সরে যাচ্ছেন পরিচালকরা
মিথ্যা তথ্যে প্রস্তাবিত পিপলস ব্যাংক
তিন দফা সময় বাড়িয়েও মূলধনের অর্থ জমা দিয়ে কার্যক্রম শুরু করতে পারেনি
মাহবুব আলম লাবলু
প্রকাশ: ১৪ অক্টোবর ২০২১, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
মিথ্যা তথ্য দিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে প্রাথমিক সম্মতিপত্র পেয়েছে পিপলস ব্যাংক। এরপর প্রায় দুবছর ধরে পরিচালক নিয়োগের নামে অর্থ লোপাটে চলছে নানামুখী তৎপরতা। এর নেপথ্যে রয়েছেন প্রস্তাবিত ব্যাংকটির চেয়ারম্যান মার্কিন প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিক আবুল কাশেম।
ইতোমধ্যেই ঋণের টাকা ব্যাংকের পরিশোধিত মূলধন হিসাবে দেখাতে গিয়ে বিএফআইইউর তদন্তে অভিযুক্ত হয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। এমন পরিস্থিতিতে ব্যাংক প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন বেশ কয়েকজন পরিচালক। আবার অনিয়মের অভিযোগে দুই পরিচালককে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশে বাদ দেওয়া হয়েছে।
যুগান্তরের অনুসন্ধান ও বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) তদন্তে প্রস্তাবিত ব্যাংকটির এসব অনিয়মের তথ্য উঠে এসেছে।
আরও জানা গেছে, প্রাথমিক সম্মতিপত্র পাওয়ার দুই বছর চলে গেলেও এখন পর্যন্ত মূলধন জমা দিতে পারেনি ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। নানা অজুহাতে তিন দফা সময় বাড়িয়ে নেওয়া হয়েছে। প্রস্তাবিত প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠলেও রহস্যজনকভাবে নির্বিঘ্নে সময় বাড়ানোর বিষয়টি বিবেচনা করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক-এমন অভিযোগ সংশ্লিষ্টদের।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাগজপত্রে দেখা গেছে, তিন দফা সময় বাড়িয়েও পরিশোধিত মূলধনের অর্থ জমা করতে না পারায় প্রাথমিক সম্পত্তিপত্রও এখন বাতিলের শঙ্কায়। গত ৮ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংকের এক চিঠিতে বলা হয়েছে. ‘বিশেষ বিবেচনায় আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত শেষবারের মতো সময় বৃদ্ধি করা হলো। বর্ধিত সময়ের মধ্যে প্রযোজ্য শর্তাবলি পূরণ করে লাইসেন্স গ্রহণের আবেদনে ব্যর্থ হলে ইস্যুকৃত ‘লেটার অব ইনটেন্ট (এলওআই)’ চূড়ান্তভাবে বাতিল বলে গণ্য হবে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম বৃহস্পতিবার মোবাইল ফোনে যুগান্তরকে বলেন, এলওআইয়ের শর্ত পূরণ করার জন্য প্রস্তাবিত পিপলস ব্যাংক তিন মাস সময় চায়। বোর্ড তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সময় দিয়েছে। এ সময়ে তারা শর্ত পূরণ করতে না পারলে নিয়ম অনুযায়ী তাদের এলওআই বাতিল হয়ে যাবে।
মিথ্যা তথ্য দিয়ে সম্পত্তিপত্র নেওয়ার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, ‘ব্যাংকটির আবেদনের নথিপত্রে কিছু গরমিল আছে। আমাদের নিজস্ব মেকানিজমে সবই বের হচ্ছে। বিদেশ থেকে ব্যাংকিং চ্যানেলের বাইরে কেউ টাকা এনে তা মূলধন হিসাবে দেখাতে চাইলে সেটিও ধরা পড়বে।’ আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রস্তাবিত ব্যাংকটির যারা পরিচালক, তাদের অ্যাকাউন্টে পর্যাপ্ত টাকা জমা নেই।’
সংশ্লিষ্ট নথিপত্রে দেখা গেছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের ২০১৯ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারির পরিচালনা পর্ষদের সভায় বেঙ্গল কমার্শিয়াল, সিটিজেন ও পিপলস নামে নতুন তিনটি ব্যাংকের নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়। এর মধ্যে দুটি ব্যাংক বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু করলেও অস্তিত্ব সংকটে পিপলস ব্যাংক।
গোড়ায় গলদ : ব্যাংকটির আবেদন নথিতে আবুল কাশেম নিজেকে ২৩৬ ইস্ট সেকেন্ড স্ট্রিট ব্রুকলীন, নিউইয়র্কের বাসিন্দা ও একজন ব্যবসায়ী হিসাবে পরিচয় দেন। তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নাম কাশেম কনট্রাকটিং ইনক। সেখানে তার রিয়েল এস্টেট ব্যবসা আছে বলেও দাবি করা হয়। ১৫ বছর ধরে সেখানে তিনি ব্যবসা করেন। ২০১৮ সালের ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত সেখানে তার ৫১ লাখ ২২ হাজার মিলিয়ন ডলারের সম্পদের তথ্য তুলে ধরা হয় আবেদনে।
এর মধ্যে ব্যাংকে নগদ ৬২ হাজার ১৫০ ডলার, লাইফ ইনস্যুরেন্স পলিসি ১১ হাজার ৩২২ ডলার, রিয়েল এস্টেট ব্যবসায় বিনিয়োগ ২১ লাখ ৬২ হাজার ডলারসহ বিভিন্ন খাতের ৫১ লাখ ৩৯ হাজার ১৬ ডলারের স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের তথ্য দেওয়া হয়। বিপরীতে সেখানে ব্যাংকে তার দেনা দেখানো হয় ৫ হাজার ১২২ ডলার।
সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানিয়েছে, প্রকৃতপক্ষে আমেরিকায় তার এত বিপুল পরিমাণ সম্পদ নেই। তার এই সম্পদ বিবরণীর নথিপত্র মিথ্যা তথ্য দিয়ে তৈরি করে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে জমা দেওয়া হয়। এ কারণে লেটার অব ইনটেন্টের ৩ নম্বর শর্ত গত দুই বছরেও পূরণ করতে পারেননি আবুল কাশেম। ৩ নম্বর শর্তে বলা আছে, ব্যাংকের প্রস্তাবিত চেয়ারম্যান আবুল কাশেমের বাংলাদেশি নেটওয়ার্থের ৫৬ লাখ টাকা বাদে অবশিষ্ট প্রয়োজনীয় অর্থ যুক্তরাষ্ট্রে তার নেটওয়ার্থ হিসাবে প্রদর্শিত সম্পদ থেকে অর্জিত অর্থ ব্যাংকিং চ্যানেলে দেশে আনতে হবে।
নিউইয়র্কের ‘পুরোনো বাংলাদেশি কমিউনিটির একজন নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বুধবার রাতে মোবাইল ফোনে যুগান্তরকে বলেন, আবুল কাশেমের পক্ষে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এই শর্ত পূরণ করা কোনোভাবেই সম্ভব নয়। কারণ ব্যাংকে তিনি যে সম্পদের হিসাব জমা দিয়েছেন তার বেশির ভাগই মিথ্যা। এখন নিউইয়র্কে তার ব্যবসা বলতে কিছুই নেই। রিয়েল এস্টেট ব্যবসা দূরের কথা, তার নতুন বিল্ডিং বানানোর কোনো লাইসেন্সও নেই। পুরোনো ভবন রেন্যুভেশনের একটি লাইসেন্স থাকলেও নেই কাজকর্ম। ব্রুকলিনে একটি বাড়ি আছে। বাড়িটি তার ও স্ত্রীর যৌথ নামে। বাড়ি কেনার বিপরীতে ব্যাংক লোনও আছে। তিনি এখন ‘বিগ ফিস’র পেছনে দৌড়াচ্ছেন। তার সঙ্গে কেউ যৌথ বিনিয়োগে গেলে নির্ঘাত প্রতারিত হবেন।
কে এই আবুল কাশেম : অনুসন্ধানে জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী আবুল কাশেমের বাড়ি সন্দ্বীপে। চট্টগ্রামের হালিশহরেও রয়েছে তার বাড়ি। দীর্ঘদিন ধরে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে বসবাস করেন। সেখানে কার সার্ভিসিং ও পুরোনো বাড়ি সংস্কার কাজের ব্যবসা রয়েছে তার। পাশাপাশি তিনি নিজেকে নিউইয়র্ক আওয়ামী লীগের নেতা হিসাবে পরিচয় দেন।
সেই সুবাদে আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক প্রভাবশালী একজন মন্ত্রীর সঙ্গে তার পরিচয় ও ঘনিষ্ঠতা হয়। ওই মন্ত্রীর আশীর্বাদে ব্যাংকের মালিক হওয়ার স্বপ্ন দেখেন তিনি। প্রথম দফায় ব্যর্থ হলেও দ্বিতীয় দফার চেষ্টায় প্রাথমিক সম্মতিপত্র বাগিয়ে নেন। এরপর রাজধানীর অভিজাতপাড়া হিসাবে পরিচিত বনানীতে ব্যাংকের অফিস খুলে ঘুরতে থাকেন বড় ব্যবসায়ী, শিল্পপতিদের দ্বারে দ্বারে। পরিচালক করার কথা বলে ফাঁদ পাতেন।
শুরুর দিকে এই উদ্যোগের সঙ্গে জড়িত একটি বেসরকারি ব্যাংকের সাবেক শীর্ষ কর্মকর্তা জানান, ব্যাংকিং ব্যবসা এখন আর তেমন লাভজনক নয়। তবে অনেক নব্যধনী ‘জাতে উঠতে’ ব্যাংকের পরিচালক হতে মুখিয়ে থাকেন। তাদের এখন পরিচালক করার চেষ্টা করছেন আবুল কাশেম। এমন ব্যবসায়ীদের কাছে টানতে পারলেই কেবল বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে ব্যাংকটির কার্যক্রম শুরু হতে পারে।
ফাঁদে পা দিয়েছেন যারা : সংশ্লিষ্টরা জানান, বর্তমানে নতুন ব্যাংক করতে ৪০০ কোটি টাকা মূলধন দরকার। প্রাথমিক সম্মতিপত্র পাওয়ার পরই এই মূলধন সংগ্রহ করতে নানামুখী তৎপরতা শুরু করেন আবুল কাশেম। তার ফাঁদে পা দিয়ে উদ্যোক্তা হিসাবে যুক্ত হন মেঘনা ব্যাংকের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আলিম, খান ব্রাদার্স গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তোফায়েল কবির খান, তমা কনস্ট্রাশনের পরিচালক মুকিতুর রহমান, কার সিলেকশনের কর্ণধার আসলাম সেরনিয়াবাত এবং জাকির হোসেন পাটোয়ারী, সামিহা আজিম, তাসলিমা ইসলামসহ বাংলাদেশি ও প্রবাসী বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ী।
যদিও আবুল কাশেমের আর্থিক টানাটানি ও টালবাহানা টের পেয়ে এদের কয়েকজন এক পর্যায়ে সরে পড়েন। এছাড়া ফার্স্ট সিকিউরিটি ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে পিপলস ব্যাংকে ১০ কোটি টাকা মূলধন বিনিয়োগ করেছিলেন একটি বেসরকারি ব্যাংকের শীর্ষ কর্মকর্তা শহীদুল আহসান। তার মালিকানাধীন এজি অ্যাগ্রোর প্রতিনিধি হিসাবে মেয়ে রাহনুমা আহসানকে পরিচালক করতে চেয়েছিলেন আবুল কাশেম। নিয়ম অনুযায়ী, কর পরিশোধ করা আয়কেই শুধু মূলধন হিসাবে দেখানো যায়। বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) তদন্তে এই অনিয়ম চিহ্নিত হওয়ায় তাকে বাদ দেওয়া হয়।
এ ব্যাপারে গত ৭ অক্টোবর শহিদুল আহসান মোবাইল ফোনে যুগান্তরকে বলেন, এই ব্যাংক প্রতিষ্ঠার প্রক্রিয়ার সঙ্গে তিনি এখন আর নেই। তার বিনিয়োগ করা টাকাও তুলে নিয়েছেন। আর কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি। একইদিন বিকালে খান ব্রাদার্স গ্রুপের এমডি তোফায়েল কবির খান ফোনে যুগান্তরকে বলেন, শুরুতে বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা দেওয়া পরিচালকদের তালিকায় তার নাম ছিল। কিন্তু নানা কারণে মান-ইজ্জত রক্ষায় তিনি এখন আর পিপলস ব্যাংকের কোনো কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত নেই।
এছাড়া প্রস্তাবিত ব্যাংকটির পরিচালক কার সিলেকশনের কর্ণধার আসলাম সেরনিয়াবাত পিপলস ব্যাংক গঠনের প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে বলেন, ব্যাংকটির পরিচালক হতে গিয়ে এখন মানসম্মান রক্ষা করাই দায়। এক-দুজন পরিচালকের বিরুদ্ধে তথ্য গোপনের অভিযোগে কেন্দ্রীয় ব্যাংক তাদের বাদ দিয়েছে বলে শুনেছি। আমি গত কয়েক বছর সর্বোচ্চ করদাতাদের একজন হয়েও আমাকে নানা প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হচ্ছে। অনেকেই ফোন করে জানতে চান আমাদের ব্যাংক কবে রান করবে। তাদের কোনো জবাব দিতে পারি না। ব্যাংকটির উদ্যোক্তা চেয়ারম্যান কাশেম সাহেব জানেন তিনি কীভাবে কী করছেন। মিথ্যা তথ্য দিয়ে প্রাথমিক সম্মতিপত্র পাওয়ার বিষয়টি জানেন কিনা-এমন প্রশ্নের জবাবে আসলাম সেরনিয়াবাত বলেন, ‘এ ব্যাপারে আমার কিছু জানা নেই। তবে কেউ মিথ্যা তথ্য দিয়ে থাকলে প্রচলিত আইন অনুযায়ী সরকার অবশ্যই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।’
পরিচালকের তালিকায় নাম থাকা মেঘনা ব্যাংকের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আলিম ফোনে যুগান্তরকে বলেন, ‘ব্যাংকটির উদ্যোক্তা চেয়ারম্যান আবুল কাশেম সাহেবকে আমি চিনতাম না। পিপলস ব্যাংক প্রতিষ্ঠার প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িয়ে তাকে চিনেছি। এখন আর এর সঙ্গে আমি নেই। আমি শুধু বলব, এলওআই পাওয়ার পরও কোনো ব্যাংক যদি বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু করতে না পারে তাহলে তা দুঃখজনক।’
মিথ্যা তথ্য দিয়ে ব্যাংকের সম্মতিপত্র নেওয়া ও পরিচালক নিয়োগ নিয়ে নানামুখী তৎপরতা সম্পর্কে জানতে গত ৩০ সেপ্টেম্বর দুপুরে আবুল কাশেমের মোবাইল ফোনে কল করে সময় চাইলে করোনা পরিস্থিতির কারণে তিনি কোনো ভিজিটরের সঙ্গে দেখা করেন না বলে জানান। তখন এ প্রতিবেদক ফোনেই তার বক্তব্য জানতে চাইলে মিটিংয়ের অজুহাতে এড়িয়ে যান। কখন ফোন করলে কথা বলা যাবে-জানতে চাইলে এক সপ্তাহ পর কল করতে বলেন।
এক সপ্তাহ পর ৭ অক্টোবর দুপুর থেকে বিকাল পর্যন্ত একাধিকবার তার মোবাইল ফোনে কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। ওইদিন (৭ অক্টোবর) তার হোয়াটসঅ্যাপে নির্ধারিত তিনটি প্রশ্ন লিখে বক্তব্য জানতে চেয়ে বার্তা পাঠানো হয়। বার্তাটি তিনি দেখেছেন-তা নিশ্চিত হওয়া গেছে এই প্রতিবেদকের হোয়াটসঅ্যাপের স্ক্রিনে ওঠা নির্ধারিত সংকেতের মাধ্যমে। কিন্তু বুধবার রাত আটটায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তিনি কোনো জবাব দেননি।
এর আগে মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে বনানী ডিওএইচএসে প্রস্তাবিত ব্যাংকটির অফিসে গিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি। অফিসের স্টাফ পরিচয়ে মোমরেজ নামের এক যুবক জানান, ‘স্যার (আবুল কাশেম) অফিসে আসেননি। বাসায় আছেন।’ গুলশান ১০৯ নম্বর রোডের বাসায় গিয়ে তাকে পাওয়া যায়। কলিংবেল বাজালে ভেতর থেকে এ প্রতিবেদকের পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর দরজা না খুলেই ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে আবুল কাশেম বলেন, ‘আপনি আমার বাসায় এলেন কীভাবে। আমি আপনার সঙ্গে কথা বলব না।’
এরপরও দরজার বাইরে থেকেই তার হোয়াটসঅ্যাপে পাঠানো প্রশ্নের ব্যাপারে বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি কোনো রাজনৈতিক নেতা নই যে, আমার বক্তব্য কোনো নিউজ হতে পারে। সুনির্দিষ্ট প্রশ্নের জবাব না দিয়ে উলটো এ প্রতিবেদক কেন বাসায় তার বক্তব্য আনতে গেলেন-তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে প্রতিবেদককে চলে যেতে বলেন আবুল কাশেম।