Logo
Logo
×

সম্পাদকীয়

বাংলা একাডেমির প্রবিধান

প্রণয়নে এত বিলম্ব কেন?

Icon

প্রকাশ: ০৫ অক্টোবর ২০১৯, ০২:০০ পিএম

প্রিন্ট সংস্করণ

বাংলা একাডেমির প্রবিধান

ছয় বছর পেরিয়ে গেছে, অথচ তৈরি হয়নি বাংলা একাডেমির প্রবিধান। ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বরে প্রণীত হয়েছিল বাংলা একাডেমি আইন। এরপর দীর্ঘ সময় কেটেছে, নানা জটিলতায় ব্যাহত হয়েছে প্রবিধান তৈরির কাজ। প্রবিধান না হওয়ার কারণে সৃষ্টি হয়েছে নানা সমস্যা। দেখা দিয়েছে বেতন বৈষম্য, ব্যাহত হচ্ছে পদোন্নতি, নিয়োগসহ নানা কার্যক্রম।

বাংলা একাডেমির প্রবিধান তৈরি না হওয়ায় প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে বিরাজ করছে চাপা ক্ষোভ, জন্ম নিয়েছে হতাশা। কাজকর্মের গতিশীলতাও কমে এসেছে। এ অবস্থায় অতি দ্রুত প্রবিধান তৈরির কাজ শেষ করার তাগিদ দিচ্ছেন সংস্থাটিতে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। প্রবিধান প্রণয়নে দেরির বিষয়ে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (সংসদ ও আইন) বলেছেন, প্রবিধান তৈরির কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে, আশা করা যায় এ বছরের মধ্যেই শেষ হবে এই কাজ। বাংলা একাডেমির এক পরিচালকও বলেছেন একই কথা। কিন্তু আমাদের কথা হল- ছয় বছর পর কেন এই কথা? এতদিন যে কাজটি সম্পন্ন হল না, সেজন্য দায় কার?

শুধু প্রবিধান নয়, বাংলা ভাষার উৎকর্ষ ও গবেষণার জন্য বাংলা একাডেমির জন্ম হলেও গত দশ বছরে হাতেগোনা কয়েকটি কাজ ছাড়া গবেষণা ক্ষেত্রে তেমন কোনো কাজই হয়নি বলা যায়। কাজকর্মে প্রতিষ্ঠানটির উচ্চতর কর্তৃপক্ষের অবহেলা কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না। বাংলা একাডেমিতে সর্বশেষ পদোন্নতি হয়েছিল ২০১২ সালে, এরপর আর কোনো পদোন্নতি হয়নি। এই পদোন্নতি না হওয়ার পেছনে সবসময় অজুহাত দেখানো হয়েছে প্রবিধান না থাকার বিষয়টি। ওদিকে গত ১০ বছরে পদোন্নতি হয়নি এমন অনেক কর্মকর্তার বেতন বেড়েছে; কিন্তু উচ্চপদে আসীন অনেকের বেতন বাড়েনি।

আমরা অতি দ্রুত বাংলা একাডেমির প্রবিধান তৈরির কাজ সম্পন্ন করার দাবি জানাই। বাংলা একাডেমির মতো একটি জাতীয় প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চাকরিতে কোনো শৃঙ্খলা থাকবে না, এটা হতে পারে না। দীর্ঘ সময় ধরে পদোন্নতি বন্ধ এবং বেতন বৈষম্যের কারণে সাধারণ কর্মচারীদের মধ্যেও কর্মস্পৃহা থাকার কথা নয়। এর ফলে নষ্ট হতে পারে পারস্পরিক সম্পর্ক, ভেঙে যেতে পারে চেইন অব কমান্ড। আর সবটা মিলিয়ে শেষ পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত হবে বাংলা ভাষার সঙ্গে সম্পর্কিত যাবতীয় বিষয়। বর্তমান মহাপরিচালক বাংলা একাডেমির কর্মচাঞ্চল্য সৃষ্টিতে নানা উদ্যোগ নিয়েছেন অবশ্য। কিন্তু প্রবিধানের অভাবে তার এসব উদ্যোগ সাফল্যের মুখ না-ও দেখতে পারে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম