রাতে উপজেলার নাগরভাগ গ্রামে ইসমাইল শাহ চিশতীর তিন দিনব্যাপী ওরসে ৬ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণ করেছে জুয়েল নামে এক বখাটে। এ ঘটনায় ধর্ষিতার বাবা বাদী হয়ে বুধবার বিকালে শ্রীনগর থানায় মামলা করেছেন। জুয়েল (২৪) হোগলাগাঁও গ্রামের কফিল উদ্দিনের ছেলে। পুলিশ ভিকটিমকে উদ্ধার করে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেছে।
সাভার (ঢাকা) : আশুলিয়ায় একটি কওমি মাদ্রাসার ১২ বছর বয়সী ছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে একই মাদ্রাসার শিক্ষক ছলিম আহমদকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় থানায় মামলার পর বুধবার তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এর আগে মঙ্গলবার রাতে আশুলিয়ার ভাদাইল পবনারটেক এলাকার মারকাজুল কুরআন ও সুন্নাহ মাদ্রাসা থেকে ওই শিক্ষককে গ্রেফতার করা হয়। শিক্ষক ছলিম আহমদ মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা থানাধীন মাইজগ্রাম এলাকার সমছ উদ্দিনের ছেলে।