
প্রিন্ট: ২৯ মার্চ ২০২৫, ০১:১৭ এএম
ফরিদপুর-১: জনপ্রিয়তার শীর্ষে আ’লীগের সম্ভাব্য প্রার্থী কাজী সিরাজ

বোয়ালমারী (ফরিদপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৬ অক্টোবর ২০১৮, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

বোয়ালমারীতে শুক্রবার আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী কাজী সিরাজুল ইসলাম গণসংযোগ চালাচ্ছেন।ছবি- যুগান্তর
আরও পড়ুন
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফরিদপুর-১ (বোয়ালমারী-আলফাডাঙ্গা-মধুখালী) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী কাজী সিরাজুল ইসলাম জনপ্রিয়তায় এগিয়ে রয়েছেন। তিনি তার নির্বাচনী এলাকায় বিরতিহীনভাবে গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন। এলাকাবাসী আশা করছেন আগামী সংসদ নির্বাচনে কাজী সিরাজুল ইসলাম মনোনয়ন পাবেন।
কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ও কৃষক লীগের সহ-সভাপতি কাজী সিরাজুল ইসলাম ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে ফরিদপুর-১ আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। উন্নয়নের পাশাপাশি দলকে সুসংগঠিত করেন।
নির্বাচনী এলাকায় অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়েছেন। এর মধ্যে বোয়ালমারীতে কাজী সিরাজুল ইসলাম মহিলা কলেজ, শেখর কাজী সিরাজুল ইসলাম উচ্চ বিদ্যালয়, ঘোষপুর রাখালগাছী কাজী সিরাজুল ইসলাম দাখিল মাদ্রাসা, আলফাডাঙ্গা কাজী সিরাজুল ইসলাম হোমিও মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, বেজীডাঙ্গা কাজী আমেনা ওয়াহেদ উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন।
মধুখালী উপজেলায় মহিলা শিক্ষা প্রসারে নওপাড়া আমডাঙ্গা কাজী ফরিদা সিরাজ বিদ্যানিকেতন, কামারখালী আড়পাড়া কাজী সিরাজুল ইসলাম মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, ডুমাইন কাজী সিরাজুল ইসলাম বালিকা বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি তার ব্যবসায়িক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বিপুল সংখ্যক বেকার যুবকের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেন।
তার সময়ে ১৯৯৯ সালে তৎকালীন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান বোয়ালমারিতে এক জনসভায় বোয়ালমারীকে পৌরসভা ও ফায়ার ব্রিগেড স্টেশন স্থাপনের ঘোষণা দিয়ে যান। যার সুফল স্থানীয় জনসাধারণ পাচ্ছেন।
সংসদ সদস্য থাকাকালীন কাজী সিরাজ তার নির্বাচনী রাস্তা-ঘাট, ব্রিজ-কালভার্টসহ বিদ্যালয় ভবন নির্মাণে অবদান রাখেন। কাজী সিরাজকে প্রার্থিতা ঘোষণা দেয়ার পর থেকে তিন উপজেলার দলীয় নেতাকর্মী ও সাধারণ ভোটারদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়।
আগামী নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জরিপের মাধ্যমে ফরিদপুর-১ আসনে মনোনয়ন দিলে নিশ্চিতভাবে কাজী সিরাজের বিকল্প নেই বলে সাধারণ ভোটাররা মনে করেন। উপজেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক আকরামুজ্জামান মৃধা রুকু বলেন, কাজী সিরাজ আওয়ামী লীগের নিবেদিত প্রাণ।
এ আসনে তার বিকল্প নেই। তিনি এমপি থাকাকালীন কোনো দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, টিআর কাবিখা বিক্রি ও নিয়োগ বাণিজ্যের একটিও অভিযোগ ছিল না। আমরা আশা করি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাজী সিরাজের সততার মূল্যায়ন করবেন।
এ ব্যাপারে কাজী সিরাজুল ইসলাম বলেন, ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমার নির্বাচনী এলাকায় যতগুলো জরিপ করেছেন সব জরিপেই আমার অবস্থান শীর্ষে। আমি মনোনয়ন পাওয়ার ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী। আমি আওয়ামী লীগের একজন নিবেদিত কর্মী হিসেবে বাঁচতে চাই। তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের স্বর্ণশিখরে। শেখ হাসিনা পুনরায় প্রধানমন্ত্রী হলে বাংলাদেশ মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুরের মতো হবে।