কোরিয়ার ঋণে ডিজিটালাইজ হচ্ছে ভূমি ব্যবস্থাপনা
হামিদ-উজ-জামান
প্রকাশ: ০৪ জুন ২০১৮, ০২:০০ পিএম
প্রিন্ট সংস্করণ
স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও গতিশীলতা বৃদ্ধি করে ভূমি মালিকানার অধিকার নিশ্চিত করতে ডিজিটালাইজ করা হচ্ছে দেশের ভূমি ব্যবস্থাপনা। এর মধ্য দিয়ে ভূমি জরিপ, ম্যাপ ও খতিয়ান ডিজিটাইজেশন করা হবে। ফলে দুর্নীতি ও হয়রানি কমবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। এ লক্ষ্যে ‘এস্টাবলিশমেন্ট অব ডিজিটাল ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (ডিএলএমএস) থ্রো ডিজিটাল সার্ভে অ্যান্ড সেটেলমেন্ট অপারেশন অব থ্রি সিটি কর্পোরেশন, ওয়ান পৌরসভা অ্যান্ড টু রুরাল উপজেলা অব বাংলাদেশ’ শীর্ষক একটি প্রকল্প প্রস্তাব করা হয়েছে পরিকল্পনা কমিশনে। এটি বাস্তায়নে ব্যয় হবে ৩৫১ কোটি ৮৬ লাখ ২২ হাজার টাকা। এর মধ্যে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে ৭০ কোটি ৮২ লাখ টাকা এবং কোরিয়ান সহযোগিতা সংস্থা ইডিসিএফ এবং কোরিয়ান এক্সিম ব্যাংকের ঋণ থেকে ২৮১ কোটি ৩ লাখ টাকা ব্যয় করা হবে। পরিকল্পনা কমিশনের দায়িত্বশীল একাধিক কর্মকর্তা যুগান্তরকে জানান, ভূমি মন্ত্রণালয় থেকে প্রস্তাব পাওয়ার পর ইতিমধ্যেই প্রকল্পটি অনুমোদন প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করা হয়েছে। জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) আগামী বৈঠকে উপস্থাপনের প্রস্তুতি নিয়েছে কমিশন। অনুমোদন পেলে চলতি বছর থেকে ২০২১ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে এটি বাস্তবায়ন করবে ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদফতর। এ প্রসঙ্গে পরিকল্পনা কমিশনের কৃষি, পানিসম্পদ ও পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগের সদস্য এএন সামসুদ্দিন আজাদ চৌধুরী একনেকের জন্য তৈরি করা সারসংক্ষেপে উল্লেখ করেছেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে দেশের ভূমি ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও গতিশীলতা বৃদ্ধি করা সম্ভব হবে। ফলে জনসাধারণকে ভূমি ব্যবস্থাপনা সম্পর্কিত উন্নততর সেবা দেয়া যাবে।
প্রকল্পের আওতায় প্রধান কার্যক্রমগুলো হচ্ছে- প্রকল্প এলাকায় ডিজিটাল ক্যাডাস্ট্রাল ফিল্ড সার্ভে পরিচালনা, সার্ভে পরিচালনার জন্য ১৬০টি ইটিএস, ১৬০টি টোটাল সার্ভে সিস্টেম এবং ১৬০টি পেন কম্পিউটার ক্রয়, ৩৯টি পারমানেন্ট সার্ভে মার্ক, ৪৩১টি ট্রি জানশন পয়েন্ট, ৫০৫টি ট্রেভারস কন্ট্রোল পয়েন্ট স্থাপন, ক্যাডাস্ট্রাল ডাটাবেস তৈরি, ডিজিটাল ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম স্থাপন, ডিজিটাল ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম স্থাপনের জন্য ২৩টি সার্ভার কম্পিউটার, ২১৫ সেট ল্যাপটপ, ২২ সেট ডেস্কটপ ও ২০ সেট স্মার্ট ট্যাব ক্রয়, নেটওয়ার্কিং যন্ত্রাংশ ক্রয় এবং সফটওয়্যার ক্রয় করা হবে।
ভূমি মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, জনবহুল বাংলাদেশে ভূমি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। বর্তমানে ভূমি ব্যবস্থাপনা যেমন, জরিপ, রেকর্ড এবং মালিকানা পরিবর্তনের কারণে ভূমির পুনঃপুন বিভক্তি সংক্রান্ত এসব সমস্যা আরও জটিল হয়েছে। এজন্য প্রকল্পটি হাতে নেয়া হচ্ছে।