মোদির আলোচিত যুক্তরাষ্ট্র সফর শুরু
বাংলাদেশ প্রসঙ্গ নিয়ে ব্যাপক কৌতূহল
বিদ্যমান ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও প্রেক্ষাপট যে বার্তাই দিক না কেন, বাংলাদেশ প্রসঙ্গ নিয়ে আলোচনার ব্যাপারে কোনো সূত্র নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারেনি
মাসুদ করিম ও মো. ইলিয়াস হোসেন
প্রকাশ: ২১ জুন ২০২৩, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির যুক্তরাষ্ট্র সফরে বাংলাদেশ প্রসঙ্গ শেষ পর্যন্ত আসবে কি না, তা নিয়ে ব্যাপক কৌতূহল দেখা দিয়েছে।
দুই নেতার দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে সুনির্দিষ্টভাবে বাংলাদেশ প্রসঙ্গ আসা নিয়ে ইতোমধ্যে বিভিন্ন মহল থেকে নানারকম সংবাদ চাউর হয়েছে। তবে অফিশিয়ালি কেউ কোনো বক্তব্য দেয়নি। যে কারণে বিদ্যমান ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও প্রেক্ষাপট যে বার্তাই দিক না কেন, বাংলাদেশ প্রসঙ্গ নিয়ে আলোচনার ব্যাপারে কোনো সূত্র নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারেনি। বিশেষ করে দিল্লি ও ওয়াশিংটন-কেউই খোলাসা করে কিছু বলছে না।
এদিকে মঙ্গলবার রাজধানী ঢাকায় এক আলোচনাসভায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘মোদির যুক্তরাষ্ট্র সফরের সঙ্গে বাংলাদেশের কোনো সম্পর্ক নেই। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে সংবিধান অনুযায়ী, বাইরের কোনো শক্তির পরামর্শে নয়। ফলে মোদি-বাইডেনের বৈঠকে বাংলাদেশ প্রসঙ্গ নিয়ে আলোচনা হওয়ার ব্যাপারে রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক বিশ্লেষকদের অনেকে এখনো সন্দিহান। তারা মনে করেন, এ বিষয়ে পর্দার আড়ালে অনেক কিছু হতে পারে। তবে নানা কারণে তা প্রকাশ্যে আসার সম্ভাবনা খুব ক্ষীণ। তাছাড়া বাংলাদেশকে ভারতের চোখে দেখার নীতি থেকে যুক্তরাষ্ট্র অনেক আগেই সরে এসেছে। সবকিছু তারা নিজেদের চোখে বিচার-বিশ্লেষণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিপরীতে এ অঞ্চলে চীনকে বাগে রাখতে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ভারতের প্রয়োজনও প্রশ্নাতীত।
প্রসঙ্গত, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনে বাধাদানকারী কোনো বাংলাদেশিকে ভিসা দেবে না যুক্তরাষ্ট্র। এই মর্মে সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের জন্য পৃথক ভিসানীতি ঘোষণা করে। এরপর থেকে বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক মহলসহ সর্বত্র তোলপাড় সৃষ্টি হয়। তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে তার কঠোর অবস্থান গ্রহণের নীতি স্পষ্ট করেছেন। এ ইস্যুতে কড়া ভাষায় যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনা করেন তিনি।
এদিকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির তিন দিনের ঐতিহাসিক যুক্তরাষ্ট্র সফর শুরু হচ্ছে আজ। মঙ্গলবার দিল্লি থেকে তার বিমান আমেরিকার উদ্দেশে রওনা হয়। বাংলাদেশ সময় অনুযায়ী, বুধবার (২১ জুন) রাত ২টা নাগাদ তিনি ওয়াশিংটনের অ্যান্ড্রুস এয়ারফোর্স বেসে নামবেন। সেখানে একদল ভারতীয় বংশোদ্ভূত আমেরিকান তাকে স্বাগত জানাবেন। তিন দিনের সফরে আমেরিকায় মোদির ঠাসা কর্মসূচি। অনেকে মনে করেন, এসব কর্মসূচির মধ্যে কোনো পর্যায়ে দুই নেতার মধ্যে একান্ত আলোচনায় বাংলাদেশ প্রসঙ্গ আসতে পারে। অপরদিকে প্রকাশ্যে স্বীকার না করলেও আওয়ামী লীগ সরকারও চায়, মোদি যেন বাইডেনের সঙ্গে আলোচনায় বাংলাদেশকে চাপ না দেওয়ার অনুরোধ করেন। যুগান্তরের কাছে এমন মন্তব্য করেছেন কয়েকজন কূটনৈতিক বিশ্লেষক।
বাংলাদেশে সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনে বাধাদানকারীদের ভিসা প্রত্যাখ্যান করা হবে বলে আমেরিকা সম্প্রতি যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, মোদি ও বাইডেনের আলোচনায় সেই প্রসঙ্গ আসবে কি না, ভারত সরাসরি এর কোনো জবাব দেয়নি। তবে মিয়ানমারসংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে এদিন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বলেছেন, ‘আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে গুরুত্বপূর্ণ যে কোনো বিষয় নিয়েই দুই নেতার মধ্যে আলোচনা হতে পারে। তবে ঠিক কোন কোন ইস্যুতে তারা কথা বলবেন, তা নিয়ে আগেভাগে আমি কোনো মন্তব্য করব না।’
দিল্লিতে কূটনৈতিক সূত্রগুলো আভাস দিয়েছে, বাংলাদেশে ‘সুষ্ঠু গণতন্ত্রের স্বার্থে’ আমেরিকা সম্প্রতি যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে, সেগুলোর ব্যাপারে দিল্লি তাদের মনোভাব অবশ্যই ওয়াশিংটনের কাছে তুলে ধরবে।
ভারত ও আমেরিকার দ্বিপাক্ষীয় সম্পর্কের এজেন্ডায় দক্ষিণ এশিয়ার সার্বিক রাজনীতি অবশ্যই একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, আর সেই প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশকে উপেক্ষা করা দুই দেশের কারও পক্ষেই সম্ভব নয়। নরেন্দ্র মোদির সম্মানে বাইডেন দম্পতি হোয়াইট হাউজের সাউথ লনে যে নৈশভোজ এবং আলাদা করে যে সংবর্ধনার আয়োজন করেছেন, এর দুটিতেই ওয়াশিংটনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ ইমরানকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। মুহাম্মদ ইমরান এর আগে দিল্লিতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ছিলেন এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করসহ মোদি সরকারের বহু কর্মকর্তা ও নীতিনির্ধারকের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ পরিচয় রয়েছে। কূটনৈতিক মহলের অভিমত, বাংলাদেশকে হোয়াইট হাউজের অনুষ্ঠানগুলোয় (এবং সেই সঙ্গে মার্কিন কংগ্রেসের অধিবেশনে) আমন্ত্রণ জানানোর মধ্যে দিয়ে এটা স্পষ্ট যে, ভারত-মার্কিন আলোচনায় বাংলাদেশের ছায়া পড়বেই।
গত সপ্তাহে দিল্লিতে ভারত ও আমেরিকার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাদের মধ্যে অনুষ্ঠিত বৈঠকেও বাংলাদেশে মার্কিন ভিসানীতির প্রসঙ্গ উঠেছিল বলে ভারতের কয়েকটি সংবাদমাধ্যম দাবি করে রিপোর্ট করেছে। ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল নাকি সেই বৈঠকে বলেছিলেন, ‘আমেরিকার এমন কিছু করা উচিত হবে না যা এই (দক্ষিণ এশিয়া) অঞ্চলে ভারসাম্য ও স্থিতিশীলতাকে বিঘ্নিত করে।’ বৈঠক সূত্র উল্লেখ করলেও কোনো পক্ষের অফিশিয়াল বক্তব্য দেয়নি।
এছাড়া আনুষ্ঠানিকভাবে ভারত সেই রিপোর্ট স্বীকার বা অস্বীকার কোনোটাই করেনি। তবে বাংলাদেশে আমেরিকার সাম্প্রতিক ‘অতি-সক্রিয়তা’ যে দিল্লি খুব সহজভাবে নিচ্ছে না, সেই ইঙ্গিত নানাভাবেই পাওয়া যাচ্ছে। বিশেষ করে কয়েকজন কলাম লেখক নানাভাবে ইঙ্গিত দিয়ে যাচ্ছেন তাদের লেখায়। এই সপ্তাহে নরেন্দ্র মোদি ও জো বাইডেনের মধ্যে পরপর বৈঠকগুলোয় বাংলাদেশ প্রসঙ্গে অবতারণা হওয়াটা শুধু প্রত্যাশিত নয়, একরকম অবধারিত। তবে তাদের এসব মতামত দেওয়া নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্নও রয়েছে। ঢাকার অনেক বিশ্লেষক মনে করেন, আসলে সবাই নিজ নিজ স্বার্থরক্ষায় কথা বলছেন, মতামত দিচ্ছেন। কিন্তু বাংলাদেশের জনগণের উচিত হবে সবার আগে দেশের স্বার্থ প্রাধান্য দেওয়া।
তিন দিনের সফরে যুক্তরাষ্ট্রে রওয়ানা হয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মঙ্গলবার সকালে দিল্লি থেকে তার বিমান আমেরিকার উদ্দেশে পাড়ি দিয়েছে। সেখানে তিনি ভারতীয় বংশোদ্ভূত শীর্ষস্থানীয় কর্তাব্যক্তিদের সঙ্গে দেখা করবেন। বুধবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে আন্তর্জাতিক যোগ দিবসের কর্মসূচিতেও অংশ নেবেন তিনি। বৃহস্পতিবার মোদির সঙ্গে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। এ বৈঠকের দিকে তাকিয়ে আছে আন্তর্জাতিক মহল। বাইডেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর মোদির সঙ্গে এই প্রথমবার দ্বিপক্ষীয় ক্ষেত্রে পূর্ণাঙ্গ আলোচনা হতে চলেছে।
বৃহস্পতিবারের বৈঠকের পর আমেরিকান কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে ভাষণ দেবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। এরপর বাইডেন ও তার স্ত্রী জিল বাইডেনের সঙ্গে তার নৈশভোজের আয়োজন করা হয়েছে। পরের দিন মোদির সম্মানে মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করছেন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস। বৃহস্পতিবার মার্কিন কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে দ্বিতীয়বারের মতো ভাষণ দেওয়ার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী মোদির, যে গৌরব চার্চিল, ম্যান্ডেলা বা হাল আমলে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ছাড়া আর কেউই পাননি।
শুধু তাই নয়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ফার্স্টলেডি ড. জিল বাইডেনের আমন্ত্রণে মোদির এই সফরে তাকে একাধিকবার হোয়াইট হাউজে আপ্যায়িত করা হবে। নরেন্দ্র মোদির সম্মানে বাইডেন দম্পতি শুধু বিশেষ নৈশভোজই দিচ্ছেন না, প্রেসিডেন্ট তার সঙ্গে একান্তে ও প্রতিনিধি পর্যায়ে একাধিকবার বৈঠকেও বসছেন।
দিল্লি ও ওয়াশিংটনের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে এই সফরকে ভারত যে একটি ‘মাইলস্টোন মোমেন্ট’ বলে বর্ণনা করছে, এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই। আন্তর্জাতিক সাময়িকী ‘দ্য ইকোনমিস্ট’ও এই আসন্ন সফরের পটভূমিতে লিখেছে, ভারত যদিও পশ্চিমাদের পছন্দ করে না, আমেরিকার কাছে আজ তারা অপরিহার্য’, আর এই সফরে এরই প্রতিফলন ঘটতে চলেছে।
দ্য ওয়াশিংটন পোস্টও মন্তব্য করেছে, চীনের বিরুদ্ধে একটি ‘প্রতিরোধ’ (বুলওয়ার্ক) গড়ে তোলার জন্য ভারতকে আমেরিকার আজ যে জরুরি প্রয়োজন, ততটা আগে কখনোই ছিল না। বস্তুত এর আগে দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক স্তরে অন্তত ছয়বার প্রধানমন্ত্রী মোদি আমেরিকা সফর করেছেন; কিন্তু এটাই হতে যাচ্ছে দেশটিতে তার প্রথম রাষ্ট্রীয় সফর, যা তার আগেকার সফরগুলোর চেয়ে অনেক ওজনদার ও গুরুত্বপূর্ণ।
ফলে ২১ থেকে ২৩ জুন যুক্তরাষ্ট্রে নরেন্দ্র মোদির তিন দিনব্যাপী এই সফরের দিকে শুধু ভারত বা আমেরিকা নয়, নজর থাকবে গোটা বিশ্বেরই। ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াটরা সোমবার দিল্লিতে এক সংবাদ সম্মেলনে মোদির এই সফরের আলোচ্যসূচিতে কী কী থাকতে পারে, এর একটি সম্ভাব্য রূপরেখা তুলে ধরেছেন। তিনি জানান, ভারত ও আমেরিকার মধ্যে রাজনৈতিক স্তরে ক্রমবর্ধমান ঘনিষ্ঠতার একটা প্রভাব অবশ্যই এই সফরে পড়বে এবং নরেন্দ্র মোদি ও জো বাইডেনের মধ্যে ব্যক্তিগত স্তরেও একটা ‘লিডারশিপ কানেক্ট’ গড়ে উঠবে বলে আশা করা হচ্ছে।
দ্বিপাক্ষিক আলোচনার ক্ষেত্রে প্রাধান্য পাবে তিনটি বিষয়-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, প্রযুক্তিগত সহায়তা এবং প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে সহযোগিতা। কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, যেসব বিষয়ে সমঝোতা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে, এর মধ্যে একটি হলো ১৮০ কোটি ডলারের ১৮টি প্রিডেটর-বি আর্মড ড্রোন ক্রয়সংক্রান্ত।
আমেরিকার তৈরি এই ড্রোনগুলো দুর্গম সীমান্ত বা সামুদ্রিক এলাকায় দূরপাল্লায়ও নিখুঁত লক্ষ্যে আঘাত হানতে এবং নজরদারি চালাতে পারে। এর পাশাপাশি, যৌথভাবে যুদ্ধবিমানের (ফাইটার জেট) ইঞ্জিন বানানোর জন্য দুই দেশের মধ্যে একটি প্রতিরক্ষা চুক্তিও স্বাক্ষরিত হতে পারে। এই চুক্তি সম্পাদিত হলে ম্যাসাচুসেটসের অ্যারোস্পেস ম্যানুফ্যাকচারিং জায়ান্ট জেনারেল ইলেকট্রিক কোম্পানি (জিই) ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ত হিন্দুস্তান অ্যারোনটিকস লিমিটেডের (হ্যাল) সঙ্গে মিলে তেজস লাইট এয়ারক্র্যাফটের ইঞ্জিন বানাতে পারবে। ভারতে যেসব সংস্থা প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম তৈরি করে থাকে, এসব সমঝোতার প্রত্যাশায় সেসব সংস্থার অনেক শেয়ার দর ইতোমধ্যেই বাড়তে শুরু করেছে।
অনেকটা এ কারণেই ‘দ্য ইকোনমিস্ট’ লিখেছে, ভারতের সঙ্গে আমেরিকা এসব প্রতিরক্ষা চুক্তি করতে মরিয়া বলেই ইউক্রেন কিংবা ভারতে গণতন্ত্রের অধোগতি নিয়ে মোদির সফরে তারা নীরব থাকবে। তাদের ভাষায়, তেলের জন্য তৃষ্ণার্ত ভারত যেভাবে রাশিয়ার যুদ্ধ-অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করেছে, চীন ছাড়া অন্য কোনো দেশ ততটা করেনি। গণতান্ত্রিক স্বাধীনতার র্যাংকিংয়েও ভারত যতটা নিচে নেমেছে, ততটা খুব কম দেশই নেমেছে।
আমেরিকা থেকে মিসরে যাবেন মোদি। মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফত্তাহ আল-সিসি এ বছর নয়াদিল্লিতে প্রজাতন্ত্র দিবসের প্রধান অতিথি ছিলেন। তার আমন্ত্রণে এই প্রথম মোদি মিসর যাচ্ছেন। ২৪ ও ২৫ জুন তিনি মিসরে থাকবেন। সেখানেও একাধিক কর্মসূচি রয়েছে তার।