Logo
Logo
×

সুস্থ থাকুন

বর্ষাকালীন জ্বরে সচেতন থাকা জরুরী

Icon

সুস্থ থাকুন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৪ জুন ২০২২, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

বর্ষাকালীন জ্বরে সচেতন থাকা জরুরী

ভাইরাস ফিভার বা বর্ষাকালীন জ্বরে শরীর এতই দুর্বল হয় যে, দাঁড়িয়ে থাকাও কষ্ট মনে হয়। কোনো কাজ করার এনার্জি থাকে না। এ জ্বর অত্যন্ত ছোঁয়াচে এবং বাসার একজনের এ জ্বর হলে একে একে পরিবারের সবার হবে। বিশেষ করে ছোট শিশুরা বেশি ভুগে থাকে। এমন জ্বর হলে শরবত, আনারসের রস ইত্যাদি খেতে হবে। ভয়ের কোনো কারণ নেই। তিন দিন পর এ জ্বর সেরে যাবে।

তাছাড়া এই প্রচণ্ড গরমে আর মাঝে মধ্যে ছিটেফোঁটা বৃষ্টিতে গরম আরো প্রকট হয়ে ওঠে। শরীর ঘামছে। এই ভেজা প্রকট গরমে ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়া ও জ্বর হচ্ছে ঘরে ঘরে। এ জ্বর ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়াজনিত হতে পারে। এর তাপমাত্রা ১০১ থেকে ১০২ ডিগ্রি পর্যন্ত উঠতে পারে। শরীরে প্রচণ্ড ব্যথা হয়, মাথাব্যথা করে এবং খাবার খেতে প্রচণ্ড অনীহা হয়। শরীর খুবই দুর্বল লাগে। এ জ্বরের মেয়াদ তিন থেকে পাঁচ দিন হতে পারে। জ্বরের মধ্যে চোখ লাল হওয়া, খাবারের প্রতি অনীহা হওয়া ইত্যাদি দেখা যায় নাক দিয়ে পানি পড়ে, খুসখুসে কাশি হয় এবং কখনো কখনো কাশি বেশি পরিমাণে ওঠে।

তবে এ জ্বরের ঘাবড়ানোর কারণ নেই। তিন থেকে পাঁচ দিনেই সেরে যায়। এ ভাইরাস জ্বরে তেমন কোনো ওষুধ লাগে না। জ্বর হলে প্যারাসিটামল বা পেইনকিলার খেতে হবে। তবে খালি পেটে নয়। আর যদি জ্বর পাঁচ দিনেও না সারে তবে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে এবং রক্ত পরীক্ষা করে দেখতে হবে টাইফয়েড বা প্যারাটাইফয়েড বা ডেঙ্গি জ্বর কি না। জ্বরের সময় ঠাণ্ডা পানিতে মাথা ধুলে ভালো লাগবে এবং সাথে সাথে ভেজা পরিষ্কার কাপড় দিয়ে মুছে দিতে হবে। তখন জ্বর কমে আসবে, খুসখুসে কাশি হলে কফ সিরাপ খেতে হবে। অ্যান্টি অ্যালার্জি ওষুধ খেলে ভালো হয়। পথ্য হিসেবে আনারস, কাগজী লেবু, কালিজিরা ভর্তা দিয়ে গরম ভাত খুব উপকারী।

 

Jamuna Electronics
wholesaleclub

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম