Logo
Logo
×

প্রথম পাতা

১৬০ ইউপি ও ৯ পৌরসভা নির্বাচনে কেন্দ্র দখল, জাল ভোট

গুলি সহিংসতায় নিহত ৩

কক্সবাজার, খুলনা, সাতক্ষীরার চার ইউপির পাঁচ কেন্দ্রে ভোট স্থগিত * প্রার্থীদের আবেগের কারণে সহিংস ঘটনা ঘটেছে -ইসি সচিব * আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের জয়জয়কার

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ২১ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

গুলি সহিংসতায় নিহত ৩

মহেশখালীতে ভোটকেন্দ্রে গুলিতে আহত আবুল কালামকে হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান -যুগান্তর

বিচ্ছিন্ন সংঘর্ষ, গুলি, ধাওয়া-পালটা ধাওয়া, কেন্দ্র দখল ও জাল ভোটের মধ্য দিয়ে সোমবার প্রথম ধাপের স্থগিত ১৬০ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে (ইউপি) ভোটগ্রহণ হয়েছে। এসব ঘটনায় তিনজন নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ৭০ বছর বয়সি নারীও রয়েছেন। আহত হয়েছেন অর্ধশতাধিক। নিহতদের দুজন ভোটগ্রহণ চলাকালে এবং একজন আগের রাতে দুই প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষে মারা যান। ভোটের সময়ে নিহত দুজনের একজন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে, আরেকজন আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সমর্থকদের গুলিতে মারা যান বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। 

কক্সবাজার ছাড়াও সাতক্ষীরা, খুলনা, নোয়াখালী ও বাগেরহাটের বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অনিয়ম ও সহিংসতার খবর পাওয়া গেছে। এসব ইউপিতে ধাওয়া-পালটা ধাওয়া, সংঘর্ষ ও ভোটকেন্দ্রের বাইরে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। নোয়াখালীতে জাল ভোট দেওয়ার সময় সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তাসহ বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। বাকি ইউনিয়ন পরিষদগুলোয় শান্তিপূর্ণভাবে ভোট হয়। 

নির্বাচনে সহিংসতার কারণ প্রসঙ্গে ইসি সচিব বলেন, মহেশখালীতে দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে একজন মারা গেছেন। কুতুবদিয়ায় ব্যালট পেপার ছিনিয়ে নেওয়ার সময় প্রিজাইডিং কর্মকর্তার নির্দেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গুলি করেছে। তিনি বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ডোর টু ডোর নির্বাচনি আমেজ থাকে। প্রার্থীরা এত বেশি ইমোশনাল হয়ে যান যে নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েন। নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্বের কারণে এসব ঘটনা ঘটেছে। 

বড় অনেক দল অংশ না নেওয়ার পরও নির্বাচনে সহিংসতা ঘটনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ইউপি নির্বাচন দলের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে না। এলাকা এলাকা দ্বন্দ্ব থাকে, প্রার্থীরা ও তাদের সমর্থকেরা ইমোশনাল হয়ে যান। তখনই এ দ্বন্দ্ব হয়ে যায়। তিনি বলেন, অনিয়মের কারণে পাঁচটি কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ বন্ধ করতে হয়েছে। অনিয়ম হওয়ায় সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তারা এসব কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ বন্ধ করেছেন। 

ভোটের আগের রাতে একজন নারী মারা যাওয়ার বিষয়ে সচিব বলেন, প্রার্থীদের মধ্যে ধাওয়া-পালটাধাওয়ায় ৭০ বছর বয়স্ক একজন বৃদ্ধ নারী মারা গেছেন। কীভাবে এ ঘটনা ঘটেছে তা তদন্ত করে আমাদের জানাতে বলেছি। সহিংসতার বিষয়ে ইসির পদক্ষেপ বিষয়ে তিনি বলেন, কুতুবদিয়ায় যে ৭ নম্বর কেন্দ্রে নির্বাচনি প্রার্থীদের পক্ষে একদল সন্ত্রাসী ব্যালট পেপার ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিল। প্রিজাইডিং কর্মকর্তাকে হুমকি দিচ্ছিল। তখন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ফায়ার ওপেন করেছে। অর্থাৎ এ বিষয়ে সর্বোচ্চভাবে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য এটি হয়েছে।

এক প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, নির্বাচনের অনিয়ম যখন হয় ওই সময়ে কোনো প্রার্থী অভিযোগ করলে রিটার্নিং কর্মকর্তারা ব্যবস্থা নেবেন। ওই মুহূর্তে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের কাছে অভিযোগ করেছেন এমন বিষয় আমাদের জানা নেই। আমরা মনে করি, নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে। 

বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অনেক প্রার্থী জয়ী হওয়ায় নির্বাচনব্যবস্থা প্রশ্নবিদ্ধ বা নির্বাচনব্যবস্থা ভেঙে পড়ছে কিনা-এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচনি ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে তা কোনোভাবেই বলব না। কারণ তিনটি। প্রথমত, একাধিক প্রার্থী নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করেন। দ্বিতীয়ত, যারা নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন তারা যদি নিয়ম-নীতি না মানেন তাহলে অনেকের প্রার্থিতা বাতিল হবে খুবই স্বাভাবিক। তৃতীয়ত, যোগ্য প্রার্থীরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন না-তাহলে তো বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রার্থী জয়ী হবেনই।  

কেন্দ্র দখল, জাল ভোট ও সহিংসতার ঘটনায় ৪টি ইউনিয়নের পাঁচটি কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে। এগুলো হলো সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার কেঁড়াগাছি ইউনিয়নের একটি, কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের দুটি, কুতুবদিয়া উপজেলার বড়ঘোপ ইউনিয়নের একটি এবং খুলনার কয়রার ইউনিয়নের একটি কেন্দ্র। 

এছাড়া এদিন ৯ পৌরসভা, দুটি উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান ও দুটি পৌরসভার একটি করে ওয়ার্ডে ভোটগ্রহণ হয়েছে। এসব জায়গায় বড় ধরনের সহিংসতার খবর পাওয়া যায়নি। ভোটের আগেই ৪৪টি ইউপি ও তিনটি পৌরসভায় আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা জয় পান। রাত ১০টা পর্যন্ত পাওয়া ভোটের ফলাফলে বাকি ছয়টি পৌরসভার মধ্যে পাঁচটিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী এবং একটিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। এছাড়া বেশির ভাগ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থীরা বিজয়ী হন। 

কক্সবাজার : কক্সবাজারের কুতুবদিয়া ও মহেশখালীতে ভোটকেন্দ্রে গুলিতে আওয়ামী লীগ নেতাসহ দুজন নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৩৫ জন। নিহতরা হলেন- কুতুবদিয়া উপজেলার বড়ঘোপ ইউনিয়নের নৌকার এজেন্ট আবদুল হালিম (৩৫) ও মহেশখালী উপজেলার কুতুবজোম ইউনিয়নের স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থক আবুল কালাম (৩৮)।

জানা গেছে, দুপুর ১২টার দিকে কুতুবদিয়ার বড়ঘোপ ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের পিলটকাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে আবদুল হালিম নিহত হন। অপরদিকে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কুতুবজোম ইউনিয়নের কুতুবজোম দাখিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে নৌকার প্রার্থী শেখ কামালের সমর্থকদের গুলিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী মোশারফ হোসেন খোকনের সমর্থক আবুল কালাম নিহত হন। তিনি স্থানীয় পশ্চিমপাড়ার ছোট মিয়ার ছেলে। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন আরও অন্তত ১০ জন। ঘটনার পর ওই দুটি কেন্দ্র এবং কুতুবজোব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে কয়েক ঘণ্টা ভোটগ্রহণ বন্ধ ছিল। 

স্থানীয়রা জানান, কুতুবদিয়ার পিলটকাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে কিছু লোক ব্যালট পেপার ছিনতাইয়ের চেষ্টা করে। এটি ঠেকাতে জটলার ভেতর ঢুকে যান হালিম। এ সময় ছিনতাই ঠেকাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে আহত হন আবদুল হালিমসহ অন্তত ২৫ জন। পরে কুতুবদিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক হালিমকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত হালিম বড়ঘোপ ইউনিয়নের গোলদারপাড়া এলাকার মোহাম্মদ হোসেনের ছেলে এবং ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। নির্বাচনে তিনি ৫নং ওয়ার্ডের পিলটকাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে নৌকার এজেন্ট ছিলেন। ওই সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধসহ ২৫ জন আহত হয়েছেন।

এদিকে টেকনাফে ব্যালট ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় সাময়িকভাবে দুই কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হলেও পরে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়। কেন্দ্র দুটি হলো- টেকনাফের উনছিপ্রাং ও লম্বাবিল ভোটকেন্দ্র। এ ঘটনায় নির্বাচন কর্মকর্তাদের অবরুদ্ধ করে রাখে উত্তেজিত জনতা। ঘটেছে সড়ক অবরোধ, বিক্ষোভ ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনাও। 

মোংলা (বাগেরহাট) : চাঁদপাই ইউনিয়নে দুপক্ষের সংঘর্ষে ফাতেমা বেগম (৭০) নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। রোববার রাত ৯টায় চাঁদপাই মোড়ে ইউপি সদস্য ও প্রার্থী মতিয়ার রহমান মোড়ল এবং প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী শফিকুল ইসলাম কথা কাটাকাটিতে জড়িয়ে পড়েন। এ সময় তাদের বিরোধ মেটাতে সেখানে আসেন ফাতেমা বেগম নামে ওই বৃদ্ধা। পরে দুপক্ষের সংঘর্ষে বৃদ্ধা ফাতেমা ও প্রার্থী মতিয়ার মোড়লসহ চারজন আহত হন। তাদের হাসপাতালে নিলে বৃদ্ধা ফাতেমা মারা যান। হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. সিরাজুল ইসলাম জানান, তার মাথার পেছনে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। মোংলা থানার ওসি মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। 

খুলনা : জেলার কয়েকটি ইউপিতে ভোটগ্রহণকালে ব্যাপক সংঘর্ষ, ভোটকেন্দ্র দখল ও ব্যালট বাক্স ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। ব্যালট বাক্স ছিনতাইয়ের ঘটনায় কয়রা সদর ইউনিয়নের ৪নং কয়রা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে। এছাড়া একই উপজেলার আমাদী ইউনিয়নের চণ্ডীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র দখল করে সিল মারায় ৩০০ ব্যালট বাতিল করেছে। তবে অপর ইউনিয়নগুলোতে স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়। পুুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বেলা ১১টায় খুলনার দিঘলিয়া উপজেলার বারাকপুর মিনাপাড়া এলাকায় দুই ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় ককটেল বিস্ফোরণে ৫ জন আহত হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে ৭টি ককটেল উদ্ধার করেছে পুলিশ।

সাতক্ষীরা : রাতে ব্যালট কেটে বাক্সে ঢোকানোর অভিযোগে স্থগিত করা হয় কলারোয়ার কেড়াগাছি ইউনিয়নের কেড়াগাছি কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ। ব্যালট এনে তা নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর পক্ষে এবং মেম্বার পদপ্রার্থী ও নারী সদস্য প্রার্থীর অনুকূলে ১৫০০, ৫০০ এবং ৩০০ ভোট দেওয়ার অভিযোগ ওঠে মনসুর আলি ও ইয়ার আলিসহ কয়েক প্রার্থীর বিরুদ্ধে। তবে ইয়ার আলি তা অস্বীকার করেন। জালালপুর ইউনিয়নে ভোটগ্রহণকালে কেন্দ্রের বাইরে দুটি বোমা বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। এছাড়া কয়েকটি কেন্দ্রে বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পালটাধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। 

ফেনী : নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ সাবের পাইলট হাইস্কুল কেন্দ্র থেকে কাউন্সিল প্রার্থী শেখ মামুনের স্ত্রী ফারজানা আক্তার, এনায়েত উল্যা মহিলা কলেজ কেন্দ্র থেকে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী খোকনের ভাগ্নি জামাতা কামরুল হাসান ও মঙ্গলকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের ৭নং ওয়ার্ড মেম্বার হোমা মিয়াসহ ১২ জনকে আটক করেছে। 

শরণখোলা ও মোরেলগঞ্জ (বাগেরহাট) : শরণখোলা উপজেলার রায়েন্দা ইউনিয়নের ১নং উত্তর রাজাপুর ও ৯নং ঝিলবুনিয়া ওয়ার্ডে মেম্বার প্রার্থীদের সমর্থকদের পৃথক সংঘর্ষে ২৭ জন আহত হয়েছেন। তাদের শরণখোলা উপজেলা হাসপাতাল ও খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে রয়েছেন নাজমা বেগম, সালমা বেগম, ফাহিমা বেগম, শাহজাহান হাওলাদার, রেজাউল খান, নাইম তালুকদার, সেলিম সর্দার, বাদশা। মোরেলগঞ্জ উপজেলার ১নং তেলিগাতী ইউনিয়নে মোর্শ্বেদা আকতার (আ.লীগ), ২নং পঞ্চকরণ ইউনিয়নে আব্দুর রাজ্জাক মজুমদার (আ.লীগ), ৩নং পুটিখালী ইউনিয়নে আব্দুর রাজ্জাক শেখ (আ.লীগ), ৪ নং দৈবজ্ঞহাটী ইউনিয়নে সামসুর রহমান মল্লিক (আ.লীগ), ৫নং রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নে আবদুল আলিম হাওলাদার (আ.লীগ), ৬নং চিংড়াখালী ইউনিয়নে আলী আক্কাস বুলু (আ.লীগ), ৭নং হোগলাপাশা ইউনিয়নে ফরিদুল ইসলাম (স্বতন্ত্র), ৮নং বনগ্রাম ইউনিয়নে রিপন দাস (আ.লীগ), ৯নং বলইবুনিয়া ইউনিয়নে শাহজাহান আলী খান (আ.লীগ), ১০নং হোগলাবুনিয়া ইউনিয়নে মো. আকরামুজ্জামান (আ.লীগ), ১১নং বহরবুনিয়া ইউনিয়নে টিএম রিপন (আ.লীগ), ১২নং জিউধরা ইউনিয়নে জাহাঙ্গীর আলম বাদশা (আ.লীগ), ১৪ নং বারইখালী ইউনিয়নে আউয়াল খান মহারাজ (স্বতন্ত্র), ১৫নং মোরেলগঞ্জ ইউনিয়নে হুমায়ুন কবীর মোল্লা (আ.লীগ) নির্বাচিত হয়েছেন। 

নোয়াখালী ও হাতিয়া : হাতিয়ার চরঈশ্বর ইউনিয়ন ও জাহাজমারা ইউনিয়নে দুটি কেন্দ্রে জাল ভোট দেওয়ার সময় চার সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ও ২ পোলিং অফিসারকে আটক করেছে সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কামরুল হোসেন চৌধুরী ও হাফিজুল হক। এদিকে কবিরহাট পৌরসভা নির্বাচনে নির্বাচনি ফলাফল না মেনে প্রিজাইডিং অফিসারের টেবিল থেকে প্রিন্ট করা নির্বাচনি ফলাফলের শিট ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টার ঘটনায় ৭ জনকে আটক করেছে পুলিশ। 

ফলাফল : 
ভাঙ্গা (ফরিদপুর) : ভাঙ্গা মডেল পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবু ফয়েজ রেজা বিজয়ী হয়েছেন। 

অভয়নগর (যশোর) : অভয়নগর উপজেলার নওয়াপাড়া পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী সুশান্ত কুমার দাস শান্ত বিজয়ী হয়েছেন। 

সিলেট ও ফেঞ্চুগঞ্জ : ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচনে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন মোহিনী বেগম। 

নোয়াখালী : সুবর্ণচর উপজেলার ২নং চরবাটা ইউনিয়নে আমিনুল ইসলাম রাজিব (নৌকা), ৭নং চরবাটা ইউনিয়নে আবুল বাশার মঞ্জু (নৌকা), চর আমান উল্যাহ ইউনিয়নে অধ্যাপক বেলায়েত হোসেন (নৌকা), ৪নং ওয়াপদা ইউনিয়নে আবদুল মান্নান ভূঁইয়া (নৌকা), ৩নং চরক্লার্ক ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী অ্যাডভোকেট আবুল বাশার (মোটরসাইকেল) ও ৮নং মোহাম্মদপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মহিউদ্দিন চৌধুরী (আনারস) বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। 

হাতিয়া উপজেলার সোনাদিয়া ইউনিয়নে মেহেদী হাসান (নৌকা), চরঈশ্বর ইউনিয়নে আলাউদ্দিন আজাদ (নৌকা), নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়নে নুরুল আফছার দিনাজ (নৌকা), তমরদ্দি ইউনিয়নে রাশেদ উদ্দিন (নৌকা), চর কিং ইউনিয়নে মহিউদ্দিন আহমেদ (নৌকা), জাহাজমারা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী মাছুম বিল্লাহ (আনারস) ও বুড়িরচর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী ফখরুল ইসলাম (আনারস) বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন।

পঞ্চগড় : দেবীগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আবু বক্কর সিদ্দিক বেসরকারিভাবে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। 

সাতক্ষীরা : তালা সদর ইউনিয়নে সরদার জাকির হোসেন (আ.লীগ), খলিলনগর ইউনিয়নে প্রণব ঘোষ বাবলু (আ.লীগ), তেঁতুলিয়া ইউনিয়নে আবুল কালাম (আ.লীগ) ও খলিশখালি ইউনিয়নের মোজাফফর রহমান (আ.লীগ), মাগুরা ইউনিয়নের গণেশ চন্দ্র দেবনাথ (আ.লীগ), ইসলামকাটী ইউনিয়নের গোলাম ফারুক (স্বতন্ত্র), ধান্দিয়া ইউনিয়নে মো. জাহাঙ্গীর হোসেন (স্বতন্ত্র), সরুলিয়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আব্দুল হাই, জালালপুর ইউনিয়নে মফিদুল হক লিটু (স্বতন্ত্র), খেশরা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী শেখ কামরুল ইসলাম লাল্টু বেসরকারিভাবে নির্বাচিত। 

কলারোয়া উপজেলার যুগীখালি ইউনিয়নে রবিউল হাসান (আ.লীগ), সোনাবাড়িয়া ইউনিয়নে বেনজির হোসেন (আ.লীগ), লাঙলঝাড়া ইউনিয়নে অধ্যাপক আবুল কালাম (আ.লীগ), দেয়াড়া ইউনিয়নে মাহবুবুর রহমান মফে (আ.লীগ), হেলাতলা ইউনিয়নে মো. মোয়াজ্জেম হোসেন (স্বতন্ত্র), জয়নগর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী বিশাখা সাহা, জালালাবাদে মাহফুজুর রহমান নিশান (স্বতন্ত্র), কয়লা ইউনিয়নে সোহেল রানা (স্বতন্ত্র), চন্দনপুর ইউনিয়নের মো. ডালিম হোসেন (স্বতন্ত্র) নির্বাচিত হয়েছেন। 

পাইকগাছা ও দাকোপ (খুলনা) : পাইকগাছা উপজেলার লস্কর ইউনিয়নে কেএম আরিফুজ্জামান (আ.লীগ), লতা ইউনিয়নে কাজল কান্তি বিশ্বাস (আ.লীগ), গদাইপুর ইউনিয়নে শেখ জিয়াদুল ইসলাম (আ.লীগ), রাড়ুলী ইউনিয়নে আবুল কালাম আজাদ (আ.লীগ), সোলাদানা ইউনিয়নে আব্দুল মান্নান গাজী (আ.লীগ), গড়ইখালী ইউনিয়নে জিএম আবদুস ছালাম (স্বতন্ত্র) বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। এ ছাড়া প্রতিটি কেন্দ্রের এজেন্টদের মাধ্যমে প্রাপ্ত ফলাফলে দাকোপ উপজেলার ১নং পানখালী ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী শেখ সাব্বির আহম্মেদ, ২নং দাকোপে বিনয় কৃষ্ণ রায় (আ.লীগ), ৪নং কৈলাশগঞ্জে মিহির মন্ডল (আ.লীগ), ৫নং সুতারখালী মাসুম আলী ফকির (আ.লীগ), ৬নং কামারখোলায় পঞ্চানন মন্ডল (আ.লীগ), ৭নং তিলডাঙ্গায় জালাল উদ্দিন গাজী (আ.লীগ), ৮নং বাজুয়ায় মানস মুকুল রায় (আ.লীগ) ও ৯নং বানীশান্তা ইউনিয়নে সুদেব কুমার রায় (আ.লীগ) নির্বাচিত হয়েছেন। এ ছাড়া ৩নং লাউডোব ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের শেখ যুবরাজ আগেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। 

চিলমারী (কুড়িগ্রাম) : উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন- নুরুজ্জামান আজাদ জামান (আ.লীগ)।
 

Jamuna Electronics
wholesaleclub

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম