Logo
Logo
×

তারাঝিলমিল

চলচ্চিত্রের সোনালি যুগের সন্ধানে সাদেক বাচ্চু

Icon

তারা ঝিলমিল প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৩ জুন ২০১৯, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

সাদেক বাচ্চু। ঢাকাই চলচ্চিত্রের পরিশ্রমী এক অভিনেতার নাম। মূলত খলনায়ক হিসেবেই তার পরিচিতি। কিন্তু বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্রে পজেটিভ চরিত্রে অভিনয় করেও প্রশংসিত হয়েছেন। বলা হয়ে থাকে, চলচ্চিত্রে যারা অভিনয় করেন তাদের পরিবার দুটি। একটি নিজের ঘর অর্থাৎ যে পরিবারে শিল্পী জন্মগ্রহণ করেন, সেই পরিবার। আরেকটি, যে পরিবারে নতুন করে জন্ম নিয়ে দর্শকের ভালোবাসায় নিজেকে সিক্ত করেন সেই চলচ্চিত্র পরিবার। দুটি পরিবারই অনেক শিল্পীর জীবন চলার পথে প্রায় একই রকম গুরুত্ব পেয়ে থাকে। নিজের পরিবারের মতোই আগলে রাখেন শিল্পী তার চলচ্চিত্র পরিবারের সদস্যকেও। এ পরিবারের সদস্যের সুখ-দুঃখের ভাগিদার হন শিল্পী। সাদেক বাচ্চু তাদেরই একজন। চলচ্চিত্রকে ভালোবেসে এখনও সে পথেই ধাবিত হচ্ছে তার জীবন।

মুক্তিযুদ্ধের ঠিক আগের বছর তার বাবা-মাকে হারান সাদেক বাচ্চু। তারপর পাঁচ বোন, তিন ভাই, দাদি, ফুফুকে নিয়ে সংগ্রামী জীবন পার করেছেন। নিজের পরিবারের সবার সুখের কথা বিবেচনা করে তিনি নিজের জীবনের সাফল্যের দিকে মনোযোগ দেননি। পরিবারের মানুষগুলোর মুখে হাসি ফোটানোর জন্য দিন রাত অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন। চলচ্চিত্রের ক্ষেত্রেও তাই। এ মাধ্যমে যখন অভিনয় শুরু করেন তখন শুধু অভিনয়ই করে গেছেন। কখনও নায়ক, কখনও ভিলেন চরিত্রে অভিনয় করে তিনি নিজেকে নিয়ে গেছেন অনন্য উচ্চতায়। কিন্তু চলচ্চিত্রে অভিনয়ের দীর্ঘদিনের পথচলায় গুণী এ অভিনেতার ভাগ্যে আজও জোটেনি কোনো চলচ্চিত্র পুরস্কার। অথচ এমন পুরস্কার পাওয়ার মতো অভিনয় তিনি বহু চলচ্চিত্রেই করেছেন। তাই বলে কখনও দমে যাননি এ অভিনেতা। হতাশ হতেও রাজি নন। একজন অভিনয়শিল্পীর দর্শকের ভালোবাসার পর রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতিটাই জীবনের অন্যতম অলঙ্কার। এ প্রসঙ্গে সাদেক বাচ্চু বলেন, ‘সারাটা জীবনই আমি শ্রমিক শিল্পী। দর্শকের ভালোবাসার মাঝে বেঁচে থাকার জন্য নিজেকে নিবেদিত করেই আজীবন অভিনয় করে গেছি। পেয়েছি এ দেশের কোটি কোটি মানুষের ভালোবাসা। আমি মনে করি, এখনও অভিনয় শেখার চেষ্টায় আছি। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত অভিনয় শিখতে চাই।’

সাদেক বাচ্চু অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র শহীদুল আমিনের ‘রামের সুমতি’। এতে তিনি নায়কের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন। তার বিপরীতে ছিলেন নার্গিস। একই পরিচালকের ‘মায়ামৃগ’ চলচ্চিত্রেও তিনি ফাল্গুনী আহমেদের নায়ক ছিলেন। তবে শহীদুল হক খানের ‘সুখের সন্ধানে’ চলচ্চিত্রে তিনি প্রথম খলনায়কের ভূমিকায় অভিনয় করেন। বর্তমানে তিনি উত্তম আকাশের ‘প্রেম চোর’ সিনেমার কাজ নিয়ে ব্যস্ত। বর্তমান ব্যস্ততা প্রসঙ্গে এ অভিনেতা বলেন, ‘এখন তো সিনেমা নির্মাণ অনেক কমে গেছে। যে কটি নির্মিত হচ্ছে সেখানে আমার মতো সিনিয়র শিল্পীদের মূল্যায়ন সঠিকভাবে করা হচ্ছে না। যারা বোঝেন, জানেন তারা ডাকেন। এর বাইরে টুকটাক নাটকে কাজ করছি। এই তো, এভাবেই চলে যাচ্ছে। তবে চলচ্চিত্রের জন্য মনটা খুব কাঁদে। নিজের জীবনের সেরা ও পরিশ্রমী সময়গুলো এখানে দিয়েছি। এখানে কাটিয়েছি। সেই জায়গাটার এমন দুরবস্থা দেখে সত্যি খুব কষ্ট হয়। আমরা কী পারি না আবারও আমাদের সেই সোনালি যুগ ফিরিয়ে আনতে?’

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম