
প্রিন্ট: ১৪ মার্চ ২০২৫, ০২:২২ পিএম
বাংলাদেশে পর্নো ওয়েবসাইট বন্ধের যত উদ্যোগ

প্রকাশ: ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
আরও পড়ুন
দেশে পর্নো ওয়েবসাইট বন্ধে গত ৯ বছর ধরে সরকারের টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় সক্রিয়ভাবে উদ্যোগ নিয়েও পর্নো ওয়েবসাইট বন্ধ করতে পারেনি। পর্নো সাইট বন্ধ করতে না পারার পেছনে প্রযুক্তিগত সক্ষমতার অভাবও একটি বড় কারণ বলে জানা গেছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পর্নো সাইট কারিগরিভাবে শতভাগ বন্ধ করা সম্ভব নয়। তবে ৯০ শতাংশ বন্ধ করা সম্ভব। শতভাগ বন্ধের চেষ্টা করাও উচিত নয়। তাহলে সে চেষ্টা ব্যর্থও হতে পারে। ২০১০ সালের শুরুর দিকে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের সামাজিক মূল্যবোধের পরিপন্থী হিসেবে চিহ্নিত করে ৮৪টি পর্নো ওয়েবসাইট বন্ধ করে দেয়ার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেয় পুলিশ সদর দফতর। চিঠিতে ওই ওয়েবসাইটগুলোকে অশ্লীল ও বিকৃত উল্লেখ করে বিটিআরসির মাধ্যমে সেগুলো বন্ধ করে দেয়ার আবেদন জানানো হয়। জানা যায়, বিটিআরসি উদ্যোগ নিলে দুই সপ্তাহের মতো বন্ধ ছিল পর্নো সাইটগুলো। পরে ২০১১ সালের জানুয়ারি মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে আবারও সক্রিয় হতে থাকে পর্নো সাইটগুলো। ২০১৬ সালের ডিসেম্বর মাসে সরকার দেশে ৫৬০টি পর্নো সাইট বন্ধের নির্দেশ দেয়। সেসময় ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন আইএসপিএবির সাধারণ সম্পাদক ইমদাদুল হক জানান, বিটিআরসির পাঠানো ৫৬০টির মধ্যে ৯০ শতাংশ সাইট বন্ধ করা সম্ভব হয়েছে। সেই বছরই এক অভিভাবকের অসহায়ত্বের চিঠির সূত্র ধরেই পর্নো সাইটগুলো বন্ধের উদ্যোগে গতি আসে। কিন্তু ২০১৭ সালে এসেই এ উদ্যোগে ভাটা পড়ে। এরপর ২০১৮ সালে মোস্তাফা জব্বার এ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নেয়ার শেষ সময়ে এসে আবারও পর্নো সাইট বন্ধের উদ্যোগ নেন। সবশেষ দ্বিতীয় দফা মন্ত্রী হওয়ার পর চলতি ফেব্রুয়ারি মাসে এসে তিনি পর্নো সাইটের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন। বাংলাদেশের মিডিয়াগুলো দুই হাজার পর্নো সাইট বন্ধের খবর দিলেও এএফপি, আল জাজিরা, নিউইউর্ক টাইমসসহ আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, মুসলিম প্রধান বাংলাদেশে ২০ হাজারের বেশি পর্নোগ্রাফি ওয়েবসাইট বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।