সারের দাম বৃদ্ধিতে পণ্যমূল্য আরও বাড়বে
মনির হোসেন
প্রকাশ: ০২ আগস্ট ২০২২, ০২:০০ পিএম
প্রিন্ট সংস্করণ
ইউরিয়া সারের দাম বাড়ানোয় বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা। এতে কৃষি উৎপাদনে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। কৃষকরা বলছেন, এবার বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টি একেবারে কম হওয়ায় সেচের ব্যয় বেড়েছে।
এরপর রয়েছে-বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সংকট। এ অবস্থায় সারের দাম বাড়ানোয় তারা চোখে শর্ষে ফুল দেখছেন। সবকিছু মিলে কৃষি খাতে উৎপাদনের খরচ বাড়বে। এরফলে কৃষকদের একটি অংশ জমির আবাদ কমানোর কথা বলছেন। অর্থনীতিবিদ ও কৃষি বিশেষজ্ঞদের মতে, আগামী মৌসুমে চালসহ কৃষিপণ্য এবং কৃষিভিত্তিক শিল্প পণ্যের দাম বাড়বে।
তবে কেউ কেউ বলছেন, উৎপাদন খরচ কিছুটা বাড়লেও খুব বেশি আশঙ্কার কারণ নেই। অবশ্য কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, দাম কিছুটা বৃদ্ধির ফলে কৃষকদের মাত্রাতিরিক্ত ইউরিয়া ব্যবহারের প্রবণতা কমবে। অপরদিকে দাম ভালো পেলে কৃষকরা তেমন একটা ক্ষতিগ্রস্ত হবে না।
সোমবার থেকে ইউরিয়া সারের দাম কেজিতে ৬ টাকা বাড়িয়েছে সরকার। এরফলে কৃষককে প্রতি কেজি সার ১৬ টাকার পরিবর্তে কিনতে হবে ২২ টাকায়। শতকরা হিসাবে এই বৃদ্ধি প্রায় ৩৮ শতাংশ। আর একজন ডিলার পর্যায়ের দাম ১৪ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২০ টাকা করা হয়েছে। দাম বাড়ানোর কারণ হিসাবে সরকার বলছে, আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যটির দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে। এছাড়াও ইউরিয়ার ব্যবহার যৌক্তিক পর্যায়ে রাখতে এ সিদ্ধান্ত।
সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, সাম্প্রতিক সময়ে আর্ন্তজাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছ থেকে ঋণ পাওয়ার চেষ্টা করছে সরকার। এক্ষেত্রে ভর্তুকি কমাতে আইএমএফের চাপ রয়েছে। সারের দাম বাড়ানোর জন্য এটিও একটি কারণ।
জানতে চাইলে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. এবি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম যুগান্তরকে বলেন, ‘সারের মূল্য বৃদ্ধির কারণে পণ্যের দামে প্রভাব পড়বে। বিশেষ করে কৃষি পণ্যের দাম বেড়ে যাবে। এছাড়াও দাম বাড়বে কৃষিভিত্তিক বিভিন্ন শিল্প পণ্যের। সামগ্রিকভাবে যা মূল্যস্ফীতিতে প্রভাব ফেলবে।
অর্থাৎ এমনিতে মূল্যস্ফীতি অস্বাভাবিকভাবে বাড়ছে। সেটি আরও বাড়বে’। তিনি বলেন, ‘ইউক্রেন রাশিয়ার যুদ্ধের কারণে বিশ্ববাজারে সারের দাম বেড়েছে। এক্ষেত্রে দেশের বাজারে দাম স্থিতিশীল রাখার জন্য সরকারের কাছে বিকল্প ছিল ভর্তুকি বাড়ানো। বর্তমানে সামষ্টিক অর্থনীতির যে অবস্থা সেখানে ভর্তুকি বাড়ানো কঠিন।’
এদিকে কৃষকরা বলছেন, চলতি আমন মৌসুমে উৎপাদন ব্যয় উঠবে কিনা-তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। বেশি সমস্যায় আছেন বর্গাচাষিরা। তারা বলছেন, সারের দাম বৃদ্ধি এবং অনাবৃষ্টিসহ শ্রমিক ব্যয় ও আনুষঙ্গিক যে ব্যয় হবে, তাতে চলতি মৌসুমে আমন চাষে নির্ঘাৎ লোকসান হবে। এর সঙ্গে তাদের নিজেদের শ্রমের মূল্য যুক্ত করলে লোকসানের পাল্লা আরও ভারি হবে। যে সব জেলায় বেশি ধান উৎপাদন হয়, তার মধ্যে দিনাজপুর অন্যতম। কিন্তু সারের দাম বাড়ানোয় দুশ্চিন্তার কথা বলছেন জেলার কৃষকরা। তাদের মতে, এক একর জমিতে এবার আমন আবাদ করতে খরচ বাড়বে ৫শ টাকা এবং বোরো আরও বেশি।
দিনাজপুর সদর উপজেলার উত্তর মহেষপুর গ্রামের কৃষক সলিল বসাক জানান, প্রতি একর জমিতে আমন আবাদ করতে ইউরিয়া সারের প্রয়োজন হয় ৮০ থেকে ৯০ কেজি, টিএসপি সার লাগে ৪০ কেজি, পটাশ ৪০ কেজি, জিংক ৪ কেজি এবং সালফারের প্রয়োজন হয় ২ কেজি। আর কীটনাশক প্রয়োগ করতে খরচ হয় ৪২শ টাকা থেকে ৪৩শ টাকা। জমিতে হালচাষ, ধান রোপণ থেকে কর্তন পর্যন্ত সারসহ সব মিলিয়ে প্রতি একর জমিতে আমন আবাদ করতে খরচ হতো ৩৪ থেকে ৩৬ হাজার টাকা। আর আমন আবাদ হয় প্রতি একরে ৪০ থেকে ৪৫ মন। ধান বিক্রি করে অধিকাংশ টাকাই চলে যায় এই উৎপাদন খরচে। কিন্তু হঠাৎ ইউরিয়া সারের দাম বৃদ্ধিতে প্রতি একর জমিতে বাড়তি খরচ গুনতে হয় ৫শ থেকে ৬শ টাকা। তাই ধানের দাম ভালো না পেলে লোকসান গুনতে হবে তাদের।
দিনাজপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক (শস্য) মো. খালেদুর রহমান মঙ্গলবার যুগান্তরকে বলেন, ‘কৃষকরা বরাবরই মাত্রাতিরিক্ত ইউরিয়া সার ব্যবহার করে থাকেন। এ বিষয়ে কৃষকদের সচেতন করার চেষ্টা করা হলেও কাজ হয় না’। তিনি দাবি করেন, ‘দাম কিছুটা বৃদ্ধির মাত্রাতিরিক্ত ইউরিয়া সারের ব্যবহারের প্রবণতা কমবে। এতে জমির উর্বরা শক্তিও ঠিক থাকবে।’ খালেদুর রহমান আরও জানান, চলতি মৌসুমে দিনাজপুর জেলায় ২ লাখ ৬০ হাজার ৮২৫ হেক্টর জমিতে আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ২ আগস্ট পর্যন্ত ৬০ শতাংশ জমিতে আমন রোপণ সম্পন্ন হয়েছে।
রাজশাহীর তানোর উপজেলার পাঁচন্দর মহল্লার ধানচাষি আসাদুজাম্মান মিঠু জানান, ‘তিনি এ বছর আড়াই বিঘা জমিতে আমন চাষ করেছেন। চারা রোপণ করতেই ১৪ হাজার টাকা খরচ। এর মধ্যে অনাবৃষ্টির কারণে তাকে সেচ বাবদ বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে (বিএমডিএ) দিতে হয়েছে ৩ হাজার টাকা। শ্রমিক বাবদ গুনতে হয়েছে ৫ হাজার, সার বাবদ ব্যয় ২ হাজার, ধানের চারা এবং হালচাষে খরচ আরও ৪ হাজার টাকা। তিনি বলেন, এক বিঘা জমিতে চারা রোপণ থেকে শুরু করে ধান মাড়াই পর্যন্ত খরচ হয় ১৫ থেকে ১৭ হাজার টাকা পর্যন্ত। আড়াই বিঘা জমিতে আমার খরচ হবে অন্তত ৪২ থেকে ৪৩ হাজার টাকা। কিন্তু এই জমিতে সর্বোচ্চ ৫০ মন ধান হবে। আবার ধান মাড়াইয়ে ৫ মনে ১ মন করে পারিশ্রমিক দিতে হয়। ফলে ঘরে ধান উঠবে ৪০ মন। প্রতি মনের দাম সর্বোচ্চ ১ হাজার টাকা থাকলে আয় হবে ৪০ হাজার টাকা। অর্থাৎ ২ থেকে ৩ হাজার টাকা লোকসান হবে। এরপর প্রাকৃতিক দুর্যোগের আশঙ্কা তো রয়েছেই। এখন যদি আবার সারের দামে বাড়তি পয়সা গুনতে হয় তাহলে তো কী করব বুঝতে পারছি না।’
রাজশাহীর পবা উপজেলার ভালাম এলাকার চাষি আব্দুল করিম জানান, তিনি এবার পাঁচ বিঘা জমিতে ধানচাষ করেছেন। গত ১৫ দিন আগে তিনি জমিতে ধানের চারা রোপণ করেছেন। এ বছর অনাবৃষ্টির কারণে চারা রোপণের সময়েই তাকে সেচ বাবদ বাড়তি ছয় হাজার টাকা খরচ করতে হয়েছে।
এছাড়া অকস্মিভাবে ইউরিয়া সারের দাম বৃদ্ধির কারণে তিনি বেকায়দায় পড়েছেন। তিনি বলেন, এক বিঘা জমিতে ধানচাষে রোপণ থেকে শুরু করে শেষ পর্যন্ত তিনবার ইউরিয়া ও পটাশ এবং তিনবার কীটনাশক প্রয়োগ করতে হয়। বিঘাপ্রতি শুধু ইউরিয়ার জন্য প্রয়োজন ৪ হাজার টাকা। ইউরিয়ার দাম বৃদ্ধিতে বিঘাপ্রতি আরও অন্তত এক হাজার টাকা বেশি লাগবে। এটি মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা।
জেলার গোদাগাড়ী উপজেলার বর্গাচাষি আব্দুল হাকিম জানান, তিনি চলতি মৌসুমে আট বিঘা জমি বর্গা নিয়ে আমন চাষ করেছেন। অনাবৃষ্টির কারণে তাকে সেচ বাবদ প্রথমেই ১৫ হাজার টাকা খরচ করতে হয়েছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে সারের মূল্য বৃদ্ধি। মৌসুমের শুরুতেই ইউরিয়ার দাম বৃদ্ধির কারণে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়েছে।
জানতে চাইলে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) গবেষণা পরিচালক ড. খোন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম মঙ্গলবার যুগান্তরকে বলেন, সারের দাম না বাড়িয়ে সরকারের সামনে বিকল্প ছিল ভর্তুকি বাড়ানো। বাজেটেও কৃষিতে ভর্তুকি বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে।
কিন্তু বিশ্ববাজারে দাম বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন কারণে ভর্তুকি বাড়ানো কঠিন হয়ে যাচ্ছিল। এ কারণে বাড়তি চাপ কমাতেই সারের দাম বাড়ানো হয়েছে। তিনি বলেন, মনে হচ্ছে, প্রভাব সীমিত আকারে থাকবে। কারণ হিসাব করে দেখেছি, সারের দাম বাড়ানোর ফলে প্রতি কেজি ধান উৎপাদনে ২০ পয়সা বাড়তি ব্যয় হবে। অন্যদিকে যেহেতু চালের দাম ঊর্ধ্বমুখী। এরপর সারের দাম বাড়ানোয়, আগামী মৌসুমে যে চাল বাজারে আসবে, তার মূল্যে কিছুটা প্রভাব পড়বে। তবে সামগ্রিকভাবে মনে হচ্ছে, অত বেশি আশঙ্কার কারণ নেই।
সরকার বলছে, আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি কেজি ইউরিয়া সারের বর্তমান দাম ৮১ টাকা। এর ফলে ৬ টাকা দাম বাড়ানোর পরও সরকারকে প্রতি কেজিতে ৫৯ টাকা ভর্তুকি দিতে হবে। ডিএপি সারে শতকরা ১৮ শতাংশ নাইট্রোজেন বা ইউরিয়া সারের উপাদান রয়েছে। সেজন্য ডিএপির ব্যবহার বাড়িয়ে ইউরিয়া সারের অপ্রয়োজনীয় ও মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার কমিয়ে আনার জন্য সরকার ডিএপি সারের মূল্য প্রতি কেজি ৯০ টাকা থেকে কমিয়ে ১৬ টাকা করে কৃষকদের দিয়ে যাচ্ছে। এ উদ্যোগের ফলে বিগত কয়েক বছরে ডিএপি সারের ব্যবহার দ্বিগুণ বেড়েছে। ২০১৯ সালে ডিএপি ব্যবহার হতো ৮ লাখ টন, বর্তমানে ব্যবহার হচ্ছে ১৬ লাখ টন। ডিএপি সারের ব্যবহার বাড়ার ফলে ইউরিয়া সারের ব্যবহার কমার কথা। কিন্তু বাস্তবে ইউরিয়ার বেড়েছে। ২০১৯ সালে ইউরিয়া ব্যবহার হতো ২৫ লাখ টন, বর্তমানে ব্যবহার হচ্ছে ২৬ লাখ ৫০ হাজার টন।
অর্থনীতিবিদদের মতে, বাংলাদেশে তিন ধরনের পণ্যের আমদানি, মোট আমদানি ব্যয়ের ৩০ শতাংশের বেশি। এগুলো জ্বালানি, খাদ্য এবং সার। কিন্তু ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে বিশ্ববাজারে তিন ধরনের পণ্যের দামই অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে। এতে সারে সরকারের ভর্তুকিও বেড়েছে প্রায় ৪ গুণ। মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে, ২০১৮-১৯ থেকে ২০২১-২২ অর্থবছর পর্যন্ত সাড়ে ৫০ হাজার কোটি টাকার বেশি ভর্তুকি দিয়েছে সরকার।
যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার শালবরাট গ্রামের কৃষক সুনীল দেবনাথ বলেন, ‘এ বছর ৭ বিঘা জমিতে ধান ও সবজি চাষ করি। সারের দাম বেড়ে যাওয়ায় খুব টেনশনে আছি। সিদ্ধান্ত নিয়েছি ২ বিঘা জমিতে এবার আবাদই করব না। কারণ আমার পক্ষে সম্ভব হবে না। ইউরিয়া সারে কেজি ৬ টাকা বেড়েছে। অন্যান্য সারের দামও বেশি। ডিলার ইচ্ছামাফিক সারের দাম নেবে। এত টাকায় সার কিনে আবাদ করা সম্ভব নয়। একই জেলার সিংহঝুলি গ্রামের কৃষক জামশেদ আলী জানান, সারের দাম বাড়ানোয় উৎপাদন খরচ যেভাবে বাড়বে, সেই তুলনায় কৃষিপণ্যের দাম মিলবে না। ফলে লোকসানের বোঝা বাড়বে।’
যশোর সদর উপজেলার সুলতানপুর গ্রামের কৃষক সরদার ফরিদ আহমেদ বলেন, প্রতি বছর সার, বিদ্যুৎ, ডিজেলসহ কৃষি সরঞ্জামের দাম বাড়ে। আর চাষাবাদে নিজের পারিশ্রমিক হিসাব করলে লোকসান হয়। প্রাকৃতিক দুর্যোগে ফসলের ক্ষতি হলে আত্মহত্যা ছাড়া উপায় থাকে না। সরকারি যেসব বরাদ্দ আসে, সেগুলো প্রকৃত কৃষকের কাছে পৌঁছায় না। এমন পরিস্থিতি সারের দাম বৃদ্ধি মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা।
বরিশালের বানারীপাড়ার বাইশারী ইউনিয়নের কৃষক ছত্তার আলী বলেন, মূলত ধান চাষে ইউরিয়া সার ব্যবহার করা হয়। বর্ষার মৌসুমে বেশি ব্যবহার হয়। ১ একর জমিতে প্রায় ১শ কেজি ইউরিয়া সারের প্রয়োজন হয়। তবে এই সারের দাম বৃদ্ধির খবর শুনেছি, এতে অনেক খরচ বাড়বে। ধান চাষ করা আমাদের জন্য কষ্ট হয়ে দাঁড়াবে।
বাবুগঞ্জের রাকুদিয়ার কৃষক শাহ আলম বলেন, আমরা বর্তমানে ২০ থেকে ২৫ টাকা করে ইউরিয়া সার কিনে থাকি। সরকার ৬ টাকা করে বৃদ্ধি করেছে, এখন সেই সার কিনতে হবে ৩০ টাকার বেশিতে। প্রতি একর জমিতে ৫০ কেজি করে দুইবারে ১শ কেজি ইউরিয়া সার দিতে হয়।
সেই হিসাবে প্রতি একর জমিতে ইউরিয়া সার কিনতে ৬শ টাকা করে বেশি খরচ হবে। পিরোজপুরের কাউখালীর কৃষক সাহাব উদ্দিন বলেন, ৭ একর জমিতে আমি ধান চাষ করে থাকি প্রতিবছর। সব খরচ মিলিয়ে ১ একর জমিতে ২৫ হাজার টাকা খরচ হয়, আর ধান উৎপাদন হয় গড়ে ৩০ মন। এই ধান বিক্রি করে ৩০ হাজার টাকাও পাওয়া যায় না। এর মধ্যে সারের দাম বাড়লে আমাদের লাভ কি থাকবে বুঝতেছি না।
রিপোর্টটি তৈরি করতে সহায়তা করেছেন যুগান্তরের রাজশাহী, যশোর ও বরিশাল ব্যুরো এবং দিনাজপুর জেলা প্রতিনিধি