Logo
Logo
×

প্রথম পাতা

ফারইস্ট ইন্স্যুরেন্সের চেয়ারম্যানের অপকর্ম

জমি কিনে ৩৫০ কোটি টাকা আত্মসাৎ

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ০২ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০২:০০ পিএম

প্রিন্ট সংস্করণ

জমি কিনে ৩৫০ কোটি টাকা আত্মসাৎ

দুটি জমি বাবদ ৩৫০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম।

এরমধ্যে তোপখানা রোডের জমি থেকে প্রায় ২০০ কোটি এবং কাকরাইলের জমি কেনা বাবদ ১৫০ কোটি টাকা রয়েছে। আয়কর ফাইলে দেখানো হয়েছে, ৫ বছরে তার সম্পদ বেড়েছে ১২২ কোটি টাকা। আর জালিয়াতির টাকা গোপন করতে দুই ধরনের আয়কর ফাইল মেইনটেন করতেন তিনি।

এসব কাজে সহযোগী ছিলেন কোম্পানির মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা হেমায়েত উল­্লাহ। শিগগিরই হেমায়েত উল­াহকে অপসারণ করা হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র নিশ্চিত করেছে।

জালিয়াতি এবং গ্রাহকের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে বুধবার ফারইস্টের বোর্ড ভেঙে দেয় বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। চেয়ারম্যানসহ ১০ পরিচালক তাদের দায়িত্ব বুঝে নিয়েছেন।

জানা গেছে, ২০১৪ সালের ৩ মার্চ কোম্পানির ১৭৫তম বোর্ড সভায় জমি কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেই অনুযায়ী, তোপখানা রোডে ৩৩ দশমিক ৫৬ শতাংশ জমির ওপর নির্মিত একটি পুরাতন ভবন কেনা হয় ২০৭ কোটি ৩৬ লাখ টাকায়।

এরমধ্যে জমির দাম ২০০ কোটি এবং ভবনের দাম ৭ কোটি টাকা। এর পুরো টাকাই তাৎক্ষণিক পরিশোধ করা হয়। আজহার খান

এবং সোহেল খান নামের দুজনের কাছ থেকে ফারইস্ট কেনে এ জমিসহ ভবন। কিন্তু মাত্র ৪ মাস আগে ২১ কোটি ৫৫ লাখ টাকায় এ জমি কেনে আজহার ও সোহেল খান। অর্থাৎ ৪ মাসে দাম বেড়েছে ১৩ গুণ।

মূলত নজরুল কম দামের জমি নিজস্ব লোকের কাছ থেকে বেশি মূল্যে ক্রয় দেখিয়ে অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন। একইভাবে ২০১৫ সালের ৩১ মার্চ কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের ১৮৯তম সভায় কাকরাইলে ৩২ শতাংশ জমি কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

এক্ষেত্রে জমির দাম ঠিক করা হয় ১৭২ কোটি টাকা। এক্ষেত্রে প্রথমে এ জমি নিজের শ্বশুর মো. মফিজুল ইসলাম এবং শ্যালক মো. সেলিম মাহমুদের নামে কেনে। পরে ১০ মাসের ব্যবধানে তা ৯ গুণ বেশি দামে ফারইস্টের কাছে বিক্রি করে।

অর্জিত সম্পদ বৈধ দেখাতে একই বছরে একটি টিআইএন নম্বরের বিপরীতে দুটি রিটার্ন জমা দেন নজরুল। তার টিআইএন নম্বর ৬৩৯৪৮২২৫০৩৩২। একটিতে নাম দেখানো হয় মো. নজরুল ইসলাম এবং অপরটিতে আলহাজ নজরুল ইসলাম। একটিতে সম্পদ ১৭৬ কোটি ৩৭ লাখ এবং অপরটিতে ১৮০ কোটি ১৪ লাখ টাকা।

বিএসইসির বুধবারের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, কোম্পানির নতুন পরিচালনা পর্ষদ আগামী ৬ মাসের মধ্যে শীর্ষ ব্যবস্থাপনাও পুনর্গঠন করবে। নগদ অর্থ-সম্পদ ফিরিয়ে আনবে। পাশাপাশি গত ১০ বছরে যারা আর্থিক অপরাধ এবং মানি লন্ডারিং করেছে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে।

তবে সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, দুর্নীতিতে জড়িত থাকা কোম্পানির মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা হেমায়েত উল­াহকে দায়িত্ব থেকে অপসারণ করা হচ্ছে। পাশাপাশি তার শাস্তি নিশ্চিত করতেও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে নতুন পর্ষদ।

এদিকে ফারইস্টের চেয়ারম্যানের জালিয়াতির ঘটনা নিয়ে বুধবার যুগান্তরে প্রতিবেদন প্রকাশের পর সংশ্লিষ্টদের মধ্যে বিভিন্ন দিক নিয়ে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম