Logo
Logo
×

সম্পাদকীয়

নতুন কারিকুলাম নিয়ে প্রশ্ন

অভিভাবকদের উদ্বেগ দূর করতে হবে

Icon

প্রকাশ: ১৪ জুলাই ২০২৪, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

নতুন কারিকুলামে শিক্ষার্থীদের অর্ধবার্ষিক পরীক্ষার মূল্যায়ন নিয়ে উদ্বিগ্ন অভিভাবকরা। ৩ জুলাই শুরু হওয়া মূল্যায়নের প্রথম দিন থেকেই বিতর্কের সূত্রপাত। পরীক্ষা শুরু হওয়ার আগের রাতে প্রশ্নফাঁস, বই দেখে পরীক্ষা দেওয়া, পরীক্ষার হলে শিক্ষকদের ভূমিকা-এসব ঘটনা নিয়ে দেশজুড়ে আলোচনা চলছে। পরীক্ষার হলে কোনো কোনো শিক্ষার্থীর গল্প-গুজব করে সময় পার করা, পড়াশোনা না করে গ্রুপের সঙ্গে আলোচনা করে পরীক্ষায় উত্তর লেখা-এসব ঘটনায় দেশে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। কোনো কোনো শিক্ষার্থীর অভিযোগ-মানসম্মত হয়নি শ্রেণিভিত্তিক প্রশ্নপত্র। কোনো কোনো অভিভাবক মনে করেন, দলগত আলোচনাভিত্তিক লেখার চর্চা বছরব্যাপী চলমান থাকলেও পরীক্ষার হলে তা না হওয়াই শ্রেয়। এটি শিক্ষার্থীর মৌলিক চিন্তা প্রকাশে বাধা সৃষ্টি করতে পারে। অভিভাবকরা মনে করেন, চলমান পরীক্ষা শেষ হলে অধিকাংশ শিক্ষার্থী বাসায় পড়ার আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে। এমন পরিস্থিতিতে সন্তানদের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন তারা।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর প্রধানদের উদাসীনতার কারণে চলমান পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস হচ্ছে; যদিও কর্তৃপক্ষ মনে করে, এতে শিক্ষার্থীদের বড় ধরনের কোনো ক্ষতির আশঙ্কা নেই। বলা হচ্ছে, শিক্ষার্থীর দক্ষতা যাচাই করতে নানা পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। কর্তৃপক্ষ এটাও জানিয়েছে, প্রশ্নফাঁস রোধে আগামীতে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বেশিরভাগ প্রধান শিক্ষক অনলাইনে তেমন পারদর্শী নন। অনেকের কাছে আধুনিক মোবাইল ফোন ও কম্পিউটারের মতো ডিভাইসও নেই। এ অবস্থায় এলাকার কম্পিউটারের দোকানে গিয়ে প্রশ্নপত্র ডাউনলোড করছেন তারা। এ সময় প্রশ্নফাঁস হওয়ার আশঙ্কা থেকেই যায়। এসব সমস্যার সমাধানে পদক্ষেপ নিতে হবে। প্রশ্নফাঁস রোধে কর্তৃপক্ষের কঠোর হওয়া দরকার। দায়িত্বপ্রাপ্ত এনসিটিবির চেয়ারম্যান বলেছেন, নতুন কারিকুলামে মূল্যায়ন পুরোটাই হচ্ছে একজন শিক্ষার্থীর দক্ষতা ও যোগ্যতার ওপর। পুরো সময় সে কী শিখেছে, তার কার্যক্রমভিত্তিক মূল্যায়ন হচ্ছে। ওই শিক্ষার্থী আসলে কী শিখেছে, সেটা তার পারদর্শিতার মাধ্যমে প্রকাশ পাবে।

নতুন শিক্ষাক্রমের অন্যতম উদ্দেশ্য নোট-গাইড এবং কোচিং সেন্টারের বিলোপ ঘটানো। কিন্তু বাস্তবতা হলো, নোট-গাইড এবং কোচিং সেন্টারের ওপর নির্ভরতা কমেনি। নতুন শিক্ষাক্রমের সবদিক এখনো আমাদের কাছে পুরোপুরি স্পষ্ট নয়। বিভিন্ন ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষের দোদুল্যমানতা নানা প্রশ্নের জন্ম দেয়। জ্ঞানের চর্চায় আমাদের দেশের শিক্ষার্থীরা যাতে অন্য দেশের শিক্ষার্থীর তুলনায় পিছিয়ে না পড়ে, এটি নিশ্চিত করতে হবে। তারা যাতে আগামী দিনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে পারে, তাদের তেমনভাবে গড়ে তুলতে হবে।

 

Jamuna Electronics
wholesaleclub

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম