Logo
Logo
×

প্রথম পাতা

বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে অর্থমন্ত্রী

আইএমএফ’র পরামর্শ নেই

মূল্যস্ফীতি নিয়ে শঙ্কিত, বাজেট গরিববান্ধব * দেশে কোনো অপ্রদর্শিত আয় নেই * জ্বালানি তেলের প্রাপ্যতা নিয়ে কোনো সমস্যা নেই, চুক্তি হয়েছে-স্থানীয় সরকারমন্ত্রী * গরিব মানুষের জন্য টিআইএন বাধ্যতামূলক নয়-এনবিআর চেয়ারম্যান

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ০৩ জুন ২০২৩, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

আইএমএফ’র পরামর্শ নেই

মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ নিয়ে আমি শঙ্কিত। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে নয়। সারা বিশ্বে মূল্যস্ফীতি হচ্ছে। যেসব কারণে মূল্যস্ফীতি হচ্ছে তা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চলছে।

শুক্রবার ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, আমার মনে হয়, দেশে কোনো অপ্রদর্শিত আয় নেই। কারণ সুযোগ দেওয়া সত্ত্বেও গত এক বছরে একজনও কালোটাকা সাদা করেননি। এজন্য আগামীতে এ সুযোগ বাতিল করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, স্পষ্টভাবে বলতে চাই-আইএমএফ’র পরামর্শে আমি বাজেট করিনি। এ বাজেট গরিববান্ধব বাজেট।

জ্বালানি তেল প্রসঙ্গে প্রশ্নের জবাবে সংবাদ সম্মেলনে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেন, প্রাপ্তি নিয়ে চিন্তা নেই। প্রধানমন্ত্রী কাতার সফরে গিয়ে জ্বালানি তেল নিয়ে চুক্তি করেছেন। তিনি আরও বলেন, যুদ্ধের কারণে জিনিসপত্র পাওয়াটা বড় বিষয় ছিল। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন দেশ সফরের পর পণ্য পাওয়া নিশ্চিত হয়েছে।

আগারগাঁও বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ওই সংবাদ সম্মেলনে অর্থমন্ত্রী সবচেয়ে বেশি মূল্যস্ফীতি সংক্রান্ত প্রশ্নে জর্জরিত হন। সেখানে আরও উপস্থিত ছিলেন-কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি, শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন। এছাড়া পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম এবং প্রধানমন্ত্রীর অর্থনীতিবিষয়ক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান। আরও উপস্থিত ছিলেন-বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার, মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুর মুনিম, অর্থ সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন, পরিকল্পনা সচিব সত্যজিত কর্মকার এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব শরিফা খান।

সংবাদ সম্মেলনে মুস্তফা কামাল বলেন, ‘আমি গত বছরের বাজেট বক্তৃতায় বলেছিলাম, কেউ যদি অপ্রত্যাশিত টাকা দেশে নিয়ে আসে, তাহলে সেই টাকার কোনো কর দিতে হবে না। গত বাজেটে এ সুযোগটি দেওয়ার পরও এখন পর্যন্ত কোনো অপ্রত্যাশিত টাকা বাংলাদেশে আসেনি। তাই এবারের বাজেটে কালোটাকা সাদা করার সুযোগ রাখা হয়নি।

মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ আদৌ সম্ভব : মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে বাজেটে স্বপ্ন দেখানো হয়েছে, কিন্তু সে ধরনের উদ্যোগ নেই প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশ ব্যাংকের গর্ভনর বলেন, চলতি মাসে মুদ্রানীতি ঘোষণা করা হবে। সেখানে কিভাবে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করা হবে, রিজার্ভ বাড়ানো এবং মুদ্রার মান স্থিতিশীল রাখা হবে সেটি সুনির্দিষ্ট করে বলা হবে। তবে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সরবরাহ চেইনের সাইজ কমানো হয়নি। বিশেষ করে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) আকার ঠিক রাখা হয়েছে। এছাড়া সুদ ও ভর্তুকিতে অনেক বড় টাকা চলে গেছে। সেটি মূল্যস্ফীতিতে কোনো সমস্যা সৃষ্টি করবে না। পাশাপাশি চাহিদা কমিয়ে আনা হবে। এডিপিতে কোনো ধরনের কৃচ্ছ্রসাধন করা হবে না। এতে মূল্যস্ফীতি কমে আসবে।

ঘাটতি মেটাতে ব্যাংক থেকে টাকা ছাপানোর কোনো পরিকল্পনা আছে কিনা, আর সেটি করা হলে মূল্যস্ফীতি আরও বাড়বে-এ প্রসঙ্গে গভর্নর বলেন, বাজার থেকে ২ লাখ কোটি টাকা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কোষাগারে আনা হয়েছে। এখন ঘাটতি মেটাতে ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়া হবে। কিন্তু কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাজারে নতুন করে ৭০ হাজার কোটি টাকা ছেড়ে দিলেও যা তুলে নিয়েছে তার চেয়ে অনেক কম। ফলে টাকা ছাপানোর প্রয়োজন হবে না। এতে মূল্যস্ফীতিও হবে না।

অর্থমন্ত্রী বলেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের জন্য বাজেটে ফ্লেক্সিবল উদ্যোগ রেখেছি। মূল্যস্ফীতির প্রতিঘাত থেকে রক্ষা করতে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির মাধ্যমে খাদ্য সরবাহ করা হচ্ছে। নানা কৌশলে এটি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চলছে। তবে দায়িত্ব নেওয়ার পর মূল্যস্ফীতি ১২ শতাংশ থেকে কমিয়ে গত কয়েক বছর ৬ শতাংশের ঘরে রাখা হয়েছে। তবে এখন বিশ্বের অনেক দেশেই বেড়েছে। একটি খারাপ সময় মোকাবিলা করছি। আমেরিকার ঐতিহ্যবাহী একটি ব্যাংকও দেউলিয়া হয়েছে। তবে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, ব্যাংকক থেকে আমরা ভালো আছি।

স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, সরকারের অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনার কারণে বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতি ওই পর্যায়ে বাড়েনি। এক কথায় বলা যায় মূল্যস্ফীতি অভ্যন্তরীণ কোনো বিষয় নয়, এটা আন্তর্জাতিক বিষয়। কোভিডের পর ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের মূল্য বেড়ে যায়। এজন্য অনেক ভর্তুকি গুনতে হয়েছে। এর প্রভাবে বেড়েছে মূল্যস্ফীতিও। শুধু বাংলাদেশে নয়, ইউরোপসহ বিশ্বের অধিকাংশ দেশেই মূল্যস্ফীতি হয়েছে। ফলে এমন পরিস্থিতি হয়নি আতঙ্কিত হওয়ার। এখনো সবকিছু নিয়ন্ত্রণে আছে।

রাজস্ব আদায় : প্রস্তাবিত বাজেটে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ প্রসঙ্গে প্রশ্নের জবাবে বলা হয়, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর ৫৯ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল। সেখান থেকে বর্তমান তিন লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকায় উন্নীত হয়েছে। ফলে আগামীতে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব।

রিটার্ন দাখিল করলে যে কাউকে ২ হাজার টাকার কর দেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এতে সাধারণ মানুষ চাপের মধ্যে পড়বে এমন প্রশ্নের জবাবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম বলেন, টিআইএন’র একটি তালিকা আছে। সেখানে দেখা যাবে কারা টিআইএনধারী। আমদানিকারক, ট্রেড লাইসেন্সধারী, কমিশন এজেন্ট, গাড়ি ও বাড়ির মালিকরা রয়েছেন। সাধারণ মানুষের জন্য টিআইএন বাধ্যতামূলক নয়। নিম্ন আয়ের মানুষের টিআইএন প্রয়োজন পড়ে না। ফলে টিআইনএনধারীদের জন্য এ ২ হাজার টাকার কর বোঝা হওয়ার কথা নয়। অর্থমন্ত্রী বলেন, যাদের কর দেওয়া উচিত তারাই দেবেন, যাদের কর উচিত নয় দেবেন না।

অর্থমন্ত্রী বলেন, অনেক মধ্যবিত্ত আছেন যারা কর দেন না। কিন্তু সময় আসছে এখন সবাইকে কর দিতে হবে। এছাড়া বাজেটে করপোরেট কর অপরিবর্তিত রাখা প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, ইতঃপূর্বে কয়েক বছর করপোরেট কর ৪৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৭ শতাংশে আনা হয়েছে। প্রয়োজন হলে আরও কমানো হবে। তবে এ বছর কমানো হয়। এর সঙ্গে যুক্ত করে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, কর না দেওয়ার মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। আর প্রতিবছরই করপোরেট কর কমাতে হবে এমনটি নয়। বর্তমান কর-জিডিপির অনুপাত কম। সেটি আগামীতে বাড়াতে হবে।

বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান : সাংবাদিকদের একজন জিজ্ঞাসা করেন-প্রস্তাবিত বাজেটে এক কোটি কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং অর্থমন্ত্রী হিসাবে আপনার প্রথম বাজেটে পাঁচ কোটি কর্মসংস্থান সৃষ্টির ঘোষণা দিয়েছেন। সে প্রতিশ্রুতি পূরণ হয়েছে কিনা জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, এ পর্যন্ত ২ কোটি ৪৫ লাখ লোকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। প্রতিশ্রুতি ছিল ২ কোটি লোকের কর্মসংস্থান। বর্তমানে জনসংখ্যা বাড়ছে, সে সঙ্গে কর্মসংস্থান সৃষ্টিরও নানা উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এ জবাবের সঙ্গে কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক যোগ দিয়ে বলেন, কৃষিতে অনেক কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। এখন মজুরি দিয়ে কৃষি শ্রমিক পাওয়া যায় না।

প্রস্তাবিত বাজেটে বেসরকারি খাতে বিনিয়োগের লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়ন প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, ইতঃপূর্বে ঘোষিত সব লক্ষ্যই বাস্তবায়ন করেছি। ফলে আগামীতেও বিনিয়োগের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব। প্রস্তাবিত বাজেটে বেসরকারি খাতে বিনিয়োগের লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে জিডিপির আগামী অর্থবছরে বিনিয়োগ বাড়ানোর পরিকল্পনা গ্রহণ। জিডিপির ৬ দশমিক ৩ শতাংশ সমান সরকারি বিনিয়োগ উন্নীত করা হবে। একই সঙ্গে বেসরকারি বিনিয়োগ জিডিপির ২৭ দশমিক ৪ শতাংশে নেওয়া হবে।

বিনিয়োগ প্রসঙ্গে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম সেখানে বলেন, গ্যাস ও বিদ্যুতের দীর্ঘদিন সমস্যার কারণে বেসরকারি উদ্যোক্তারা বিনিয়োগ করেননি। বর্তমান সরকার এর সমাধান করেছে। ফলে বেসরকারি উদ্যোক্তারা বিনিয়োগ করে বড় বড় শিল্পকারখানা গড়ে তুলছেন।

আইএমএফ প্রাধান্য : প্রস্তাবিত বাজেটে আইএমএফকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে কিনা জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, আমি স্পষ্টভাবে বলতে চাই-আইএমএফ’র পরামর্শে বাজেট দেওয়া হয়নি। সার্বিকভাবে তারা পরামর্শ দিয়েছে। তবে যেটুকু গ্রহণযোগ্য তা নেওয়া হয়েছে। এতে তারা কোনো আপত্তি জানায়নি। তিনি আরও বলেন, আইএমএফ ঋণের একটি ভালো বিষয় আছে। তারা টাকা দিয়েই শেষ করে না। সামষ্টিক অর্থনীতিতে বেশকিছু প্রাক্কলন করে থাকে। পরে তারা সেটি মনিটরিং করে। স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, আইএমএফ ঋণ দেওয়ার পর সামষ্টিক অর্থনীতিকে মূল্যায়ন করে। তাদের মূল্যায়নে দেশের সামষ্টিক অর্থনীতি ভালো আছে। যে কারণে দ্রুত তারা ঋণ দিয়েছে। আমরা আইএমএফ’র কাছে যে ঋণ নিয়েছি তা খুব বেশি কিছু নয়। অনেকেই মনে করছেন অনেক কিছুই নেওয়া হয়েছে। আসলে সেই ঋণ আমাদের দেড় মাসের রেমিট্যান্সের সমান।

ব্যাংক খাত : বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে ব্যাংকিং খাত প্রসঙ্গে এলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গর্ভনর জানান, ব্যাংক কোম্পানি আইনসহ বেশকিছু আইন আগামীতে সংসদে পাশ হবে। এসব আইনের সংশোধনী মন্ত্রিসভা কমিটি অনুমোদন দিয়েছে। তবে খেলাপি ঋণ কমিয়ে আনার ব্যাপারে সরকারি ব্যাংককে ১০ শতাংশ এবং বেসরকারি ব্যাংকগুলোকে ৫ শতাংশ লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। এসব কঠোরভাবে নজরদারি করা হচ্ছে। দুর্বল কয়েকটি ব্যাংককে শনাক্ত করে তাদের সঙ্গে বৈঠকের মাধ্যমে কিছু কিছু ক্ষেত্রে লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দেওয়া হয়েছে।

রির্জাভ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আগামী ৫ মাসের আমদানি ব্যয় মেটানোর রিজার্ভ এখন আছে। চলতি হিসাব ব্যালেন্স হয়েছে। এখন ফাইন্যান্সিয়াল অ্যাকাউন্ট পজিটিভ এলে রিজার্ভ বাড়তে থাকবে।

শেয়ার বাজার : শেয়ার বাজার প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের গর্ভনর জানান, বেশকিছু নীতিগত সমস্যা সমাধান করা হয়েছে পুঁজি বাজারে। নীতি সহায়তা দেওয়া হয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করা হয়েছে। এটি চলমান প্রক্রিয়া।

জনগণের কাছ থেকে বেশি কর আদায় করা হচ্ছে, অপরদিকে প্রকল্প ঘিরে দুর্নীতি হচ্ছে। দুর্নীতি বন্ধ করার কোনো পদক্ষেপ থাকছে কিনা-এমন প্রশ্নের জবাবে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, যাচাই-বাছাই করেই প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে। ঢালাও অভিযোগ সঠিক নয়। বর্তমান নির্মাণসামগ্রীর দাম বেড়েছে। এজন্য প্রকল্প ব্যয়ও বাড়ছে।

ওই সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, বিশ্বের সব জায়গায় দাম বাড়ছে। কিন্তু আমরা গরিব ১ কোটি মানুষের জন্য সহায়তা দিচ্ছি। এক্ষেত্রে এক পরিবারে ৫ জন করে ধরলে ৫ কোটি মানুষ উপকৃত হচ্ছে। আমাদের দেশে সমস্যা আছে। মধ্যস্বত্বভোগীরা সুযোগ নিচ্ছে। আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি পরিস্থিতি উন্নতির জন্য।

Jamuna Electronics

Document
Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম