শৈত্যপ্রবাহে নাকাল মানুষ
৭০ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রার রেকর্ড
কাল থেকে পরিস্থিতি উন্নতি হতে পারে, তবে শীত থাকবে * সারা দেশে ২৯ জনের মৃত্যু * জলবায়ু পরিবর্তনই মূল কারণ -মন্তব্য বিশেষজ্ঞদের

যুগান্তর রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৯ জানুয়ারি ২০১৮, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

তীব্র শীতে কাঁপছে দেশ। রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশেই বইছে শৈত্যপ্রবাহ। সোমবার দেশের ইতিহাসে সর্বনিম্ন তাপমাত্রার রেকর্ড পাওয়া গেছে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায়। সেখানে ব্যারোমিটারে তাপমাত্রা ছিল ২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা ৭০ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। এর আগে সর্বশেষ এত তীব্র শীত পড়েছিল ১৯৬৮ সালে। ওই বছরের ৪ ফেব্রুয়ারি সিলেটের শ্রীমঙ্গলে ২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল। এরও ২০ বছর আগে ১৯৪৮ সাল পর্যন্ত এত কম তাপমাত্রার রেকর্ড খুঁজে পায়নি আবহাওয়া অফিস।
তবে দেশবাসীর জন্য কিছুটা হলেও সুসংবাদ জানাচ্ছে বাংলাদেশ আবহাওয়া বিভাগ (বিএমডি)। সংস্থাটি বলেছে, কাল বুধবার পর্যন্ত এমন পরিস্থিতি থাকতে পারে। এরপর তাপমাত্রা বাড়তে থাকবে। তখন শৈত্যপ্রবাহ পরিস্থিতির উন্নতি ঘটবে। তবে শীতের অনুভূতি থাকবে।
এ নিয়ে সাত দিন ধরে চলছে শৈত্যপ্রবাহ। এতে রাজধানীসহ সারা দেশের মানুষ চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছে। তবে সোমবারের তীব্র শৈত্যপ্রবাহ যেন বাংলাদেশের মানুষের জন্য চরম রুদ্ররূপ নিয়ে আসে। কেননা, এর আগে এ মাত্রার শীত পড়েনি এ দেশে। ভয়ংকর এ পরিস্থিতিতে মানুষের জবুথবু অবস্থা। অনেকটাই বিপর্যস্ত জনজীবন। বিশেষ করে দরিদ্র মানুষের ভোগান্তির শেষ নেই। এই শীতে বেশি ভুগছে বয়স্ক ও শিশুরা। শীতে বোরো এবং আলুর ফলনে প্রভাব পড়েছে। শীতে স্কুল-কলেজে শিক্ষার্থীর উপস্থিতিতেও প্রভাব পড়েছে। রাজধানীর কোনো কোনো স্কুলে সময়সূচিতে পরিবর্তন আনা হয়েছে।
এদিকে উষ্ণতার জন্য গরম কাপড়ের কদর বেড়েছে। ভিড় দেখা গেছে শীতবস্ত্রের দোকানগুলোয়। বিভিন্ন বয়সের মানুষের শীতজনিত নানা রোগ-বালাইয়ে আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে। ফলে হাসপাতালগুলোয় অসুস্থ রোগীর ভিড় বাড়ছে। শীত ও শীতজনিত রোগে গত সাত দিনে (সোমবার পর্যন্ত) ২৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর গত ২৪ ঘণ্টায় শুধু সরকারি হিসাবেই ৬০৬ জন আক্রান্ত হয়েছে।
শীতের এমন রুদ্ররূপকে জলবায়ু পরিবর্তনেরই আরেক কুফল বলে অভিহিত করেছেন বিশেষজ্ঞরা। বুয়েটের পানি ও বন্যা ব্যবস্থাপনা ইন্সটিটিউটের অধ্যাপক জলবায়ু বিশেষজ্ঞ ড. একেএম সাইফুল ইসলাম যুগান্তরকে বলেন, বাংলাদেশে বর্তমানে স্মরণকালের সবচেয়ে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ চলছে। একই সময়ে যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডায়ও অর্ধশত বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি শীত পড়েছে। বিপরীত দিকে এখন খরতাপে পুড়ছে অস্ট্রেলিয়া। সেখানে ৪৭ ডিগ্রির উপরে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। অস্ট্রেলিয়ান সরকার তার নাগরিকদের ঘরের বাইরে যেতে বারণ করেছে। একই সময়ে বিশ্বের আলাদা প্রান্তে আবহাওয়ার এই যে ভিন্ন রূপ, সেটা জলবায়ু পরিবর্তনের কারণেই। তাই বিশ্ববাসীকে মিলেই জলবায়ু পরিবর্তনের এ ভয়ংকর পরিণতি থেকে বাঁচার পথ খুঁজতে হবে। তিনি আরও বলেন, চলতি বছরই আমরা একাধিকবার জলবায়ু পরিবর্তনের রুদ্ররোষে পড়েছি। এবার আগাম বন্যা হয়েছে। এর আগে গ্রীষ্মে তাপমাত্রাও ছিল বেশি। এখন শৈত্যপ্রবাহ অর্ধশত বছরের রেকর্ড ছাড়িয়েছে। তিনি আরও বলেন, বিএমডির কাছে ১৯৪৮ সাল পর্যন্ত আবহাওয়া ও জলবায়ুর রেকর্ড আছে। এর মধ্যেও (৭০ বছর) সোমবারের মতো তাপমাত্রার রেকর্ড তাদের কাছে নেই।
আরেক জলবায়ু বিশেষজ্ঞ ও ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. আইনুন নিশাত যুগান্তরকে বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের প্রধান নিদর্শন হচ্ছে- শীত বা উষ্ণতা যেটাই ধরি না কেন, সেটা সর্বোচ্চ মাত্রায় ঘটবে এবং ঘন ঘন আবির্ভূত হবে। ৫০ বছর পর যদি শীত বেশি এসে থাকে সেটাকে স্বাভাবিক বলতে পারি। কিন্তু এটাই যখন ১০ বা ৫ বছর পর আজকের রেকর্ড ভাঙবে, তখন সেটাকে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সংঘটিত বলা যাবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশই জলবায়ু পরিবর্তনজনিত আবহাওয়া বিরূপ প্রভাবের শিকার।
বিএমডির আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক যুগান্তরকে বলেন, ছয় কারণে এই ‘অতি তীব্র’ শৈত্যপ্রবাহ চলছে। উচ্চবলয় বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলজুড়ে বিস্তৃত। তাছাড়া মাঝরাত থেকে দুপুর পর্যন্ত কখনও বিকাল ৩টা পর্যন্ত ঘন কুয়াশায় আচ্ছাদিত থাকে দেশ। ভূপৃষ্ঠ থেকে আকাশের দিকে প্রায় ২০০ মিটারের একটি কুয়াশাস্তর ছিল। এর কারণে সূর্যের আলো ভূপৃষ্ঠে আসতে পারেনি। ফলে ভূপৃষ্ঠ এবং এর সংলগ্ন বাতাসের উষ্ণতা বাড়তে পারেনি। তাছাড়া ভারতের হরিয়ানা, পাঞ্জাব, উত্তরপ্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গের তাপমাত্রা অনেক কম। শীত মৌসুমে সাধারণত ওইসব এলাকা (উত্তর ও উত্তর-পশ্চিমদিক) থেকে বাংলাদেশমুখী বাতাসের গতি থাকে। সেটাও শীতল। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে মেঘমুক্ত আকাশ। সাধারণত আকাশ মেঘলা থাকলে বিকিরণ প্রক্রিয়ায় ভূপৃষ্ঠ শীতল হতে সময় লাগে। তাপমাত্রা ভূপৃষ্ঠে বেশিক্ষণ থাকতে পারে। ফলে ধরণী শীতল হতে না হতেই নতুন দিনে সূর্যের আগমন ঘটে। ফলে মেঘমুক্ত আকাশ ধরণীকে দ্রুত শীতল করে। পাশাপাশি দীর্ঘ-রজনী সূর্যের আগমন বিলম্বিত করে। এসব কারণ উপস্থিত থাকায় ঊর্ধ্ব আকাশের বাতাসের গতির জেট এক্সট্রিম (শীতল বাতাসের লাইন বা যেখানে তাপমাত্রা জিরো ডিগ্রি) নিচে (ভূপৃষ্ঠের দিকে) নেমে এসেছে। এটা সাধারণত ৬০০-৭০০ হেক্টর স্কেলের মধ্যে থাকার কথা। কিন্তু সেটি আরও অন্তত একশ’ হেক্টর নিচে নেমে এসেছে। সর্বোপরি রোববার রাতে বাতাসে জলীয়বাষ্পের পরিমাণ কম ছিল। ফলে দ্রুত তাপমাত্রা কমে আসে। এসব কারণ মিলিয়েই বাংলাদেশে শীতের প্রকোপ বেড়েছে। চলছে ‘অতি তীব্র’ শৈত্যপ্রবাহ। সোমবার বিকালে বিএমডির কর্মকর্তা ওমর ফারুক যুগান্তরকে বলেন, শীতের প্রকোপ উত্তরাঞ্চলে বেশি থাকলেও রাজধানীতে কম শীত ছিল না। সোমবার ঢাকায় তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রিতে নেমে আসে। দিনেও তাপমাত্রা বাড়েনি। এর আগে ১৯৬৪ সালের ১৮ ও ২০ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় ৫ দশমিক ৬ ডিগ্রি তাপমাত্রা ছিল। সেই তুলনায় অবশ্য শৈত্যপ্রবাহ ঢাকায় তীব্ররূপ ধারণ করেনি। নগরায়ণের কারণেই এমনটি হচ্ছে বলে মনে করেন এই কর্মকর্তা।
আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, তাপমাত্রা ৬ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে তাকে মাঝারি মাত্রার শৈত্যপ্রবাহ বলে। তাপমাত্রা যদি ৪ থেকে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নামে, তবে তা তীব্র শৈত্যপ্রবাহ। আর ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রাকে বলে মৃদু শৈত?্যপ্রবাহ। এ হিসাবে দেশের বেশিরভাগ স্থানে বর্তমানে শৈত্যপ্রবাহ বইছে। এবারের এ শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়েছে ২ জানুয়ারি। তারই ধারাবাহিকতায় সোমবার সারা দেশে শীত পরিস্থিতির অবনতি ঘটে। আগামীকাল নাগাদ পরিস্থিতি এমনই থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া বিভাগের (বিএমডি) কর্মকর্তারা।
এদিকে শীতের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে কুয়াশার প্রকোপ। শীতে রাস্তাঘাটে লোক চলাচল কমে গেছে। প্রয়োজন ছাড়া মানুষ ঘরের বাইরে বের হচ্ছে না। চিকিৎসকরা অপ্রয়োজনে বাসার বাইরে যেতে বারণ করেছেন। উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জেলায় এক দিন ধরে ঠিকমতো সূর্যমুখ দেখা যায়নি। পরিস্থিতি এমন যে, ভোর ও সন্ধ্যায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির মতো পড়ছে কুয়াশা। ঘন কুয়াশায় ব্যাহত হচ্ছে যান চলাচল। দিনে গাড়ির হেডলাইট জ্বালিয়েও বেশি দূরের জিনিস দেখা যাচ্ছে না। দৃষ্টিসীমা কমে যাওয়ায় রেল চলাচলেও বিঘœ ঘটেছে। দেশের বিভিন্ন স্টেশন থেকে ছেড়ে যাওয়া রেল গন্তব্যে দেরিতে পৌঁছায়। এভাবে রেলের সিডিউল লণ্ডভণ্ড হয়ে যাওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে।
সোমবার বিএমডির এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, টাঙ্গাইল, শ্রীমঙ্গল ও চুয়াডাঙ্গাসহ রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের ওপর দিয়ে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। সন্দ্বীপ, সীতাকুণ্ড, কুমিল্লা ও নোয়াখালী অঞ্চলসহ ময়মনসিংহ ও বরিশাল বিভাগ এবং ঢাকা, সিলেট ও খুলনা বিভাগের অবশিষ্ট অংশের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বইছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, মধ্যরাত থেকে আজ সকাল পর্যন্ত সারা দেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। তা কোথাও দুপুর পর্যন্ত স্থায়ী থাকতে পারে। দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন দক্ষিণ আন্দামান সাগরে অবস্থানরত লঘুচাপটি বর্তমানে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। আকাশ আংশিক মেঘলা থাকতে পারে।
২৯ জনের মৃত্যু : কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি জানিয়েছেন, একসপ্তাহে শৈত্যপ্রবাহে শীতজনিত রোগে ১১ জন মারা গেছেন। তাদের বেশিরভাগ শিশু ও বৃদ্ধ। হিম ঠাণ্ডায় কাবু হয়ে পড়েছেন জেলার মানুষ। ঘন কুয়াশা আর হিমেল বাতাসে লোকজন ঘর থেকে বের হতে পারছেন না। কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী প্রতিনিধি জানান, ফুলবাড়ীতে মজরউদ্দিন ও আহমদ আলী টাঙ্গুরা ধনী নামে দুই বৃদ্ধ মারা গেছেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি জানান, সোমবার দুপুরে অজ্ঞাত এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়।
এর আগে চলমান শৈত্যপ্রবাহে রোববার পর্যন্ত ১৫ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। শনিবার কুড়িগ্রাম ও চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে ৭ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার এক শিশুর মারা যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
এদিকে প্রায় সারা দেশ থেকেই যুগান্তরের প্রতিনিধিদের পাঠানো প্রতিবেদনে শীতের প্রকোপ ও মানুষের ভোগান্তির করুণ বর্ণনা পাওয়া গেছে। এবার এখন পর্যন্ত সরকারিভাবে বড় আকারে এবং বড় রাজনৈতিক বা স্বেচ্ছাসেবী দলের পক্ষ থেকে শীতার্তদের সাহায্য-সহযোগিতার খবর পাওয়া যায়নি। তবে ছোট আকারে জেলা-উপজেলা দুর্যোগ ও ত্রাণ দফতর থেকে কম্বলসহ শীতবস্ত্র বিতরণের খবর পাওয়া গেছে। কিন্তু প্রয়োজনের তুলনায় সরকারি বরাদ্দ অপ্রতুল বলে তারা উল্লেখ করেছেন।
পঞ্চগড় প্রতিনিধি জানান, দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল তেঁতুলিয়ায় ২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটা সকাল ৯টায় রেকর্ড করা হয়। এরপর সারা দিন তেঁতুলিয়াসহ গোটা পঞ্চগড়ই শীতের চাদরে ঢাকা ছিল। সূর্যের মুখ দেখা যায়নি। কনকনে শীতের কারণে মানুষ একান্ত প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের হননি।
বুড়িচং প্রতিনিধি জানান, উপজেলায় অর্ধশত শিশু ও বৃদ্ধ ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়। ফরিদপুরের চরভদ্রাসন প্রতিনিধি জানান, উপজেলার পদ্মাপারের বসতিরা কয়েকদিনের তীব্র শৈত্যপ্রবাহের ফলে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন। নীলফামারী প্রতিনিধি জানান, ডিমলায় সর্বনিম্ন ৩ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। জেলার অন্যান্য উপজেলায় সর্বোচ্চ ৩ দশমিক ৫ ডিগ্রির মধ্যে আছে তাপমাত্রা। ফলে জেলার মানুষ শীতের প্রকোপে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। দিনাজপুরে ৫ বছরের মধ্যে মাত্রা ছিল সর্বনিম্ন। ব্যারোমিটারে এর মাত্রা ছিল ৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া যুগান্তর প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্যানুযায়ী, নওগাঁয় ৪ ডিগ্রি, বগুড়ায় ৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি, বরিশালে ৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি, রাজশাহীতে ৫ দশমিক ৩ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।