
প্রিন্ট: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:২৩ পিএম
বাজারে বাতিল হওয়া ওষুধ, আদেশ নিয়ে বিভ্রান্তির অবসান হোক

সম্পাদকীয়
প্রকাশ: ২৭ মে ২০২২, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

আরও পড়ুন
ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর গত ৯ মে এক আদেশে মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর বিবেচনায় চার ধরনের ওষুধ এবং পশুপাখির চিকিৎসায় ব্যবহার্য আরও চার ধরনের ওষুধের নিবন্ধন বাতিল করেছে।
অথচ এসব ওষুধের বিক্রি বন্ধ হয়নি অথবা তা বাজার থেকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়নি। ওষুধ শিল্প সমিতি বলছে, তারা বাতিল সংক্রান্ত কোনো আদেশ পায়নি। অন্যদিকে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর বলছে, এটি তাদের অভ্যন্তরীণ আদেশ এবং তা ওষুধ শিল্প সমিতিকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
সশ্লিষ্টদের এ পরস্পরবিরোধী বক্তব্যে এক ধরনের বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে, যা দূর করা জরুরি। কারণ এর সঙ্গে জনস্বাস্থ্যের মতো অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় জড়িত। এ নিয়ে লুকোচুরির কিছু নেই।
আমরা মনে করি, কোনো ওষুধ ক্ষতিকর প্রমাণিত হলে তার নিবন্ধন শুধু বাতিল নয়, এর ক্ষতিকর দিকগুলো প্রকাশ ও প্রচার করা উচিত, যাতে চিকিৎসকরা দ্রুত এ বিষয়ে অবগত হতে পারেন। কারণ তারা রোগীদের ব্যবস্থাপত্র দেন। তাছাড়া ফার্মেসিগুলো যাতে অবিলম্বে সেই ওষুধ বিক্রি বন্ধ করে দেয়, সেজন্যও এ প্রচারণা জরুরি।
এ প্রসঙ্গে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদের বক্তব্য প্রণিধানযোগ্য। তিনি যুগান্তরকে বলেছেন, ‘যে কোনো মেডিসিন বাতিল করা হলে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের উচিত সঙ্গে সঙ্গে সেগুলো বাজার থেকে উঠিয়ে নেওয়া। এ ব্যাপারে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর ও ওষুধ শিল্প সমিতি উভয়েরই তৎপর হওয়া উচিত।’
ওষুধ শিল্প দেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ রপ্তানি খাত। দেশে প্রস্তুত হওয়া ওষুধ এখন অনেক দেশেই রপ্তানি হয়। এর সঙ্গে ওষুধের মান নিয়ন্ত্রণের বিষয় জড়িত। বহির্বিশ্বে এ দেশের ওষুধের সুনামও রয়েছে। এসব কারণে ওষুধ সংক্রান্ত যে কোনো সিদ্ধান্ত হওয়া উচিত সুস্পষ্ট, যাতে কোনো ওষুধ নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি না হয়। আমরা মনে করি, কোনো ওষুধ ক্ষতিকর প্রমাণিত হলে অথবা তার মান নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিলে তা অবশ্যই যাচাই-বাছাই করে বাতিল করা উচিত; তবে এ নিয়ে যাতে জনমনে এবং ওষুধ ও চিকিৎসা সংশ্লিষ্টদের মধ্যে কোনো ধরনের বিভ্রান্তি সৃষ্টি না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখা দরকার।