Logo
Logo
×

প্রথম পাতা

ফাইভজি প্রকল্পে ৩২৬ কোটি টাকার ক্রয় প্রক্রিয়া চূড়ান্ত

১৬১ কোটি লোপাটের ছক!

Icon

মাহবুব আলম লাবলু

প্রকাশ: ০৪ মার্চ ২০২৪, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

১৬১ কোটি লোপাটের ছক!

ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথ সরবরাহ যন্ত্রপাতির জীবনীশক্তি (লাইফটাইম) সর্বোচ্চ ৫-৬ বছর। এরপর চিপসসেট পরিবর্তন হয়। নতুন প্রযুক্তির সঙ্গে আসে আরও উন্নত যন্ত্রাংশ। এ বিষয় মাথায় রেখেই প্রযুক্তিগত অবকাঠামো আপডেট করার সিদ্ধান্ত নেন দায়িত্বশীলরা। বর্তমানে সরকারি-বেসরকারি অপারেটর মিলিয়ে যে পরিমাণ ব্যান্ডউইথ বহন করছে তাতে ২০৩০ সাল পর্যন্ত সর্বোচ্চ ২৬ টেরাবাইট সক্ষমতার যন্ত্রপাতি কেনা যেতে পারে-এমন অভিমত দিয়েছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) বিশেষজ্ঞ দল। কিন্তু ফাইভজি প্রকল্পের আওতায় ২৬-এর পরিবর্তে ১২৬ টেরাবাইট ধারণ ক্ষমতার যন্ত্রপাতি কেনাকেটার প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করেছে বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশনস কোম্পানি লিমিটেড (বিটিসিএল)। সর্বোচ্চ ১৫ মিলিয়ন ডলার (১১০ টাকা হিসাবে ১৬৫ কোটি টাকা) খরচে যে কাজ করা সম্ভব, সেটা করতে প্রায় ৩০ মিলিয়ন ডলার-অর্থাৎ ৩২৬ কোটি টাকা ব্যয়ে যন্ত্রপাতি কেনার দুরভিসন্ধি করা হয়েছে। আর এই প্রকল্পে বরাদ্দ ধরা হয়েছে ৪৬৩ কোটি টাকা। সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ-এই বাড়তি যন্ত্রাংশ কোনোদিন ব্যবহৃত হবে না। তাই যন্ত্রাংশের নামে খোলস সরবরাহ দিয়ে অন্তত ১৬১ কোটি টাকা লোপাটের ছক চূড়ান্ত করেছে চীনা কোম্পানির সঙ্গে দেশীয় একটি শক্তিশালী চক্র। চলমান ডলার সংকটের কারণে চীনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এলসি খুলতে না পারায় টাকাগুলো এখনো ভাগবাটোয়ারা করে পকেটে তুলতে পারেনি চক্রটি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হস্তক্ষেপ করলেই ফাইভজি প্রকল্পের নামে অতিরিক্ত বিপুল এই অর্থ লোপাট ঠেকানো সম্ভব।

এদিকে দরপত্র আহ্বানের পর সাবেক ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার ও সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামান পৃথক দুটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কাজ পাইয়ে দিতে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ কোম্পানি লিমিটেডের (বিটিসিএল) সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক আসাদুজ্জামান চৌধুরীকে চাপ দেন। অবৈধ চাপ উপেক্ষা করে তিনি দরপত্র বাতিল করে সংশ্লিষ্ট দুই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে চিঠি লেখেন। প্রভাবশালীরা এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আসাদুজ্জামানকে স্ট্যান্ডরিলিজ করে অন্যত্র বদলির আদেশ দেন। গত বছরের ২০ নভেম্বর তার বরখাস্তসংক্রান্ত আদেশ ছয় মাসের জন্য স্থগিত করে হাইকোর্ট। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও যুগান্তরের নিজস্ব অনুসন্ধানে ফাইভজি অবকাঠামো প্রকল্পের নামে ‘সাগর চুরি’র ছক চূড়ান্ত করার উল্লিখিত তথ্যপ্রমাণ পাওয়া গেছে।

জানা গেছে, বিটিসিএলের অধীনে বাস্তবায়নাধীন ‘ফাইভজির উপযোগীকরণে বিটিসিএলের অপটিক্যাল ফাইবার ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্পের একটি প্যাকেজের বিপরীতে ৪৬৩ কোটি টাকার দরপত্র আহ্বান করা হয়েছিল। জেডটিই করপোরেশন, হুয়াওয়ে টেকনোলজিস লিমিটেড ও নকিয়া সলিউশন নামের তিনটি কোম্পানি এই দরপত্রে অংশ নেয়। দরপত্র মূল্যায়ন ও চীনা কোম্পানি হুয়াওয়ে টেকনোলজিস লিমিটেডকে কার্যাদেশ প্রদানে ক্ষমতার অপব্যবহার করে পিপিএ-২০০৬ এর ধারা ৮ এবং পিপিআর-২০০৮ এর একাধিক বিধি লংঘনের অভিযোগ পায় দুদক। অভিযোগ আমলে নিয়ে দুই সদস্যের অনুসন্ধান টিম গঠন করে কমিশন।

দুদকের অনুসন্ধানে পাওয়া নথিপত্রে দেখা গেছে, তিন প্রতিষ্ঠানের কেউ দরপত্রের শর্ত পূরণ করতে পারেনি। কারিগরি মূল্যায়ন প্রতিবেদনেও বিষয়টি উল্লেখ আছে। এরপরও সবাইকেই যোগ্য হিসাবে মূল্যায়ন করে সাত সদস্যের কারিগরি কমিটি। কারিগরি মূল্যায়ন অনুমোদনকারী কর্তৃপক্ষ হিসাবে বিটিসিএলের তৎকালীন ব্যবস্থাপনা পরিচালক আসাদুজ্জামান চৌধুরী এমন মূল্যায়ন প্রতিবেদন অনুমোদন দেননি। এরপর টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় থেকে তাকে বদলি ও পরে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তিনি আদালতের দ্বারস্থ হলে তাকে স্বপদে বহাল রাখার নির্দেশ দেন। গত বছরের ২৬ নভেম্বর ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের জারি করা চিঠিতে বলা হয়, হাইকোর্ট বিভাগ আদেশের মাধ্যমে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের এমডির সাময়িক বরখাস্তের আদেশ ও বিভাগীয় মামলার অভিযোগনামা এবং অভিযোগ বিবরণী কার্যক্রম স্থগিত করেছেন। সে পরিপ্রেক্ষিতে আসাদুজ্জামান চৌধুরীর সাময়িক বরখাস্তের আদেশ স্থগিত করা হলো। এতকিছুর পরও সিপিটিইউর রিভিও প্যানেলের ‘ফরমায়েশি’ রায়ের মাধ্যমে কাজটি বাগিয়ে নেয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে টেকনোলজিস লিমিটেড।

জানতে চাইলে বিটিসিএলের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক আসাদুজ্জামান চৌধুরী যুগান্তরকে বলেন, ‘রিভিউ প্যানেল একবার একটা সিদ্ধান্ত দিয়ে দিলে নিচের কারও পক্ষে কমেন্ট করার আর কোনো সুযোগ থাকে না। আমি যখন ছিলাম আমি আমার আর্গুমেন্ট তুলে ধরেছি। কিন্তু সিপিটিইউ যখন সিদ্ধান্ত দিয়ে দিয়েছে তখন সার্ভিস রুল অনুযায়ী আমার আর কিছু করার বা বলার থাকে না। তবে দুদক এ ব্যাপারে গভীরে গিয়ে তথ্য অনুসন্ধান করলে অনেক কিছুই পাবে।’

দুদকের নথির সূত্র ধরে যুগান্তরের নিজস্ব অনুসন্ধানে পাওয়া গেছে চাঞ্চল্যকর ও বিস্ময়কর তথ্য। বিটিসিএলের ২১৩তম পর্যদ সভার কার্যবিবরণী থেকে জানা গেছে, প্রস্তুতকৃত কারিগরি বিনির্দেশে ২০৩০ সাল পর্যন্ত মোট চাহিদার চেয়ে আরও বেশি ক্যাপাসিটির সংস্থানসহ অ্যাকটিভ রিডানডেন্ট (সক্রিয় অপ্রয়োজনীয়তা)-এর ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। সভায় জানানো হয়, ২০৩০ সাল পর্যন্ত ২৬ টেরাবাইট ট্রাফিক চাহিদা নিরূপিত হলেও ক্যাপাসিটি নেওয়া হচ্ছে ১২৬ দশমিক ২ টেরাবাইট। যার অর্ধেক পূরণে সক্ষম হবে। বিনির্দেশটির যুগোপযোগিতা ও সক্ষমতা এমনকি ২০৪০ সাল পর্যন্ত চাহিদা পূরণের বিষয়টি পর্ষদের সবাই অবগত হন। এটা বহাল থাকবে এবং সে মোতাবেক হোপসহ সংশ্লিষ্ট সবাই কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

এ খাতের বিশ্লেষকরা বলেছেন, ২০৩০ সাল পর্যন্ত ইন্টারনেট সেবা নির্বিঘ্ন করতে ২৬ টেরাবাইট ধারণ ক্ষমতার অবকাঠামো নির্মাণ করলেও অর্ধেকের বেশি অব্যবহৃত থাকবে। এ বিষয়টি জেনেও ২০৪০ সাল পর্যন্ত চাহিদা পূরণের কথা মাথায় রেখে ১২৬ টেরাবাইট ধারণ ক্ষমতার অবকাঠামো নির্মাণের চিন্তা হাস্যকর ছাড়া কিছুই নয়। মূলত বিপুল অর্থ হাতিয়ে নিতেই এই কূটকৌশল নেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নজরে এলে তিনি এই অর্থ লোপাট হতে দিতেন না। তবে এখনো অপ্রয়োজনীয় সরঞ্জাম কেনা বন্ধ রেখে দেড়শ কোটি টাকার বেশি সাশ্রয় করা সম্ভব।

অভিযোগ আছে, দরপত্র আহ্বানের পর থেকেই সাবেক ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার ও সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামান তাদের পছন্দের পৃথক দুটি কোম্পানিকে কাজ দেওয়ার জোর তৎপরতা চালান। মোস্তাফা জব্বারের পছন্দের কোম্পানি জেডটিই করপোরেশন। আর সচিবের পছন্দের কোম্পানি হুয়াওয়ে টেকনোলজিস লিমিটেড। যুগান্তরের অনুসন্ধানে এ সংক্রান্ত দালিলিক প্রমাণও পাওয়া গেছে। দরপত্রে অংশ নেওয়া জেডটিই করপোরেশন গত বছরের ২৪ এপ্রিল মন্ত্রী বরাবর দরপত্রের প্রযুক্তিগত মূল্যায়নের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। অভিযোগটি তিনি বিটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে পাঠিয়ে বলেন, ‘প্রকল্পের কারিগরি বিনিয়োগ এমনভাবে করতে হবে যাতে এর স্থায়িত্ব যথাযথভাবে ২০৩০ সাল পর্যন্ত ত্রুটিহীনভাবে পরিচালিত হয়। সামগ্রিক বিষয়াদি আমাকে অবহিত করবেন।’ আর সচিবের দপ্তর থেকে যুগ্ম সচিব (প্লানিং) তাইবুর রহমান প্রকল্প পরিচালককে ই-মেইল করেন। সেখানে তিনি লেখেন, ‘সচিব মহোদয়ের মৌখিক নির্দেশ অনুসারে আমি বিটিসিএলের বোর্ড চেয়ারম্যানকে উল্লিখিত ক্রয় সম্পর্কে এবং আপনার সংগ্রহ প্রক্রিয়া প্রক্রিয়াকরণের সঙ্গে সম্পর্কিত যে কোনো বিশেষ সমস্যা সম্পর্কে আপডেট করার জন্য অনুরোধ করছি।’ প্রকল্প পরিচালক মনজির আহমেদ তাকে মেইল করে পুরো ঘটনা অবহিত করেন। শেষ পর্যন্ত সচিবের পছন্দের কোম্পানি হুয়াওয়ে টেকনোলজিস লিমিটেড কাজটি পেয়েছে।

দুদকের দায়িত্বশীল একজন কর্মকর্তা বলেছেন, বিটিসিএল একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানের কেনাকাটার কাজে দরপত্র প্রক্রিয়া চলাকালে সাবেক মন্ত্রী ও সচিবের এমন অযাচিত হস্তক্ষেপ ক্ষমতার অপব্যবহার ছাড়া কিছুই নয়। মূলত এমন নির্দেশনার মাধ্যমে তারা বিটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে চাপে রেখে তাদের পছন্দের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কাজ দিতে অপতৎপরতা চালিয়েছেন। এ অপরাধে জড়িতদের বিরুদ্ধে দুদক মামলা করতে পারে।

জানতে চাইলে সাবেক ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার যুগান্তরকে বলেন, ‘যে প্রযুক্তি দরকার সে প্রযুক্তি না কিনে ব্যাকডেটেড প্রযুক্তি ওরা বাছাই করেছে। আমার যতদূর মনে পড়ে এটা নিয়ে কোম্পানির এমডির সঙ্গে সচিবের বিরোধ তৈরি হয়েছে। এটা সিপিটিইউ পর্যন্ত গেছে। কোম্পানির এমডি টেন্ডারটা একসেপ্ট করতে চাননি। তিনি এটা রিফিউজ করেছেন। সেই রিফিউজ করা জিনিসটাই সচিব কিনছে।’ এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি কোনো ঠিকাদারি কোম্পানি পছন্দ করিনি। আমি টেকনোলজি পছন্দ করেছিলাম। সচিব সাহেব কী করেছেন না করেছেন সেটা ভিন্ন জিনিস। আমার কোনো কোম্পানির সঙ্গে সম্পর্ক ছিল না। একটা কোম্পানি আমার কাছে অভিযোগ করেছিল, ওরা যথাযথ প্রডাক্ট কিনছে না। আমি তখন পুরো বিষয়টা পর্যালোচনা করে সর্বশেষ প্রযুক্তি কেনার জন্য সুপারিশ করেছিলাম।’

আর ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামানের মোবাইল ফোনে শনি ও রোববার একাধিকবার কল করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি। পরে মন্ত্রণালয়ে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তিনি বর্তমানে স্পেনের বার্সেলোনায় অবস্থান করছেন। ফলে তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

আরও জানা গেছে, দেশের ৬৪ জেলায় বর্তমানে ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথের চাহিদা মোট ৮৪ হাজার ৬৮৭ জিবিপিএস। এর মধ্যে শতকরা ৩০ ভাগ হিসাবে বিটিসিএলের চাহিদা মাত্র ২৫ হাজার ৩২১ জিবিপিএস। বাকি ৭০ ভাগ বেসরকারি বিভিন্ন অপারেটর ব্যবহার করে থাকে। তাদের চাহিদা ৫৯ হাজার ২২১ জিবিপিএস। এর মধ্যে ব্যান্ডউইথের অন্যতম বড় ক্রেতা প্রতিষ্ঠান সামিট ও সাইবার এট হোম নামের দুটি কোম্পানি। এরা সারা দেশে ব্রডব্যান্ড লাইনের মাধ্যমে ইন্টারনেট সার্ভিস দিয়ে থাকে। এছাড়া প্রতিটি মোবাইল ফোন অপারেটরও ব্যান্ডউইথের বড় ক্রেতা। এরা পাইকারি কিনে ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে খুচরা ইন্টারনেট বিক্রি করে। বর্তমানে বিটিসিএলের চাহিদা পূরণে ব্যান্ডউইথ ধারণের জন্য মাত্র ৭ টেরাবাইট সক্ষমতার অবকাঠামো ব্যবহার করে। ২০৩০ সাল পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটির সর্বোচ্চ সক্ষমতা নিরূপণ করে ২৬ টেরাবাইটের অবকাঠামো নির্মাণের সুপারিশ করে বুয়েটের বিশেষজ্ঞ দল। সেখানে সুকৌশলে ২৬-এর সঙ্গে ১ জুড়ে দিয়ে ১২৬ টেরাবাইট কেনার কূটকৌশল চূড়ান্ত করেছে প্রভাবশালীরা। আর এ কাজের মাধ্যমে সরকারি অন্তত ১৬১ কোটি টাকা লোপাট হবে বলে দুদকের অনুসন্ধানে জানা গেছে।

প্রভাব খাটিয়ে কাজ নেওয়ার অভিযোগ সম্পর্কে জানতে শনিবার বিকালে হুয়াওয়ের বাংলাদেশ ও দক্ষিণ এশিয়ার হেড অব মিডিয়া তানভীর আহমেদ মিথুনের মোবাইল ফোনে কল করলে তিনি বলেন, ‘সুনির্দিষ্ট প্রশ্ন আমাকে মেইল করলে রোববার অফিস সময়ে আমাদের বক্তব্য জানিয়ে দেব।’ সুনির্দিষ্ট বিষয়ে জানতে চেয়ে তাকে ই-মেইল করলে ফিরতি বার্তায় তিনি জানান, ‘আপনার প্রশ্নের জন্য ধন্যবাদ। আপনি সিপিটিইউ’র সিদ্ধান্তে আমাদের প্রভাবের কথা বলেছেন। দুদকের এ ধরনের তদন্তের কোনো অনুলিপি আপনার কাছে আছে কি? দুদকের তদন্তে পাওয়া তথ্য উপস্থাপনের আগে সেগুলো চেক না করে আমরা এ ব্যাপারে কোনো বক্তব্য দেব না।’

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম