Logo
Logo
×

প্রথম পাতা

প্রধানমন্ত্রীকে হত্যাচেষ্টার সাজাপ্রাপ্ত ২ জনসহ শতাধিক বন্দি

কারাগারে রাজার হালে

মোবাইল ফোনে বাইরের নিজস্ব জগৎ নিয়ন্ত্রণ * আট বছর একই কারাগারে শীর্ষ সন্ত্রাসী কিলার আব্বাস

Icon

মাহবুব আলম লাবলু

প্রকাশ: ২৬ অক্টোবর ২০২২, ০২:০০ পিএম

প্রিন্ট সংস্করণ

কারাগারে রাজার হালে

১৯৮৯ সালের ১০ আগস্ট ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে গুলি ও গ্রেনেড হামলা চালিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা চালায় সন্ত্রাসীরা। চাঞ্চল্যকর এ মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি সৈয়দ নাজমুল মাকসুদ মুরাদ ও সোহেল ওরফে ফ্রিডম সোহেল আছে কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কারাগারে। কারাবিধি অনুযায়ী কয়েদির পোশাক পরিয়ে তাদের (কয়েদি) জন্য নির্ধারিত ভাওয়াল ভবনে রাখার কথা। কিন্তু বিধি ভেঙে এই দুজনকে বিশেষ সুযোগ-সুবিধা দিয়ে রাখা হয়েছে হাজতি ভবনের ‘ভিআইপি’ রুমে। বিনোদনের জন্য রুমের দেওয়ালে টানিয়ে দেওয়া হয়েছে ৪০ ইঞ্চি স্মার্ট টেলিভিশন। কার্পেট করা মেঝেতে আছে নরম বিছানা। আছে টেবিল ক্লথে মোড়ানো টেবিল। রুম শীতল করতে চলে টেবিল ফ্যান। দেওয়ালে লাগানো বেসিন। জানালায় দামি পর্দা। বাথরুমে হাই কমোড। পানি গরমের জন্য আছে ওয়াটার হিটার। চা, কফি, হরলিক্স বানাতে দেওয়া হয়েছে ইলেকট্রিক কেটলি। জীবনযাপনের আধুনিক সব সরঞ্জাম নিয়ে কারাগারে ৮ বছর ধরে কুখ্যাত এই দুই বন্দি আছে রীতিমতো ‘রাজার হালে’। এমনকি তারা আদালতে যাতায়াত করতে দামি পোশাকের ওপর চাপায় ব্লেজার। এই পোশাক রাখার জন্য রুমে আছে ওয়াল হ্যাঙ্গারের ব্যবস্থা।
শুধু মুরাদ ও সোহেল নয়, যুগান্তরের নিজস্ব অনুসন্ধানে আরও জানা গেছে, কাশিমপুর কারাগার ১, ২, ৩ (মহিলা ইউনিট), ৪ (হাই সিকিউরিটি) এবং কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে রুম সাজিয়ে বাসার আরামে বিলাসী জীবনযাপন করছে শতাধিক বন্দি। সার্বক্ষণিক মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেট সুবিধা ব্যবহার করে কারাগারে বসেই বাইরের নিজ নিজ জগৎ চালাচ্ছে তারা। এদের মধ্যে আছেন পুরস্কার ঘোষিত শীর্ষ সন্ত্রাসী, খুনি, ব্যবসায়ী ও রাজনৈতিক নেতা। কারাভ্যন্তরে তারা ‘ভিভিআইপি’ ও ‘ভিআইপি’ বন্দি হিসাবে পরিচিত। কারাবিধি লঙ্ঘন করে এই বন্দিদের আয়েশি জীবনের নিশ্চয়তা দিয়ে মাসে কোটি টাকার বাণিজ্য করছেন কারাগারের কতিপয় অসৎ কর্মকর্তা। কারাভ্যন্তরের একাধিক সূত্রে চাঞ্চল্যকর এসব তথ্য জানা গেছে। ‘ভিআইপি’ রুমের হালচালের ভিডিও ও বন্দিদের সার্বক্ষণিক মোবাইল ফোন ব্যবহারের ছবিও এসেছে যুগান্তরের হাতে।
সম্প্রতি কারামুক্ত একজন তার তিন বছরের বন্দি জীবনের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে যুগান্তরকে বলেন, টাকা খরচ করতে পারলে সন্ত্রাসী, অপরাধীদের জন্য সবচেয়ে নিরাপদ জায়গা কারাগার। বাইরে প্রতিপক্ষ ও পুলিশ-র‌্যাব’র ভয় থাকলেও কারাগারে নেই। প্রযুক্তির ব্যবহার করে কারাগারে বসেই সব নিয়ন্ত্রণের সুযোগ আছে। দুর্নীতিবাজ সংশ্লিষ্ট কারা কর্মকর্তার নৈতিকস্খলন এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, টাকা দিলে বন্দিরা যা চায় তাই পায়। এমনকি প্রধানমন্ত্রীকে হত্যাচেষ্টার আসামিদেরও ‘ভিআইপি’ মর্যাদায় রাখতে তাদের নৈতিকতায় বাদ সাধেনি।
জানতে চাইলে কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এএসএম আনিসুল হক বলেন, ‘সুনির্দিষ্ট তথ্যপ্রমাণ থাকলে নিয়ে আসুন। সেগুলো দেখে কথা বলব এবং দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেব।’
যুগান্তরের দীর্ঘ অনুসন্ধানে জানা গেছে, কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কারাগার-৪ এ ফাঁসির আসামি রাখার জন্য দুটি আলাদা ভবন রয়েছে। একটি আছে কয়েদি ভবন। আর সাধারণ হাজতি ভবন আছে চারটি। হাজতি ভবনে বিচারাধীন মামলার আসামিদের বন্দি রাখা হয়। কয়েদি ভবনে রাখা হয় সাজাপ্রাপ্ত কয়েদিদের। এখানকার বন্দিরা নির্ধারিত কয়েদি পোশাক পরে থাকে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত দুর্ধর্ষ আসামি সৈয়দ নাজমুল মাকসুদ মুরাদ ও সোহেল ওরফে ফ্রিডম সোহেলকে কয়েদি ভবনে রাখার জন্য পাঠানো হয়। কিন্তু বিশেষ সুবিধা পাইয়ে দিতে তাদের রাখা হয়েছে হাজতি ভবনের (সৈকত ও নীলগিরি ভবন) রুমে। ভারতে পলাতক পুরস্কার ঘোষিত শীর্ষ সন্ত্রাসী জাফর আহমেদ মানিকের এক সময়ের ঘনিষ্ঠ সহচর মুরাদ ও ফ্রিডম সোহেল মোবাইল ফোনে বাইরে সহযোগীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে। অভিযোগ আছে, সিনিয়র জেল সুপার আব্দুল জলিল মোটা অঙ্কের টাকা মাসোহারায় কুখ্যাত এই দুই বন্দিকে কারাগারে বিশেষ সুবিধার ব্যবস্থা করেছেন। 
আরও জানা গেছে, হাই সিকিউরিটি জেলে ‘রাজার হালে’ আছে বাড্ডার গোল্ডেন মনির, বহিষ্কৃত যুবলীগ নেত্রী শামীমা নূর পাপিয়ার স্বামী মফিজুর রহমান চৌধুরী সুমন ও নূরুন্নবী অপু। বিলাসী রুমে বাড়তি সুবিধা পেতে সিনিয়র জেল সুপার আব্দুল জলিলকে ‘ম্যানেজ’ করেছে গোল্ডেন মনির ও সুমন-এমন অভিযোগ সংশ্লিষ্টদের। ডেপুটি জেলার শরীফ আলী আফজালের মাধ্যমে সে বিভিন্ন সুবিধা নেয়। তবে আফজাল অভিযোগ অস্বীকার করে বলে, ‘আমি কারাগার-২ এ কাজ করি। আমি অন্য জেলের বন্দিদের সুবিধা দেব কীভাবে? সরকারবিরোধী একটি চক্র আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে নেমেছে।’
জানতে চাইলে সিনিয়র জেল সুপার আব্দুল জলিল যুগান্তরকে বলেন, ‘এখন সরকারিভাবেই বন্দিদের রুমে টিভি দেওয়ার নিয়ম আছে। আর চিকিৎসকদের পরামর্শ থাকলে বাথরুমে কমোডের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়। যেসব রুমে সিলিং ফ্যানের ব্যবস্থা নেই সেসব রুমে টেবিল ফ্যান দেওয়া হয়েছে।’ প্রধানমন্ত্রীর হত্যাচেষ্টা আসামিরা বিশেষ সুবিধায় থেকে সার্বক্ষণিক মোবাইল ফোন ব্যবহার করছে কীভাবে-এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘তাদের বিশেষ সুবিধা দেওয়া হচ্ছে না। এক সময় তারা বিশেষ সুবিধা পেলে পেতে পারে। কিন্তু এখন পাচ্ছে না।’ 
কাশিমপুর-১ : জানা গেছে, কারাবিধি ভেঙে ‘ভিআইপি’ সুবিধা যারা ভোগ করছেন তাদের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে দেশে অনলাইন ক্যাসিনো ব্যবসার জনক সেলিম প্রধান। সে চিত্রা ভবনের চতুর্থতলায় দুটি রুম সাজিয়ে থাকছে। পরিদর্শন দলের কাছে সে ৩ বার মোবাইল ফোনসহ ধরা পড়ে। সবশেষ গত সপ্তাহে মোবাইলসহ ধরা পড়লে তার ডিভিশন বাতিল করা হয়। এছাড়া বিতর্কিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-ভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রাসেল, ই-অরেঞ্জের আমান, দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত সাবেক কারা কর্মকর্তা পার্থ গোপাল বণিক, রাজধানীর রামপুরার শীর্ষ সন্ত্রাসী কাইল্যা পলাশ, মতিঝিলের সন্ত্রাসী ইদুলসহ বেশ কিছু বন্দি কাশিমপুর-১ কারাগারে বিলাসী জীবনযাপন করছে। এদের সবার রুমেই প্রায় একই ধরনের সুযোগ-সুবিধা আছে। গণপূর্ত অধিদপ্তরের অনুমতি ব্যতিরেকে রাতের অন্ধকারে স্থানীয় মিস্ত্রিদের কারাগারে ঢুকিয়ে রুমগুলোতে বিশেষ সুবিধার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে। আর এই অনৈতিক কাজের সঙ্গে ডেপুটি জেলার মফিজুল ইসলাম শাকিল জড়িত বলে অভিযোগ আছে। কারাগার থেকে সদ্য মুক্তিপ্রাপ্ত একজন বন্দি জানান, টাকা দিতে দেরি হলে সব সুযোগ-সুবিধা বন্ধ করে দেওয়া হয়। পুনরায় তা চালু করতে নেওয়া হয় দ্বিগুণ টাকা। এছাড়া তার তত্ত্বাবধানে কারারক্ষী ও নায়েকরা বন্দিদের চাহিদামতো মাদক সরবরাহ করে থাকেন। এজন্য মাদকের প্রকারভেদে দিতে হয় আলাদা টাকা। গত ৬ মাসে কাশিমপুর কারাগারে মাদকসহ তিন কারারক্ষী গ্রেফতার হয়েছেন। জানতে চাইলে মোবাইল ফোনে শাকিল জানান, ‘এ ধরনের কোনো বিষয় আমার জানা নেই।’
কাশিমপুর-২ : অনুসন্ধানে জানা গেছে, কারাগারের ‘৬০ সেল পশ্চিম ভবন’-এর তৃতীয়তলার একটি কক্ষে রীতিমতো ‘ভিআইপি স্যুট’ বানিয়ে আছে পুরস্কার ঘোষিত কুখ্যাত শীর্ষ সন্ত্রাসী কিলার আব্বাস। শীর্ষ সন্ত্রাসী ও দাগি অপরাধীদের ১ বছর পরপর এক জেল থেকে অন্য জেলে স্থানান্তরের নিয়ম থাকলেও আব্বাস এই জেলে আছে ৮ বছর ধরে। তার রুমে ৪২ ইঞ্চি স্মার্ট টেলিভিশন, তোশকের তৈরি নরম বিছানা, দুটি টেবিল ফ্যানসহ রয়েছে নানা বিলাসদ্রব্য। সেখানে বসেই সে মোবাইল ফোনে মিরপুর, কাফরুল, শেরেবাংলা নগরসহ আশপাশের এলাকার অপরাধ জগৎ নিয়ন্ত্রণ করছে। আব্বাসের পাশের রুমেই ভিআইপি সুবিধা নিয়ে আছে সাভারের রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির ভবন মালিক রানা। এছাড়া নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সাত খুন মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি নূর হোসেন, লে. কর্নেল তারেক সাঈদ, মেজর রানা, ঢাকার ইস্কাটনের জোড়া খুনের মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত সাবেক সংসদ-সদস্য পিনু খানের ছেলে বখতিয়ার আলম রনিসহ আরও বেশ কয়েকজন আসামি আছে ভিআইপি মর্যাদায়। 
কারারক্ষী সূত্রে জানা গেছে, সাত খুন মামলার অন্যতম সাজাপ্রাপ্ত আসামি সাবেক র‌্যাব কর্মকর্তা তারেক সাঈদ প্রকাশ্যেই মোবাইল ফোন ব্যবহার করে। তাকে মোবাইল ফোন ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছেন জেল সুপার আমিরুল ইসলাম। এ বিষয়টি কারারক্ষীদের রোলকলের সময় সংশ্লিষ্ট সবাইকে জানিয়ে দেন।
জানতে চাইলে জেল সুপার আমিরুল ইসলাম বলেন, ‘বন্দিরা কারাবিধির বাইরে কোনো সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছে না। এর বাইরে আমি আর কিছু বলতে চাই না।’
কারাগারেও দাপটে পাপিয়া : কাশিমপুর-৩ কারাগারটি মহিলা বন্দিদের জন্য নির্ধারিত। এ কারাগারের ‘ভিআইপি’ বন্দি বহুল আলোচিত বহিষ্কৃত যুব মহিলা লীগ নেত্রী শামীমা নূর পাপিয়া। অস্ত্র মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি পাপিয়ার দাপটে তটস্থ থাকেন অন্য বন্দিরা। তার রুমে নিয়মিত সরবরাহ করা হয় বিদেশি মদের বোতল। তাকে মদের বোতল সরবরাহ ও অনৈতিক সুবিধা দেওয়ার দায়ে ২ মাস আগে ভারপ্রাপ্ত জেলার শরীফকে বদলি করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, কারাগারের অন্য বন্দিদের নির্যাতনের ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করে পাপিয়া। বন্দিদের ওপর সে টর্চারও করে। জানা গেছে, ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-ভ্যালির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনকে নির্যাতনের ভয় দেখিয়ে পাপিয়ার মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ আছে। অবশ্য টাকা নেওয়ার পর তাকে রুম সুবিধা পাইয়ে দিয়েছিল পাপিয়া। এছাড়া করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট জালিয়াতির মামলায় আলোচিত জেকেজির চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনাও ‘ভিআইপি’ সুবিধা নিয়ে আছে।
সূর্যমুখী ভবনে টাকার মেশিন : জানা গেছে, কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সূর্যমুখী ভবনে বেশি আছে ‘ভিভিআইপি’ বন্দিরা। তাদের অনৈতিক সুবিধা পাইয়ে দিতে ডেপুটি জেলার মনিরুল ইসলাম পলাশ বিশেষ ভূমিকা রাখেন বলে অভিযোগ আছে। সূর্যমুখী ভবনসহ কারাভ্যন্তরে অন্তত ১০০ বন্দি আছে যারা ‘ভিভিআইপি ও ভিআইপি’ হিসাবে পরিচিত। এদের কাছ থেকে আসা মাসোহারা সিনিয়র জেল সুপারসহ কতিপয় কর্মকর্তা ভাগবাটোয়ারা করেন-এমন অভিযোগ সংশ্লিষ্টদের। 
জানতে চাইলে সিনিয়র জেল সুপার সুভাষ কুমার ঘোষ বলেন, ‘আসামিদের কারাবিধির বাইরে বাড়তি কোনো সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয় না। বাসাবাড়ির আদলে রুম সাজিয়ে কোনো বন্দির থাকার সুযোগ নেই। এই তথ্য সঠিক নয়।’ ডেপুটি জেলার মনিরুল ইসলাম বন্দিদের বাড়তি সুযোগ পাইয়ে দিয়ে অর্থ আদায় করেন, এটা আপনাদের দৃষ্টিতে আছে কিনা-এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘একজন ডেপুটি জেলারের পক্ষে বন্দিদের বাড়তি সুযোগ পাইয়ে দিয়ে টাকা আদায়ের কোনো সুযোগ নেই।’
আরও জানা গেছে, সূর্যমুখী ভবনে যারা আয়েশি জীবনে আছে তাদের অন্যতম হলো-প্রাইম ব্যাংকের পরিচালক কাজী কামাল (দ্বিতীয়তলা), প্রধানমন্ত্রীর সই জালকারী সাবেক ছাত্রলীগ নেতা তরিকুল (তৃতীয়তলা), প্রতারক সাহেদ (তৃতীয়তলা), জাপানি বাবু (তৃতীয়তলা), ১২ টুকরা সুমন (বকুল ভবন), ডেসটিনির রফিকুল আমিন ও ডিআইজি মিজান। বিশেষ সুবিধা পেতে এদের প্রত্যেককে মোটা অঙ্কের টাকা গুনতে হয়। একইভাবে ছিল বিতর্কিত ঠিকাদার জিকে শামীম, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন ও সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার পিএস মনির (দ্বিতীয়তলা)। সম্প্রতি তাদের কেরানীগঞ্জ থেকে কাশিমপুর কারাগারে পাঠানো হয়েছে। জানা গেছে, চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি আশীষ রায় চৌধুরী ওরফে বোতল চৌধুরীকে বিশেষ সুবিধা দিয়ে তার কাছ থেকেও মাসোহারাসহ এককালীন মোটা অঙ্কের টাকা নেওয়ার অভিযোগ আছে।
 

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম