Logo
Logo
×

ঘরে বাইরে

ত্বক ও চুলের যত্নে মধু

Icon

লাইফস্টাইল ডেস্ক

প্রকাশ: ২২ জানুয়ারি ২০১৯, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

ত্বক ও চুলের যত্নে মধু

মধু। ছবি সংগৃহীত

ত্বকের জন্য মধু খুবই উপকারী। তবে এর ব্যবহার ত্বকের ধরন অনুযায়ী করতে হবে। কারণ সবার ত্বকে মধু ব্যবহার উপযোগী নাও হতে পারে। ত্বকে মধু ব্যবহার করার আগে একটু সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।

আগে ত্বকের ধরন জানতে হবে। রূপচর্চার আগে ত্বকের ধরন জানা না থাকলে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। ত্বকে বিভিন্ন রকমের অ্যালার্জি, ফুসকুড়ি ছাড়াও বিভিন্ন রকমের সমস্যা দেখা দেয়।

বিশেষ করে শীতে ত্বক শুষ্ক থাকার কারণে এসব হয়ে থাকে। শীতে আমাদের ত্বক কোমলতা বজায় রাখার জন্য মধু খুবই উপকারী। মধু যেমন স্বাস্থ্যের জন্য ভালো, তেমনি ত্বক ও চুলের জন্যও ভালো। কিন্তু সঠিক নিয়ম জানতে হবে। কমবেশি সবার বাসায় মধু আছে। তাই কীভাবে মধু দিয়ে ত্বক ও চুলে ব্যবহার করবেন পরামর্শ দিয়েছেন হার্বস আয়ুর্বেদিক স্কিনিকের স্বত্বাধিকারী শাহিনা আফরিন মৌসুমী।

তৈলাক্ত ত্বক : শীতে মধু তৈলাক্ত ত্বকের ক্ষেত্রে ভালো, তবে গরমের সময় ব্যবহার করা যাবে না। তৈলাক্ত ত্বকে সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি। যাদের ত্বক তৈলাক্ত তারা ঘরে প্যাক বানিয়ে ব্যবহার করলে উপকার পাবেন।

প্যাক : ডিমের সাদা অংশ, হাফ চা চামচ মধু, লেবুর খোসা পেস্ট হাফ চা চামচ, ডালের বেসন ১ চা চামচ, ভালো করে মিশিয়ে নিয়ে পেস্ট তৈরি করে ত্বকে ১৫ মি. রেখে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে।

সেনসেটিভ স্কিন : এ ধরনের ত্বকে কিছুটা সতর্কতা অবলম্বন করে মধু ব্যবহার করতে হবে।

প্যাক : মধু হাফ চা চামচ, গোলাপজল ১ চা চামচ, পুদিনা পাতা পেস্ট হাফ চা চামচ, তুলসী পাতা পেস্ট হাফ চা চামচ এবং এর সঙ্গে ভাজা গমের গুঁড়া নিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিয়ে ১৫ মি. ত্বকে রেখে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।

শুষ্ক ত্বক : শুষ্ক ত্বকের জন্য সারা বছরই মধু খুবই উপকারী। এ ধরনের ত্বক এমনিতেই শুষ্ক। তবে শীতে ত্বক আরও বেশি শুষ্ক হয়ে যায়। তাই শীতে খুবই যত্নবান হতে হবে এ ধরনের স্কিনে।

প্যাক : ননিযুক্ত দুধে কাঠবাদাম ভিজিয়ে রেখে পেস্ট তৈরি করে এর সঙ্গে মধু ভালো করে মিশিয়ে ত্বকে ১৫ মি. রেখে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে।

চুল : চুল মেয়েদের সৌন্দর্যের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ। সবাই চায় নিজের চুল যেন স্বাস্থ্যোজ্জ্বল হয়। তবে সঠিকভাবে এর যত্ন নিলে চুল হয়ে উঠবে আকর্ষণীয় ও মসৃণ। শীতে কারও কারও ক্ষেত্রে মাথার স্ক্যাল্প শুষ্ক হয় আবার কারও কারও ক্ষেত্রে তৈলাক্ত হয়। যাদের স্ক্যাল্প বেশি শুষ্ক তারা যদি নিয়মিত প্যাক ব্যবহার করেন তাহলে চুলের আর্দ্রতা বজায় থাকবে।

দুই টেবিল চামচ মধুর সঙ্গে নিমপাতার পেস্ট, মৌরি ১ টেবিল চামচ, মসুরের ডালের গুঁড়া নিয়ে মিশিয়ে ভালো করে পেস্ট তৈরি করে পুরো মাথায় স্ক্যাল্পে লাগাতে হবে। এতে করে খুশকি দূর হবে এবং আর্দ্রতা বজায় থাকবে।

তৈলাক্ত ত্বক : মধু ২ টেবিল চামচ, আপেল সিডার ২ টেবিল চামচ, নিমপাতার পেস্ট ১ টেবিল চামচ, আমলকী পাউডার ৬ টেবিল চামচ, মেথি গুঁড়া ১ টেবিল চামচ ভালো করে মিশিয়ে স্ক্যাল্পে ১ ঘণ্টা রেখে শ্যাম্পু করে নিতে হবে। এতে করে খুশকি কমে যাবে, সেই সঙ্গে চুলের ঔজ্জ্বল্য বৃদ্ধি পাবে।

এছাড়াও মধু খুবই উপকারী সবার জন্য। যাদের ঠাণ্ডার সমস্যা আছে তারা যদি নিয়মিত মধু খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তোলেন তাহলে ঠাণ্ডা কমে যাবে। যাদের কাশির প্রবণতা বেশি তারা মধুর সঙ্গে আদার রস গরম করে খেলে কাশি কমে যাবে।

* হাফ লিটার পানিতে ৬টি এলাচ, ৮-১০টি গোলমরিচ, ৮-১০টি লবঙ্গ ভালো করে জ্বাল করে এর সঙ্গে আধা চা চামচ বিট লবণ দিয়ে কুসুম গরম অবস্থায় খেলে কাশি কমে যাবে।

* নিয়মিত দুধের সঙ্গে মধু খেলে ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বৃদ্ধি পাবে। পাশাপাশি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।

Jamuna Electronics
wholesaleclub

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম