ঈদযাত্রা নিরাপদ হোক
আনন্দ যেন বিষাদে রূপ না নেয়
সম্পাদকীয়
প্রকাশ: ২৮ এপ্রিল ২০২২, ০২:০০ পিএম
প্রিন্ট সংস্করণ
ঈদে ঘরমুখো মানুষ প্রতিবছরই দুর্ভোগের শিকার হয়। আজ ও কাল এ দুদিন সারা দেশের সড়ক-মহাসড়কে যানবাহনের অতিরিক্ত চাপ থাকবে।
গরমে এমনিতেই মানুষ হাঁসফাঁস করছে। এ অবস্থায় মহাসড়কে যানজট সৃষ্টি হলে মানুষের দুর্ভোগ চরমে উঠবে। কাজেই মহাসড়কে যাতে যানজটের কারণে মানুষের দুর্ভোগ না বাড়ে, সেজন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে বিশেষভাবে সতর্ক থাকতে হবে।
লক্ষ করা যায়, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে কোনো গাড়ি বিকল হয়ে গেলে অথবা মহাসড়কের পাশে হাটবাজার বসার কারণে যানজট সৃষ্টি হয়ে থাকে।
কাজেই ফিটনেসবিহীন বা ত্রুটিপূর্ণ গাড়ি যাতে মহাসড়কে নামতে না পারে, সেদিকে সংশ্লিষ্টদের খেয়াল রাখতে হবে। যাত্রী, পরিবহণ কর্মী, গাড়ির মালিকসহ সংশ্লিষ্ট সবাই এ ব্যাপারে বিশেষভাবে সতর্ক না থাকলে এ দুদিন মহাসড়কে শৃঙ্খলা রক্ষা করা কঠিন হতে পারে। মানুষের দুর্ভোগ কমাতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে হবে।
সড়ক দুর্ঘটনার প্রধান কারণ চালকের বেপরোয়া মনোভাব। অনেক সময় যাত্রীরাও চালককে বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালাতে উদ্বুদ্ধ করে থাকে। এ বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। চালক বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানোর চেষ্টা করলে তাকে সংযত হওয়ার আহ্বান জানাতে হবে। গাড়ির মালিকের চাপের কারণেও চালক বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালিয়ে থাকেন। আবার কোনো কোনো চালক অভ্যাসবশত বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানোর চেষ্টা করেন। যে কারণেই হোক না কেন, মহাসড়কে যানবাহনের অতিরিক্ত চাপের এ সময়ে চালকদের বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালনা থেকে বিরত থাকতে হবে। মালিকদেরও দায়িত্ব হবে চালককে একটানা ৫ ঘণ্টা এবং দিনে ৮ ঘণ্টার বেশি গাড়ি চালাতে বাধ্য না করা।
দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নৌরুট দৌলতদিয়া-পাটুরিয়ায় ফেরি চলাচল ব্যাহত হওয়ায় কিছুদিন ধরে প্রায় প্রতিদিন যানবাহনের দীর্ঘ সারি তৈরি হচ্ছে। এতে নদী পারাপারের অপেক্ষায় আটকে থাকা যানবাহনের যাত্রী ও চালকরা দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। এ রুটে যাত্রী ও চালকদের দুর্ভোগ কমাতে কর্তৃপক্ষকে বিশেষ পদক্ষেপ নিতে হবে। শুধু সড়কপথে নয়, নৌপথ, রেলপথ, আকাশপথ-সব ক্ষেত্রেই ঘরমুখো মানুষের দুর্ভোগ কমাতে কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে বিশেষ পদক্ষেপ নিতে হবে। মনে রাখতে হবে, সবাই দায়িত্বশীলতার পরিচয় না দিলে ঈদের আনন্দ বিষাদে পরিণত হতে পারে। সবার ঈদযাত্রা আনন্দময় হোক।