নন-এমপিও শিক্ষকদের আশ্বাস
শিক্ষার মানও বাড়াতে হবে
প্রকাশ: ০৬ জানুয়ারি ২০১৮, ০৬:০০ পিএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে অনশন কর্মসূচি প্রত্যাহার করেছেন এমপিওভুক্তির দাবিতে আন্দোলনরত নন-এমপিও শিক্ষকরা। এই শিক্ষকরা আশা করছেন, এবার তাদের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা পূরণ হবে। সারা দেশে মাধ্যমিক ও কলেজ পর্যায়ে বিপুলসংখ্যক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে যেগুলো বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত হয়। এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত বিপুলসংখ্যক শিক্ষক নামমাত্র বেতনে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। নন-এমপিও শিক্ষকদের হতাশার বিষয়টি বহুল আলোচিত। এসব শিক্ষকের অর্থনৈতিক সমস্যার সমাধান না হলে তারা যে তাদের দায়িত্ব সফলভাবে পালন করতে নানারকম অসুবিধার সম্মুখীন হবেন তা বলাই বাহুল্য। এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষকরা যাতে সমাজে মর্যাদার সঙ্গে বসবাস করতে সক্ষম হন, তা নিশ্চিত করা দরকার। নন-এমপিও শিক্ষকদের দাবি পূরণে সময়ক্ষেপণ করা হলে শিক্ষা খাতে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে এমপিওভুক্ত করার পাশাপাশি এসব প্রতিষ্ঠানে কর্মরত সব শিক্ষককে অব্যাহত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তাদের দক্ষতা বাড়ানোর পদক্ষেপও নিতে হবে। যথাযথ শর্ত পালন না করে কোথাও যাতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে উঠতে পারে, তা নিশ্চিত করা জরুরি। শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে কোনো অনিয়ম পরিলক্ষিত হলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া দরকার। সারা দেশের বিভিন্ন স্তরের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে কঠোর মনিটরিংয়ের আওতায় আনতে হবে; যাতে কোথাও স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত না হয়।
শনিবার যুগান্তরে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, এমপিও খাতের অব্যয়িত প্রায় ৬১৪ কোটি টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা না দিয়ে নিজস্ব হিসাবে (অ্যাকাউন্টে) রেখেছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর (মাউশি)। নিয়মবহির্ভূত এ কর্মকাণ্ডের বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয় সতর্ক করলেও সংশ্লিষ্টরা যথাযথভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করেননি। নিয়ম অনুযায়ী অব্যয়িত অর্থ নির্ধারিত সময়ে রাষ্ট্রের কোষাগারে জমা দেয়ার কথা থাকলেও রহস্যজনক কারণে নিয়ম মানা হয়নি।
এমপিও খাতের অব্যয়িত অর্থ রাষ্ট্রের কোষাগারে জমা দেয়ার ক্ষেত্রে যারা উদাসীনতার পরিচয় দেন, তারা তাদের অন্যান্য দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করেন কিনা, এটাও এক বড় প্রশ্ন। তাদের হাতে কোনো শিক্ষক বা সেবাপ্রত্যাশী অহেতুক হয়রানির শিকার হন কিনা তাও যাচাই করা দরকার। এসব অনিয়মের সঙ্গে যুক্ত সবার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া না হলে তাদের আরও বড় ধরনের অপরাধে জড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা থেকে যায়।
