পররাষ্ট্র দপ্তরের ব্রিফিং
নির্বাচন ও ইউনূস ইস্যু পর্যবেক্ষণ করছে যুক্তরাষ্ট্র
যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ০৫ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে দেওয়া মামলায় সাজা এবং বাংলাদেশের নির্বাচন পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে যুক্তরাষ্ট্র। বুধবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন মুখপাত্র ম্যাথু মিলার।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ব্রিফিংয়ে ড. ইউনূসের সাজার বিষয়ে প্রশ্নে বলা হয়, নতুন বছরের প্রথম দিন নোবেলজয়ী ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেনশিয়াল মেডেল অব ফ্রিডম প্রাপ্ত অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে ক্ষমতাসীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিয়ন্ত্রণে থাকা শ্রম আদালতের প্রভাবিত সাজার রায়ের বিষয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রতিক্রিয়া কী?
বাংলাদেশে আইনের শাসন ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতার জন্য সৃষ্ট চ্যালেঞ্জকে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর কীভাবে দেখে? বিশেষ করে দেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী ও প্রধান বিরোধীদলীয় নেত্রী খালেদা জিয়ার ১০ বছরের কারাদণ্ড; অসংখ্য বিরোধীদলীয় নেতাকর্মী, গণমাধ্যমকর্মী, মানবাধিকারকর্মীদের একই রকম পরিস্থিতির সম্মুখীন হওয়া, এমনকি কিছু ক্ষেত্রে আরও বাজে পরিস্থিতির মুখোমুখি হওয়ার মতো বিষয়কে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর কীভাবে দেখে?
জবাবে মিলার বলেন, মুহাম্মদ ইউনূস বিশ্বব্যাপী দারিদ্র্য বিমোচনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। এ অবদানের জন্য তিনি নোবেল শান্তি পুরস্কারসহ আরও অনেক আন্তর্জাতিক সম্মানে ভূষিত হয়েছেন। তার বিরুদ্ধে রায় হওয়া মামলাটি আমরা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। এ রায় নিয়ে ব্যাপক আন্তর্জাতিক সমালোচনাও আমাদের নজরে এসেছে। আমাদের দিক থেকে আমরা বাংলাদেশ সরকারকে একটি ন্যায্য ও স্বচ্ছ আইনিপ্রক্রিয়া নিশ্চিত করার জন্য উৎসাহিত করছি। এছাড়া পরবর্তী ঘটনাগুলোও আমরা নিবিড়ভাবে অনুসরণ করব।
আরেক প্রশ্নে বলা হয়, এ সপ্তাহান্তেই বাংলাদেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে ডামি প্রার্থী ব্যবহারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রকাশ্য নির্দেশনা দিয়েছেন। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের গঠনমূলক পরামর্শ উপেক্ষা করেছেন। মার্কিন সরকার কি এমন একটি ডামি নির্বাচনকে বৈধতা দেবে? যদি তা না হয়, তাহলে বাইডেন প্রশাসন বাংলাদেশের আগামী সরকারের বিরুদ্ধে কী শাস্তিমূলক ব্যবস্থার কথা বিবেচনা করছে? গত সপ্তাহে বিবিসি ‘বাংলাদেশ: যে নির্বাচন এক নারীর প্রদর্শনীতে পরিণত হয়েছে’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন করেছে।
জবাবে মিলার বলেন, আমার মনে হয়, এ ধরনের প্রশ্নের উত্তর আমি আগেও দিয়েছি। কিন্তু নতুন বছর হওয়ায় আমি আবারও এর উত্তর দিচ্ছি। আমরা বাংলাদেশে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন সমর্থন করি। এ বিষয়টি বেশ কয়েকবার আমরা স্পষ্ট করে জানিয়েছি। আমরা নিবিড়ভাবে এ নির্বাচনের দিকে নজর রাখব। আর কোনো ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্র কী ব্যবস্থা নেবে বা নেবে না, সে বিষয়ে আমি আগে থেকে কিছু বলব না।