Logo
Logo
×

সম্পাদকীয়

এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল

এবার শুরু হোক করোনার ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার লড়াই

Icon

সম্পাদকীয়

প্রকাশ: ৩১ ডিসেম্বর ২০২১, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল

করোনার কারণে ভিন্ন পরিস্থিতিতে ভিন্নভাবে অনুষ্ঠিত চলতি বছরের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে বৃহস্পতিবার।

এবার গড় পাসের হার ৯৩ দশমিক ৫৮ শতাংশ, যা এ যাবৎকালের সর্বোচ্চ। গতবার এ হার ছিল ৮২ দশমিক ৮৭ শতাংশ। এবার মোট পরীক্ষার্থী ছিল ২২ লাখ ৪০ হাজার ৩৯৫ জন।

এর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ২০ লাখ ৯৬ হাজার ৫৪৬ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ৮৩ হাজার ৩৪০ জন শিক্ষার্থী। করোনা মহামারির কারণে টানা ৫৪৪ দিন স্কুল বন্ধ থাকায় মাধ্যমিকের সব বিষয়ে পরীক্ষা নেওয়া হয়নি এবার। শুধু গ্রুপভিত্তিক (বিজ্ঞান, মানবিক, ব্যবসায় শিক্ষা ইত্যাদি) তিনটি বিষয়ে সময় ও নম্বর কমিয়ে এ পরীক্ষা নেওয়া হয়। অন্যান্য আবশ্যিক বিষয় ও চতুর্থ বিষয়ের পরীক্ষা হয়নি। এসব বিষয়ে জেএসসি ও সমমানের পরীক্ষার নম্বরের ভিত্তিতে ‘ম্যাপিং’ করে নম্বর দেওয়া হয়। এবার কমানো হয়েছিল মাধ্যমিকের সিলেবাসও। বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ফল প্রকাশের মূল অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। গণভবন থেকে এ অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে ফল প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

করোনা মহামারির কারণে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে এবার নির্ধারিত সময়ের সাড়ে আট মাস পর ১৪ নভেম্বর এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়; শেষ হয় ২৩ নভেম্বর। দেশে এটি ছিল দেড় বছর পর অনুষ্ঠিত কোনো পাবলিক পরীক্ষা। করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় একপর্যায়ে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়া নিয়ে দেখা দিয়েছিল অনিশ্চয়তা। সুখের বিষয়, অবশেষে সংক্ষিপ্তভাবে হলেও পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং এর ফলও প্রকাশিত হয়েছে।

শিক্ষার্থীদের জীবনে মাধ্যমিকের ফল বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। এর মাধ্যমে তারা উচ্চশিক্ষার বৃহত্তর জগতে প্রবেশের সুযোগ পায়, যা তাদের জীবন গঠন ও কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দেয়। বস্তুত প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায় হলো শিক্ষার ভিত মজবুত করার উপযুক্ত সময়। যারা তা করতে সক্ষম হয়, স্বভাবতই তারা মাধ্যমিক পরীক্ষায় ভালো ফল করে থাকে। এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় যারা উত্তীর্ণ হয়েছে, এবার তাদের অংশ নিতে হবে কলেজে ভর্তি হওয়ার যুদ্ধে। এরপর করোনা মহামারির কারণে শিক্ষাক্ষেত্রে যে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে, তা কাটিয়ে ওঠার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা চালাতে হবে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও শিক্ষাসংশ্লিষ্টদের। দেশে শিক্ষার মান নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়ছে। বাড়ছে উত্তীর্ণ ও জিপিএ-৫ প্রাপ্তির সংখ্যাও। কিন্তু সেই অনুপাতে বাড়ছে না ভালো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থীর ভর্তির জন্য ভালো মানের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চাই। চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে মানসম্মত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা এবং দক্ষ শিক্ষক নিয়োগদান জরুরি হয়ে পড়েছে। সংশ্লিষ্টদের এদিকে দৃষ্টি দিতে হবে।

এবার যারা এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে, তাদের সবার প্রতি রইল আমাদের অভিনন্দন। যারা অকৃতকার্য হয়েছে, তাদেরও হতাশ হওয়ার কিছু নেই। আগামীতে ভালো ফলের জন্য এখন থেকেই তাদের প্রস্তুতি নিতে হবে।

Jamuna Electronics
wholesaleclub

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম