Logo
Logo
×

সম্পাদকীয়

বেসরকারি মেডিকেল কলেজ, নীতিমালা ভঙ্গ করলেও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না কেন?

Icon

সম্পাদকীয়

প্রকাশ: ১৯ মে ২০২২, ০২:০০ পিএম

প্রিন্ট সংস্করণ

বেসরকারি মেডিকেল কলেজ, নীতিমালা ভঙ্গ করলেও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না কেন?

বেসরকারি মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠার একটি নীতিমালা রয়েছে। এই নীতিমালা অনুযায়ী মেট্রোপলিটন এলাকায় বেসরকারি মেডিকেল হতে হলে কলেজ ও হাসপাতালের জন্য দুই একর জমি থাকতে হবে।

কার্যক্রম পরিচালনায় প্রতি ৫০ জন শিক্ষার্থীর বিপরীতে থাকতে হবে ১ লাখ ৮০ হাজার বর্গফুট ফ্লোরস্পেস। এটাই যখন নিয়ম, তখন স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের এক পরিদর্শনে দেখা গেছে, শ্যামলীতে ঢাকা সেন্ট্রাল ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের নিজস্ব কোনো জমি নেই।

মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল পরিচালিত হচ্ছে ভাড়া বাড়িতে। শুধু এই কলেজই নয়, অধিকাংশ বেসরকারি মেডিকেল কলেজ এ ধরনের অনিয়মের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে। বলা বাহুল্য, এটা এক ধরনের স্বেচ্ছাচারিতা। অথচ এই স্বেচ্ছাচারিতা নিয়ন্ত্রণের কোনো উদ্যোগ নেই।

আশ্চর্যই বলতে হবে, দেশে বেসরকারি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল পরিচালনার কোনো আইন তৈরি হয়নি এখনো। একটি নীতিমালা রয়েছে নামকাওয়াস্তে। নীতিমালার ২.৩ নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ভাড়া বাড়িতে মেডিকেল কলেজ স্থাপন করা যাবে না। আগেই বলা হয়েছে, এ নিয়মের ব্যত্যয় ঘটছে। নীতিমালার ৯.৪ নির্দেশনাটি হলো, কেউ শর্তপূরণে ব্যর্থ হলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের অনুমোদন বাতিল করা হবে।

কিন্তু দেশের ৭০টি বেসরকারি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল নীতিমালার অনেক ধারা ভঙ্গ করলেও তাদের বিরুদ্ধে নেওয়া হয়নি ব্যবস্থা। প্রশ্ন ওঠাই স্বাভাবিক, নিয়ম ভঙ্গকারী এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না কেন? বলা বাহুল্য, যারা নিয়ম ভঙ্গ করে প্রতিষ্ঠান গড়েছেন, তারা হয় নিজেরা প্রভাবশালী, না হয় তারা প্রভাবশালীদের ব্যবহার করে মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের লাইসেন্স জোগাড় করেছেন এবং তা করে পার পেয়ে যাচ্ছেন।

শর্তপূরণ ছাড়াই যাকে-তাকে বেসরকারি মেডিকেল কলেজ স্থাপনের অনুমতি দেওয়ার পেছনে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগও রয়েছে। স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক ডা. একেএম আহসান হাবিব যুগান্তরকে বলেছেন, বেসরকারি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে দফায় দফায় চিঠি দিয়ে তথ্য জানানোর কথা বলা হয়েছে এবং গত কয়েক বছরে সাতটি কলেজে শিক্ষার্থী ভর্তি স্থগিত করা হয়েছে।

তিনি বলেন, সমস্যা হচ্ছে অধিদপ্তর একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ দিলেও উচ্চপর্যায়ের তদবিরে সেই নির্দেশনা উপেক্ষিত হচ্ছে। আমাদের কথা হলো, উচ্চপর্যায় থেকে তদবির করা হলে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর তা গ্রাহ্য করছে কেন? আমরা মনে করি, অধিদপ্তর কঠোর অবস্থান নিলে তদবিরে কোনো লাভ হবে না। দ্বিতীয় কথা, বেসরকারি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল পরিচালনার জন্য এখনো কেন আইন তৈরি হয়নি? এসব প্রতিষ্ঠান পরিচালনার জন্য নীতিমালা যথেষ্ট নয়। থাকতে হবে সুনির্দিষ্ট আইন। এই আইন দ্রুত তৈরি করার জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের প্রতি আমরা আহ্বান জানাচ্ছি।

 

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম