Logo
Logo
×

সম্পাদকীয়

ইফতারপণ্যেরও মূল্যবৃদ্ধি

অসৎ ব্যবসায়ীদের কারসাজি বন্ধে ব্যবস্থা নিন

Icon

সম্পাদকীয়

প্রকাশ: ০১ এপ্রিল ২০২২, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

ইফতারপণ্যেরও মূল্যবৃদ্ধি

অসাধু ব্যবসায়ীদের কারসাজির অন্ত নেই যেন। চাল, ডাল ও ভোজ্যতেলের মূল্যবৃদ্ধির পর তারা এবার রমজানের ইফতারপণ্য নিয়েও শুরু করেছে কারসাজি। তাদের এই কারসাজির কারণে একরকম নীরবেই বেড়েছে ইফতারপণ্যের দাম।

বুধবার যুগান্তরের পক্ষ থেকে রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি ছোলা বিক্রি হচ্ছে ৭৫-৮০ টাকায়, যা এক মাস আগেও ছিল ৭০-৭৫ টাকা। একইভাবে প্রতি কেজি মুড়ি এক মাস আগে ৬৫-৭০ টাকায় বিক্রি হলেও তা এখন বিক্রি হচ্ছে ৭০-৭৫ টাকায়।

এছাড়া খেজুর, বেসন, বুটের ডালের দামও বেড়েছে উল্লেখযোগ্য হারে। পাশাপাশি ইফতারের অন্যতম আকর্ষণীয় খাবার ছোলা-মুড়ির অন্যতম উপাদান সরিষার তেলের দাম বেড়েছে লিটারে সর্বোচ্চ ৭০ টাকা। এ ছাড়া রমজানে বিভিন্ন খাদ্যপণ্য তৈরিতে ব্যবহৃত আলু, ধনেপাতা, পুদিনাপাতা, ইসবগুলের ভুসি এবং ‘ট্যাঙ্গ’ ও ‘রুহ আফজা’র দামও বাড়ানো হয়েছে বিনা কারণে।

বস্তুত, যেসব খাদ্যদ্রব্যের দাম বাড়ানো হয়েছে, সেগুলোর কোনোটিরই সংকট নেই, পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে। রমজান উপলক্ষ্যে চাহিদা তৈরি হয়েছে বলেই বাড়ানো হয়েছে এসব খাদ্যপণ্যের দাম।

রমজান এলেই নিত্যপণ্য ও ইফতারপণ্যের দাম বাড়ানো এক বাজার-সংস্কৃতিতে পরিণত হয়েছে বলা যায়। প্রতিবছরই এমনটা ঘটছে। রমজানে একটা বিষয় লক্ষ করা যায়-ক্রেতারা ১০ দিনের পণ্য একদিনেই কিনে থাকেন। ফলে পণ্যের বেশি চাহিদা তৈরি হয়। আর এ সুযোগটাই নিয়ে থাকে বিক্রেতারা।

তাই আমরা বলব, রমজানে নিত্যপণ্য ও ইফতারপণ্যের দাম সহনীয় রাখার ক্ষেত্রে ক্রেতাদেরও একটা ভূমিকা পালন করা দরকার। তারা যদি ১০ দিনের পণ্য একদিনে কেনার প্রবণতা ত্যাগ করেন, তাহলে তা বাজারমূল্যের ওপর একটা প্রভাব সৃষ্টি করতে পারে। তবে নিত্যপণ্য ও ইফতারপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির জন্য যে ব্যবসায়ীদের অসৎ মানসিকতাই দায়ী, তা বলাই বাহুল্য।

মুদি দোকানিরা বলছেন, হঠাৎ করেই পাইকারি বাজারে সব ধরনের ইফতারপণ্যের দাম বেড়ে গেছে। তাই বাড়তি দরে এনে বাড়তি দরেই সেগুলো বিক্রি করতে হচ্ছে তাদের। কথা হচ্ছে, পাইকারি বাজারে হঠাৎ করেই দাম বাড়ার কারণ কী?

আসলে কোনো কারণ নেই, এটা হচ্ছে ব্যবসায়ীদের কুপ্রবৃত্তি। রমজানে অধিক মুনাফা করতে হবে-এটাই তাদের উদ্দেশ্য। অসৎ মানসিকতাসম্পন্ন এসব ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে নিতে হবে ব্যবস্থা। আমরা চাইব, নিয়মিত বাজার তদারকির মাধ্যমে রমজানে নিত্যপণ্য ও ইফতারপণ্যের মূল্য স্বাভাবিক রাখার জোর প্রচেষ্টা চালাবে সরকার।

 

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম