Logo
Logo
×

সম্পাদকীয়

বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছভর্তি

Icon

সম্পাদকীয়

প্রকাশ: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছভর্তি

দেশে গুচ্ছভুক্ত ২২ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি পরীক্ষা শেষ হয়েছে কয়েক মাস আগে। কয়েক ধাপে ভর্তি কার্যক্রম শেষ হলেও এখনো দুই হাজারের বেশি আসন ফাঁকা রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয়। সম্প্রতি আসন ফাঁকা রেখেই ক্লাস শুরু করেছে অনেক বিশ্ববিদ্যালয়। সন্তানের জন্য সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে একটা সিট নিশ্চিত করতে পারার বিষয়টিকে যেখানে এখনো দেশের বিপুলসংখ্যক মানুষ ভাগ্যের বিষয় মনে করে, সেখানে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে এত বেশিসংখ্যক আসন ফাঁকা থাকার বিষয়টি কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। ধীরগতির কারণে ২২ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ হতে দেরি হলেও গুচ্ছভর্তি পদ্ধতির বাইরে থাকা কোনো কোনো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের একই শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা একটি সেমিস্টার শেষ করতে সক্ষম হয়েছেন। বস্তুত ভর্তি প্রক্রিয়ার ধীরগতি, কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তহীনতা, বারবার মাইগ্রেশনসহ নানা জটিলতায় এভাবে পিছিয়ে পড়ছে গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। ভর্তির ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় ও বিভাগ পরিবর্তনের সুযোগ থাকা উচিত, তবে সীমিত সময়ের মধ্যেই এসব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা উচিত। ভর্তি প্রক্রিয়ার ধীরগতির কারণে গুচ্ছভুক্ত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া কোনো কোনো শিক্ষার্থী হতাশ হয়ে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে যান। এর আগে ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে গুচ্ছ পদ্ধতি থেকে বেরিয়ে নিজস্ব পদ্ধতির শিক্ষার্থী ভর্তির দাবি জানিয়েছিল কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়। কাজেই গুচ্ছভুক্ত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষাকে জটিলতামুক্ত করতে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।

এ ধরনের ভর্তি প্রক্রিয়ায় কিছু জটিলতা সৃষ্টি হবে, এটি অস্বাভাবিক কিছু নয়। মনে রাখতে হবে, এটি একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এ প্রক্রিয়ায় জটিলতার অজুহাতে কোনো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছভুক্ত ভর্তি প্রক্রিয়া থেকে দূরে সরে গেলে এটি হবে দুঃখজনক। কীভাবে এ ধরনের ভর্তি প্রক্রিয়ার জটিলতাগুলো দূর করা যায়, এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট সবার চিন্তা করা উচিত। সংশ্লিষ্ট সবার সমন্বিত চেষ্টা অব্যাহত থাকলে সমস্যাগুলোর সমাধান খুঁজে বের করা সম্ভব। ইতোমধ্যে দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়কে গুচ্ছ পদ্ধতিতে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি উঠছে। এর ইতিবাচক দিকটি বহুল আলোচিত। কাজেই দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়কে যাতে এ পদ্ধতিতে অন্তর্ভুক্ত করা যায় সে লক্ষ্যে কাজ করা উচিত। কোনো অজুহাতে যদি কোনো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছভর্তির পদ্ধতি থেকে বেরিয়ে যায়, তাহলে আবারও ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবককে দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ছোটাছুটি করতে হবে। একজন শিক্ষার্থী যাতে ন্যূনতম অর্থ ব্যয়ে গুচ্ছ পদ্ধতির ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারে, সেজন্য পদক্ষেপ নেওয়া দরকার।

 

Jamuna Electronics
wholesaleclub

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম