
প্রিন্ট: ২৯ মার্চ ২০২৫, ০৩:০৩ এএম
তিনশ’ আসনের গেজেট প্রকাশ
২৫ সংসদীয় আসনের সীমানা পরিবর্তন
ঢাকার কোনো আসন পরিবর্তন হয়নি * অক্টোবরে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আশা * সীমানা পুনর্নির্ধারণ জনগণ ও জনপ্রতিনিধিদের জন্য -ইসি * আ’লীগের সুপারিশ কিছু গ্রহণ করা হয়েছে কিছু হয়নি

যুগান্তর রিপোর্ট
প্রকাশ: ০১ মে ২০১৮, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
আরও পড়ুন
জাতীয় সংসদের ২৫টি আসনের সীমানায় পরিবর্তন এনে ৩০০ আসনের সীমানা চূড়ান্ত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সোমবার কমিশন সভায় সংসদীয় আসনের সীমানা চূড়ান্ত করা হয়। এরপরই তা গেজেট আকারে প্রকাশ করা হয়েছে। পরিবর্তিত এ সীমানায় আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। কমিশন যে ৪০টি আসনের সীমানায় পরিবর্তন এনে খসড়া তালিকা প্রকাশ করেছিল সেখান থেকে ১৭টি বাদ দেয়া হয়েছে। ফলে এই ১৭টিসহ মোট ২৭৫টি আসনের বিদ্যমান সীমানা বহাল থাকল। বাকি ২৫টির সীমানায় ছোট-বড় পরিবর্তন এসেছে। চূড়ান্ত তালিকায় ঢাকার ২০টি আসনের সীমানায় কোনো হেরফের হয়নি।
জনপ্রতিনিধিদের দাবি প্রাধান্য দিয়ে সীমানা পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে বলে সাংবাদিকদের জানান নির্বাচন কমিশনার মো. রফিকুল ইসলাম। সোমবার ইসিতে এক ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, সীমানা পুনর্নির্ধারণ জনপ্রতিনিধি ও জনগণের জন্য। তাদের বক্তব্য বিবেচনায় না নিয়ে কোনো আসনের সীমানা নির্ধারণ করা আদৌ যৌক্তিক হবে না। এ সময় এক প্রশ্নের জবাবে আগামী অক্টোবরে সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হতে পারে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি। তবে তিনি ভোটের সময় উল্লেখ করেননি। তিনি বলেন, নীলফামারী, রংপুর, কুড়িগ্রাম, সিরাজগঞ্জ, খুলনা, জামালপুর, নারায়ণগঞ্জ, সিলেট, মৌলভীবাজার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা ও নোয়াখালী জেলার ২৫ আসনে এই পরিবর্তন আনা হয়।
এর আগে ১৪ মার্চ ৪০টি সংসদীয় আসনের সীমানায় পরিবর্তন এনে ৩০০ আসনের খসড়া তালিকা প্রকাশ করেছিল ইসি। সীমানা পরিবর্তিত ৪০টি আসন ও সীমানা পরিবর্তন হয়নি এমন ২০টি আসনসহ মোট ৬০টির ওপর ৬৩১টি আবেদন ইসিতে জমা হয়। এর মধ্যে ইসির খসড়ার বিপক্ষে ৪০৭টি আবেদন জমা পড়ে। খসড়া বহাল রাখার পক্ষে ২২৪টি আবেদন জমা হয়। ২১ থেকে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত ওইসব দাবি-আপত্তির ওপর ইসিতে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। সরকারি দল আওয়ামী লীগ সংসদীয় আসনের সীমানায় বড় ধরনের কোনো পরিবর্তন না আনার জন্য ইসিকে অনুরোধ জানায়। তবে সংলাপে বিএনপি ২০০৮ সালের সীমানায় ফিরে যাওয়ার প্রস্তাব করেছিল।
যে ২৫টি আসনের সীমানায় পরিবর্তন এসেছে সেগুলো হচ্ছে- নীলফামারী-৩, ৪; রংপুর-১ ও ৩; কুড়িগ্রাম-৩ ও ৪; সিরাজগঞ্জ-১ ও ২; খুলনা-৩ ও ৪; জামালপুর-৪ ও ৫; নারায়ণগঞ্জ-৪ ও ৫; সিলেট-২ ও ৩; মৌলভীবাজার-২ ও ৪; ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ ও ৬; কুমিল্লা-৬, ৯ ও ১০ এবং নোয়াখালী-৪ ও ৫। এ ২৫টি আসনের মধ্যে সিরাজগঞ্জ-৩ ও ৪ আসনটি খসড়া তালিকায় ছিল না। বাকি ২৩টি খসড়া সীমানায় অন্তর্ভুক্ত ছিল।
এছাড়া খসড়ার তালিকার যে ১৭টি আসনের সীমানা রদবদল থেকে ইসি সরে এসেছে সেগুলো হচ্ছে- পাবনা-১ ও ২; মাগুরা-১ ও ২; সাতক্ষীরা-৩ ও ৪; ঢাকা-২, ৩, ৭, ১৪ ও ১৯; শরীয়তপুর-২ ও ৩; কুমিল্লা-১, ২; চট্টগ্রাম-৭ ও ৮। এসব আসনে দশম জাতীয় সংসদের সীমানা বহাল থাকল।
ইসির সংশ্লিষ্টরা জানান, এবারই কমসংখ্যক আসনের সীমানায় পরিবর্তন এসেছে। এর আগে ২০১৩ সালে ৫৩টি ও ২০০৮ সালে ১৩৩টি আসনের সীমানা পরিবর্তন এসেছিল। এবার সংসদীয় আসনের সীমানা পরিবর্তনে সরকারের প্রভাবশালী মন্ত্রী ও এমপিদের বেশির ভাগ আবেদনই গ্রহণ করেছে কমিশন। তাদের আসনগুলো গত নির্বাচনের মতোই বহাল রাখা হয়েছে।
সীমানা পুনর্নির্ধারণ নিয়ে সোমবার কমিশন সভার পর আনুষ্ঠানিক ব্রিফিং করেন সীমানা পুনর্নির্ধারণ সংক্রান্ত কমিটির আহবায়ক নির্বাচন কমিশনার মো. রফিকুল ইসলাম। সীমানা পরিবর্তন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা ২০১৩ সালের সীমানার মধ্য থেকে ৪০টি আসনের সীমানা পরিবর্তন করে ৩০০ আসনের গেজেট করেছিলাম। ওই সীমানা নিয়ে দাবি-আপত্তি এসেছে। আমরা দাবি-আপত্তিগুলোর কিছু গ্রহণ করেছি, কিছু বাদ দিয়েছি।
সীমানা নির্ধারণে আওয়ামী লীগের দাবির বিষয়ে এক প্রশ্নের সরাসরি জবাব না দিয়ে এ নির্বাচন কমিশনার বলেন, খসড়া তালিকার দাবি-আপত্তি নিয়ে আমরা শুনানি নিয়েছি। যদি আওয়ামী লীগের চাপের কথা বলেন তাহলে বলব, উনারা বিভিন্ন সময়ে আমাদের বলেছেন, ২০১৩ সালের সীমানার পক্ষে আছেন এবং এটা উনারা দাবি করেছেন। আপনারা নিশ্চিত দেখতে পাচ্ছেন ২০১৩ সালের সীমানা নেই, আমরা বেশিরভাগ উপজেলাকে অখণ্ড রাখার চেষ্টা করেছি। তিনি বলেন, কিছু ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের যে দাবি ছিল, তা জনগণের শুনানির মাধ্যমে গৃহীত হয়েছে। আবার কোনো কোনো ক্ষেত্রে হয়নি।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা আশা করছি, আগামী অক্টোবরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচনের সিডিউল ডিক্লেয়ার করব। এর মধ্যে সময় আছে মাত্র ৫ মাস। এটাও আমাদের মাথায় রাখতে হয়েছে। ৫ মাস সময় দিয়ে আমরা সীমানা নির্ধারণ করেছি। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অক্টোবরে ৩০ দিন। সংবিধান অনুযায়ী আমাদের ওই সময়ে সিডিউল ঘোষণা করতে হবে। অক্টোবরের কোন তারিখে সিডিউল হবে, তা বলিনি। এটা কমিশন বসে সিদ্ধান্ত নেবে। ডিলিমিটেশন করার জন্য অনেক ফ্যাক্টর বিবেচনায় নিতে হয়। তার মধ্যে একটা হচ্ছে টাইম গ্যাপ।
কোন মানদণ্ডে সীমানা পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে- এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, প্রত্যেকটা আসনকে আলাদা ইউনিট ধরে, ওই আসনের যে যুক্তি এসছে, সেগুলোকে ভিত্তি করে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে। সামগ্রিকভাবে জবাব দেয়া যাবে না। একেক আসনে একেক ধরনের বিষয় বিবেচনা করা হয়েছে। এককথায় জবাব দেয়া ভেরি ডিফিক্যাল্ট। এ সময় তিনি সাতক্ষীরার আসনের উদাহরণ টানেন।
ইসির রোডম্যাপ অনুযায়ী সীমানা নির্ধারণবিষয়ক এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা যে কথা বলেছি, সেখান থেকে সরে আসছি না। আমাদের অনেক বিষয় দেখতে হয়। প্রথমত, আদমশুমারি। ম্যাসিভ পরিবর্তন আনতে হলে আদমশুমারিকে অবশ্যই বিবেচনায় নিতে হবে। ২০১১ সালের শুমারির পর অলরেডি ২০১৩ সালে একবার সীমানা পরিবর্তন হয়ে গেছে। ২০১৮তে আরেকটা ডিলিমিটেশন করেছি, যেখানে ডাটা ২০১১ সালের। আমাদেরও কিছু লিমিটেশন আছে, যেহেতু আমরা পুরনো ডাটা নিয়ে সীমানা নির্ধারণ করছি।
আইন নাকি স্থানীয় জনগণের চাপ, কোনটিকে গুরুত্ব দিয়ে সীমানা নির্ধারণ করা হয়েছে- এমন প্রশ্নের জবাবে রফিকুল ইসলাম সরাসরি জবাব না দিয়ে বলেন, আইনে বলা আছে, শুনানি নেয়ার পর আমাদের সিদ্ধান্ত দেব। আমরা প্রাথমিকভাবে একটা খসড়া দিয়েছি। খসড়ার ওপর ভিত্তি করে শুনানি নিয়েছি।
২৫ আসনে যে পরিবর্তন এসেছে : নীলফামারী জেলার দুটি আসন পরিবর্তন করা হয়েছে। জলঢাকা উপজেলা নিয়ে নীলফামারী-৩ করা হয়েছে। বাদ দেয়া হয়েছে কিশোরগঞ্জ উপজেলার রণচন্ডি, বড়ভিটা ও পুটিমারী ইউনিয়ন। সৈয়দপুর ও কিশোরগঞ্জ উপজেলা নিয়ে করা হয়েছে নীলফামারী-৪ আসন।
রংপুরের ২টি আসনের সীমানায় পরিবর্তন এসেছে। বিদ্যমান রংপুর-১ (গংগাচোরা) আসনে এবার যুক্ত করা হয়েছে রংপুর সিটির ১ থেকে ৮ নম্বর ওয়ার্ড। আগে শুধু গংগাচোরা উপজেলা নিয়ে এ আসনটি ছিল। রংপুর সদর ও রংপুর সিটির ১ থেকে ৮নং ওয়ার্ড বাদ দিয়ে বাকি সিটি এলাকা নিয়ে রংপুর-৩ আসন করা হয়েছে। পীরগাছা ও কাউনিয়া উপজেলা নিয়ে রংপুর-৪ আসন করা হয়েছে। বাদ দেয়া হয়েছে রংপুর সিটির সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলো।
কুড়িগ্রামে পরিবর্তন হয়েছে দুটি আসনে। ২০১৩ সালে কুড়িগ্রাম-৩ আসনটি উলিপুর উপজেলার সাহেবের আলগা ইউনিয়ন ব্যতীত এবং চিলমারী উপজেলার অষ্টমীরচর ও নয়ারহাট ইউপি বাদ দিয়ে গঠন করা হয়েছিল। এবার শুধু উলিপুর উপজেলা নিয়ে আসনটি গঠন করা হয়েছে। আর কুড়িগ্রাম-৪ আসনটি করা হয়েছে রৌমারী, রাজিবপুর এবং চিলমারী উপজেলা নিয়ে। সিরাজগঞ্জ-১ ও ২ সংসদীয় আসনে এবার পরিবর্তন আনা হয়েছে। সিরাজগঞ্জ-১ আসনটি গঠন করা হয়েছে কাজীপুর উপজেলা এবং সিরাজগঞ্জ সদরের মেছড়া, রতনকান্দি, বাগবাটি, ছোনগাছা এবং বহুলী ইউপি নিয়ে। সিরাজগঞ্জ-২ আসনটি গঠন করা হয়েছে কামারখন্দ উপজেলা এবং সদর উপজেলার পাঁচটি ইউপি বাদে।
খুলনার পরিবর্তিত দুটি আসনের মধ্যে খুলনা-৩ আসনটি সিটি কর্পোরেশনের ১ থেকে ১৫টি ওয়ার্ড এবং দিঘলিয়া উপজেলার আড়ংঘাটা ও যোগীপোল ইউপি নিয়ে গঠন করা হয়েছে। খুলনা-৪ আসনটি দিঘলিয়া উপজেলা (আড়ংঘাটা এবং যোগীপোল ইউপি ব্যতীত), রূপসা ও তেরখাদা উপজেলা নিয়ে গঠন করা হয়েছে।
জামালপুরের দুটি আসনে পরিবর্তন করা হয়েছে। সরিষাবাড়ি উপজেলা এবং জামালপুর সদরের মেষ্টা ও তিতপাল্লা ইউপি নিয়ে ২০১৩ সালে জামালপুর-৪ আসন করা হয়েছিল। এবার শুধু সরিষাবাড়ী উপজেলা নিয়ে এ আসনটি গঠন করা হয়েছে। পাশাপাশি জামালাপুর-৫ করা হয়েছে শুধু জামালপুর সদর নিয়ে। এখন থেকে মেষ্টা ও তিতপাল্লা ইউনিয়ন জামালপুর-৫ আসনের সঙ্গে যুক্ত থাকবে।
নারায়ণগঞ্জের দুটি আসনের পরিবর্তন এসেছে। নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ১ থেকে ১০ নম্বর ওয়ার্ড এবং সদর উপজেলা (আলীরটেক ও গোগনগর ইউপি ব্যতীত) নিয়ে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসন গঠন করা হয়েছে। আগে ফতুল্লা ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানা নিয়ে আসনটি ছিল। আর সিটি কর্পোরেশনের ১১ থেকে ২৭ নম্বর ওয়ার্ড, বন্দর উপজেলা ও সদর উপজেলার আলীরটেক ও গোপনগর ইউপি নিয়ে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসন গঠন করা হয়েছে।
সিলেটের দুটি আসনে পরিবর্তন আনা হয়েছে। বিশ্বনাথ ও ওসমানীনগর উপজেলা নিয়ে সিলেট-২ আসন পুনর্গঠন করা হয়েছে। আর দক্ষিণ সুরমা, ফেঞ্চুগঞ্জ ও বালাগঞ্জ উপজেলা নিয়ে সিলেট-৩ পুনর্গঠন করা হয়েছে। শুধু কুলাউড়া উপজেলা নিয়ে এবার মৌলভীবাজার-২ আসন গঠন করা হয়েছে। আগে আসনটি ছিল কুলাউড়া এবং কমলগঞ্জের ৪টি ইউপি নিয়ে। আর মৌলভীবাজার-৪ আসনটি শ্রীমঙ্গল এবং কমলগঞ্জ উপজেলা নিয়ে গঠন করা হয়েছে। এ আসনটি আগে শ্রীমঙ্গল এবং কমলগঞ্জের ৪টি ইউপি ব্যতীত গঠিত হয়েছিল।
নবীনগর উপজেলা নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ আসন গঠন করা হয়েছে। এ আসনটি আগে নবীনগর উপজেলার বড়িকান্দি ও ছলিমগঞ্জ ইউপি বাদে গঠিত হয়েছিল। এবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ আসনটি থেকে বড়িকান্দি ও ছলিমগঞ্জ ইউপি বাদ দিয়ে শুধু বাঞ্ছারামপুর উপজেলা নিয়ে গঠন করা হয়েছে।
কুমিল্লার তিনটি আসনে পরিবর্তন এসেছে। সদর আদর্শ উপজেলা, কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন ও সেনানিবাস এলাকা নিয়ে কুমিল্লা-৬ গঠন করা হয়েছে। কুমিল্লা-৯ আসনটি ২০১৩ সালে যেভাবে (লাকসাম ও মনোহরগঞ্জ উপজেলা) ছিল, এবারও সেভাবে রাখা হয়েছে। তবুও কমিশন এ আসনটিকে সীমানা পরিবর্তনের তালিকায় রেখেছে। কুমিল্লা সদর দক্ষিণ ও নাঙ্গলকোট উপজেলা নিয়ে গঠিত কুমিল্লা-১০ আসনটিতে লালমাই উপজেলা যুক্ত করা হয়েছে। এদিকে সুবর্ণচর ও নোয়াখালী সদর উপজেলা নিয়ে নতুন করে নোয়াখালী-৪ আসনটি করা হয়েছে। আর কোম্পানীগঞ্জ ও কবিরহাট উপজেলা নিয়ে নোয়াখালী-৫ আসন করা হয়েছে।