কে এই রহস্যময়ী তরুণী সেলেস্তি
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৪ মে ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
সেলেস্তি রহমান
ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ-সদস্য মো. আনোয়ারুল আজিম আনারকে নৃশংসভাবে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সেলেস্তি রহমান নামের এক তরুণীর নাম উঠে এসেছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সূত্র বলছে, সেলেস্তি এ হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড আখতারুজ্জামান শাহীনের গার্লফ্রেন্ড। শাহীন যুক্তরাষ্ট্রের সিটিজেন এবং তার পরিবার যুক্তরাষ্ট্রেই থাকে। তবে তিনি মাঝেমধ্যেই বাংলাদেশে এলে সেলেস্তিকে নিয়ে কলকাতায় প্রমোদভ্রমণে যেতেন। সেখানে কিছুদিন থেকে ফের দেশে চলে আসতেন। তাদের মধ্যে কয়েক বছর ধরেই প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। সেলেস্তির আরেক বান্ধবী অরিশাকে নিয়েও একাধিকবার কলকাতা যান আখতারুজ্জামান শাহীন।
জানা যায়, ২০ বছরের তরুণী সেলেস্তি রহমানের বাড়ি টাঙ্গাইলে। তার পরিবার সেখানেই থাকে। ঢাকার উত্তরার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএ দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী তিনি। উত্তরাতেই একটি মেস বাসায় তিনি থাকেন। তার বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে চাচ্ছে না গোয়েন্দা পুলিশ। এ বিষয়ে পুলিশের ভাষ্য, হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার প্রমাণ পেলেই তার বিষয়ে জানানো হবে।
সেলেস্তির বিষয়ে জানতে চাইলে তদন্তসংশ্লিষ্ট ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের এক উপকমিশনার যুগান্তরকে বলেন, সেলেস্তিকে রহস্যময়ী মনে হচ্ছে। তার বিষয়ে বিস্তারিত জানার চেষ্টা চলছে।
ডিবি পুলিশের সূত্র বলছে, ঢাকা থেকে ৩০ এপ্রিল শাহীন ও আমানুল্লাহর সঙ্গে প্লেনে কলকাতায় যান সেলেস্তি রহমান। কলকাতার নিউটাউনের বহুতল আবাসন সঞ্জীভা গার্ডেনসের যে ফ্ল্যাটে খুন হন আনোয়ারুল আজিম আনার, সেখানেই ছিলেন সেলেস্তি। পরে ১৫ মে হত্যার মূল দায়িত্ব পালনকারী চরমপন্থি নেতা শিমুল ভুঁইয়া ওরফে আমানুল্লাহর সঙ্গে একই ফ্লাইটে ঢাকায় ফেরার পর গোয়েন্দা পুলিশের কাছে আটক হন।
ডিবির তদন্ত সংশ্লিষ্টরা জানান, আখতারুজ্জামান শাহীনের ‘গার্লফ্রেন্ড’ সেলিস্তি রহমান সরাসরি হত্যাকাণ্ডে জড়িত কি না, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। কলকাতায় শাহীনের ফ্ল্যাটে যখন সংসদ-সদস্য আনারকে খুন করা হয়, তখন সেলিস্তি ওই কক্ষে ছিলেন না। হত্যাকাণ্ডের পর ওই কক্ষে যান সেলিস্তি। ব্লিচিং পাউডারের উৎকট গন্ধ পেয়ে এর কারণ অন্যদের কাছে জানতে চান তিনি। তখন হত্যাকারীরা তাকে জানায়, ফ্ল্যাটে একজন মলত্যাগ করেছে। ওই গন্ধ দূর করতে ব্লিচিং পাউডার ছিটানো হয়েছে। সংসদ-সদস্য আনোয়ারুল আজিমকে ওই তরুণীর মাধ্যমে ‘হানি ট্র্যাপে’ ফেলা হয়েছে কি না, তা জানার চেষ্টা করছেন গোয়েন্দারা।