সংকট মধ্যস্থতাকারীর, আছে শর্তের জাল
সংলাপ চায় আওয়ামী লীগ-বিএনপি
দুই দল অনড় অবস্থান থেকে সরে এলে খুলতে পারে সংলাপের দরজা * উদ্যোগ নিতে হবে ক্ষমতাসীনদের
আবদুল্লাহ আল মামুন ও হাবিবুর রহমান খান
প্রকাশ: ১৬ জুলাই ২০২৩, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কয়েক মাস বাকি। কিন্তু ভোট কোন সরকারের অধীনে হবে, তা এখনো সুরাহা হয়নি।
সংকট নিরসনে পর্দার ভেতরে ও বাইরে দেশি-বিদেশি নানা মহলের তাগিদ ও তৎপরতায় সংলাপের ক্ষেত্র ধীরে ধীরে প্রস্তুত হচ্ছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
তাদের মতে, বড় দুই দল-আওয়ামী লীগ ও বিএনপির শর্তের বেড়াজালে তা আটকে আছে। সংলাপ আয়োজনে আস্থার অভাব রয়েছে মধ্যস্থতাকারী নিয়েও। আওয়ামী লীগ ও বিএনপি এই অনড় অবস্থান থেকে সরে এলে শিগগিরই খুলতে পারে সংলাপের দরজা।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, সংকট নিরসনে আলোচনার বিকল্প নেই। অনড় অবস্থান থেকে সরে এসে ছাড় দেওয়ার মানসিকতা নিয়ে আলোচনায় বসতে হবে। বর্তমান রাজনৈতিক সংকট নিরসনে সরকারকেই এগিয়ে আসতে হবে। তাদেরই সংলাপে বসার উদ্যোগ নিতে হবে।
শনিবার ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকে জাতীয় পার্টির নেতারা নির্বাচন নিয়ে চলমান রাজনৈতিক সংকট নিরসনে সংলাপের প্রয়োজনীয়তা ব্যক্ত করেছেন।
বৈঠক শেষে এ তথ্য জানান জাপার মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, সংলাপ ছাড়া সমাধান হবে না। আওয়ামী লীগ ও বিএনপি একদফা নিয়ে আছে। বিএনপি সরকারের পদত্যাগ চায়। আর আওয়ামী লীগ শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচন চায়। জাতীয় পার্টির একদফা হলো-আমরা সুষ্ঠু নির্বাচন চাই। অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের স্বার্থে সরকারকেই সংলাপের উদ্যোগ নিতে হবে।
নির্বাচনকালীন সরকার ইস্যুতে সৃষ্ট সংকট সমাধানে বড় দুই দলকে সংলাপে বসার তাগিদ দিয়ে আসছেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। কূটনীতিকরা কয়েক মাস ধরে পর্দার আড়ালে তৎপরতা চালিয়ে আসছেন।
আগামী দিনে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিতে প্রভাবশালী দেশগুলো প্রকাশ্যে শুরু করেছে দৌড়ঝাঁপ। এ ইস্যুতে সম্প্রতি বাংলাদেশ সফর করে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের বেসামরিক নিরাপত্তা, গণতন্ত্র ও মানবাধিকারবিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি উজরা জেয়ার নেতৃত্বে উচ্চপর্যায়ের একটি প্রতিনিধিদল। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিতে জোর দিয়ে জেয়া জানান, যুক্তরাষ্ট্র সংলাপের পক্ষে। তবে এ প্রক্রিয়ার সঙ্গে তারা যুক্ত হবে না।
জানা যায়, আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতারা প্রকাশ্যে এড়িয়ে গেলেও সংকট নিরসনে আলোচনায় বসতে চান। কিন্তু কোনো পক্ষই ছাড় দিতে রাজি নয়। সংলাপে বসতে জুড়ে দেওয়া হচ্ছে শর্ত। সংবিধান অনুযায়ী দলীয় সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন হবে বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন ক্ষমতাসীনরা।
দলটির নেতারা জানান, দলীয় সরকারের অধীনে বিএনপি নির্বাচনে যাবে-এমন ঘোষণা দিলে দলটির সঙ্গে সংলাপ হতে পারে। আওয়ামী লীগের এমন অবস্থানকে সংলাপের শর্ত বলেই মনে করছে অনেকে। অন্যদিকে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া ভোটে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। সরকারের পদত্যাগে একদফার চূড়ান্ত আন্দোলন ঘোষণা করেছে দলটি।
এমনকি এজেন্ডাবিহীন কোনো সংলাপে যাবে না তারা। সরকার পদত্যাগের ঘোষণা দিয়ে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার ইস্যুতে আলোচনা করতে চাইলেই কেবল তাতে রাজি হবে দলটি।
জানতে চাইলে সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার যুগান্তরকে বলেন, সংলাপেই সমাধান। এর বিকল্প নেই। তাই সংকট আরও ঘনীভূত হওয়ার আগেই রাজনৈতিক দলগুলোকে আলোচনায় বসতে হবে। সব মহল থেকেই সংলাপে বসার তাগিদ আসছে। এক্ষেত্রে সরকারকেই এ উদ্যোগ নিতে হবে।
তিনি বলেন, শুধু লোক দেখাতে আলোচনায় বসে লাভ নেই। সংকট সমাধানে অনড় অবস্থান থেকে সরে এসে ছাড় দেওয়ার মানসিকতা নিয়ে বসতে হবে। তাহলেই একটা পথ বের হতে পারে। বদিউল আলম মজুমদার বলেন, আলোচনায় না বসলে ফের সহিংসতার আশঙ্কা রয়েছে, যা আমরা কেউ চাই না।
সংলাপে রাজি বিএনপি, তবে: আলোচনায় বসতে আপত্তি নেই মাঠের বিরোধীদল বিএনপির। সংকট নিরসনে সরকারকে আলোচনায় বসতে বারবার আহ্বান জানিয়ে আসছে দলটি। তবে এজেন্ডাবিহীন কোনো আলোচনায় না বসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা।
তাদের মতে, দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন সুষ্ঠু হয় না, এটা প্রমাণিত। তাই সরকারি দলকে আগে নীতিগতভাবে মানতে হবে, দেশে সুষ্ঠু নির্বাচনের স্থায়ী পদ্ধতি বা কাঠামো সৃষ্টিতে তারা আন্তরিক। তাই নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার নিয়ে আলোচনায় বসতে চাইলে তাতে সাড়া দেবে।
এছাড়া সংলাপ নিয়ে তারা কিছু ভাবছে না। দাবি আদায়ে আপাতত আলোচনা বাদ দিয়ে রাজপথকেই বেছে নেওয়া হয়েছে। সরকারের পদত্যাগে ঘোষণা করেছে একদফা। সেই দাবি বাস্তবায়নের দিকেই মনোযোগ তাদের।
জানা যায়, নানা মহলের তাগিদ ও চাপে শেষ পর্যন্ত সংলাপে বসার সিদ্ধান্ত নিতে পারে বিএনপি। তবে এক্ষেত্রে এজেন্ডার পাশাপাশি তৃতীয় পক্ষের সমঝোতা ছাড়া তারা বসবে না। দলটির নেতারা জানান, আওয়ামী লীগের সঙ্গে সংলাপে তাদের তিক্ত অভিজ্ঞতা রয়েছে। অতীতে কয়েকবার আলোচনায় কথা দিয়েও তারা রাখেনি। তাই এবার সরকারের কোনো ফাঁদে পা দেবে না তারা?।
জানতে চাইলে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর যুগান্তরকে বলেন, নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের এজেন্ডা ছাড়া আওয়ামী লীগের সঙ্গে কোনো আলোচনা নয়। অতীতে এজেন্ডাবিহীন সংলাপে তারা নানা প্রতিশ্রুতি দিলেও এর কোনোটাই রক্ষা করেনি। তাই ওদের ওপর আস্থা রাখার কোনো সুযোগ নেই। তিনি বলেন, এই মুহূর্তে দাবি আদায়ে আমরা রাজপথকেই বেছে নিয়েছি। সরকারের পদত্যাগে একদফা ঘোষণা করা হয়েছে। আন্দোলনের মাধ্যমে তাদের পদত্যাগে বাধ্য করে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচনের ব্যবস্থা করা হবে।
শনিবার ইইউ প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকে শেষে সংলাপ নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশে কোনো গণতান্ত্রিক পরিবেশ নেই। এখানে মানবাধিকার প্রশ্নবিদ্ধ, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা প্রশ্নবিদ্ধ, আইনের শাসন, জীবনের নিরাপত্তা প্রশ্নবিদ্ধ। এখানে গণতান্ত্রিক পরিবেশ নেই। সংলাপের জন্য তো একটা গণতান্ত্রিক পরিবেশ লাগে।
তিনি বলেন, সংলাপ গণতান্ত্রিক পরিবেশের একটি অংশ। বাংলাদেশে কোনো গণতান্ত্রিক পরিবেশ নেই। সেই পরিবেশ প্রথমে তৈরি করতে হবে। এরপরই সংলাপের প্রশ্ন আসবে।
বিএনপি সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচনে আসার ঘোষণা দিলেই সংলাপ হতে পারে: নির্বাচন নিয়ে বিএনপির সঙ্গে সংলাপে বসতে সরকারের আপত্তি নেই। তবে আগ বাড়িয়ে তারা এই উদ্যোগ এখনই নিতে চায় না। আবার সংলাপের বিরুদ্ধে কথাও বলছেন না ক্ষমতাসীন দলটির নেতারা।
পরিস্থিতি অনুযায়ী তারা সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য অপেক্ষা করছেন। কিছুদিন আগেও আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিএনপির সঙ্গে সংলাপের সম্ভাবনা নাকচ করে বক্তৃতা করেন। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে দলটির নেতাদের সুর পরিবর্তন হয়েছে।
কঠোর অবস্থান থেকে সরে এসে যেমন রাজনৈতিক কর্মসূচি পালনের সুযোগ দিয়েছে জামায়াতকে, তেমনই বিএনপির সঙ্গে সংলাপের বিষয়ে ইতিবাচক কথা বলছেন।
শুক্রবার চট্টগ্রামে এক অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের কাছে সাংবাদিকরা জানতে চান সব রাজনৈতিক দলকে নিয়ে সরকার সংলাপের উদ্যোগ নেবে কি না-জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচনের আয়োজক প্রতিষ্ঠান হচ্ছে নির্বাচন কমিশন। সংলাপ নিশ্চয়ই নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে হতে পারে। সুতরাং নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে যদি কোনো কথাবার্তা বলতে হয়, সেটি নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বলতে হবে। তারা (বিএনপি) নির্বাচন কমিশনের কাছে যেতে পারেন, তাদের বক্তব্য তুলে ধরতে পারেন। নির্বাচন কমিশন যদি আমাদের ডাকে, আমরাও যাব।
জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আবদুর রহমান যুগান্তরকে বলেন, অবাস্তব দাবি নিয়ে বিএনপি আন্দোলনের নামে দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টির চেষ্টা চালাচ্ছে। তারা ইতিবাচক ধারার রাজনীতিতে নেই। আগে তাদের ইতিবাচক রাজনীতির ধারায় ফিরে এসে সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচনে অংশগ্রহণের ঘোষণা দিতে হবে। তারপর নির্বাচনের পরিবেশ আরও কীভাবে ভালো করা যায়, তা নিয়ে আলোচনা হতেই পারে।
এর আগে ৫ জুলাই প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেছেন, বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিলে সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের জন্য তাদের সঙ্গে সংলাপ বা আলোচনা হতে পারে।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) ভবনে ওইদিন সালমান এফ রহমানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন যুক্তরাজ্যের আন্তর্জাতিক বাণিজ্যবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী নাইজেল হাডলস্টন। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন সালমান এফ রহমান।
তিনি বলেন, বৈঠকে যুক্তরাজ্যের প্রতিনিধিদল দেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠান এবং বিরোধী দলের সঙ্গে সংলাপ করার জন্য বলেছে। আমি যুক্তরাজ্যের প্রতিনিধিদলকে বলেছি, আমরা সংলাপ করতে সব সময় রাজি আছি। তবে আগে বিরোধী দলকে সংবিধান মেনে নির্বাচনে অংশগ্রহণের নিশ্চয়তা দিতে হবে। এরপর নির্বাচন কমিশনকে আরও শক্তিশালী করার মতো বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলা যেতে পারে। সেক্ষেত্রে আমরা সংলাপ করতে রাজি আছি। শুধু তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে সংলাপের সুযোগ নেই, এ কথা আমরা যুক্তরাজ্যের প্রতিনিধি দলকে বুঝিয়েছি। তারা সেটা বুঝেছে। তিনি বলেন, বিরোধী দল (বিএনপি) এখন বলেছে তত্ত্বাবধায়ক সরকার না হলে তারা নির্বাচনে আসবে না। কিন্তু এমনটা হলে আমরা তো কোনো সংলাপ করতে পারি না।
গত মাসে (১১ জুন) সচিবালয়ে কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আবদুর রাজ্জাক সাংবাদিকদের বলেন, যে কোনো সমস্যা সমাধানে সংলাপ হতে পারে। বিএনপির সঙ্গে সংলাপ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, সংলাপের সুযোগ নেই কেন? তারা (বিএনপি) আন্দোলন করছে। আন্দোলন করতে করতে যখন হাঁপিয়ে যাবে, তখন তারাই বলবে একটা কিছু করা দরকার।
গত মাসে (৬ জুন, মঙ্গলবার) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে ১৪ দলের সমাবেশে গণতন্ত্রের স্বার্থে প্রয়োজনে জাতিসংঘের প্রতিনিধির মধ্যস্থতায় বিএনপির সঙ্গে আলোচনা হতে পারে বলে প্রথমবারের মতো প্রয়োজনীয়তা ব্যক্ত করেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য এবং ১৪ দলের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমু।
তিনি বলেন, প্রয়োজনে জাতিসংঘের প্রতিনিধি আসুক, আমরা বিএনপির সঙ্গে মুখোমুখি বসে আলোচনা করে দেখতে চাই কীভাবে সবাই মিলে একটি অংগ্রহণমূলক ও সুষ্ঠু নির্বাচন করা যায়। সেটা আলোচনার মাধ্যমে সুরাহা হতে পারে, অন্য কোনো পথে নয়। যদিও পরের দিন আমু তার অবস্থান থেকে সরে আসেন।
প্রসঙ্গত, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক সংকট দূর করার জন্য সংলাপ হয় ১৯৯৪ সালে। কমনওয়েলথের বিশেষ দূত স্যার নিনিয়ান স্টেফানের সেই উদ্যোগ সফল হয়নি। ২০০৬ সালে আওয়ামী লীগ-বিএনপি মহাসচিব পর্যায়ের সংলাপও ব্যর্থ হয়।
ব্যর্থ হয় ২০১৩ সালে জাতিসংঘের প্রতিনিধি অস্কার ফার্নান্দেজ তারাঙ্কোর উদ্যোগে অনুষ্ঠিত সংলাপ। সর্বশেষ ২০১৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগের সঙ্গে বিএনপির নেতৃত্বে গঠিত ঐক্যফ্রন্টের সংলাপও কোনো কাজে আসেনি।