Logo
Logo
×

নগর-মহানগর

দুর্নীতি নিয়োগ-বাণিজ্য ভূমি দখলের অভিযোগ

প্রতিমন্ত্রী জাকিরকে মনোনয়ন না দিতে ১৬ আ.লীগ নেতার চিঠি

Icon

কুড়িগ্রাম ও রৌমারী প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৪ নভেম্বর ২০২৩, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটূক্তি, বঙ্গমাতার নাম ব্যবহার করে ভূমি দখল এবং নিয়োগ-বাণিজ্যসহ ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ এনে তাকে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে মনোনয়ন না দিতে আবেদন জানিয়েছেন ১৬ মনোনয়ন প্রত্যাশী। প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন কুড়িগ্রাম-৪ (রৌমারী, রাজিবপুর, চিলমারী) আসনের সংসদ-সদস্য। ওই আসনে ১৬ মনোনয়ন প্রত্যাশী আওয়ামী লীগ নেতা বুধবার ৫ দফা দাবি তুলে ধরে দলীয় প্রধান এবং দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ডের সভাপতি বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

অভিযোগে তারা বলেন, জাকির হোসেন ২০১৮ সালে কুড়িগ্রাম-৪ আসনের একজন নির্বাচিত এমপি এবং সরকারের প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই তিনি সরকারি নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে, নিজের খেয়ালখুশিমতো কাজ করেছেন। তিনি কর্মীদের অবমূল্যায়ন, নিজস্ব ক্যাডার বাহিনী দ্বারা কর্মীদের হয়রানি, সাধারণ মানুষের ভাগ্যের উন্নয়নের চিন্তা না করে নিজের উন্নয়নে ব্যস্ত ছিলেন। এ নিয়ে প্রতিবাদ করলে মিথ্যা মামলাসহ ভয়ভীতি প্রদর্শন করেছেন।

প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেনকে ‘দুর্নীতিবাজ, গণবিচ্ছিন্ন ও বিতর্কিত’ আখ্যা দিয়ে অভিযোগপত্রে আওয়ামী লীগ নেতারা বলেন, তিনি রৌমারী, চিলমারী ও রাজিবপুর এলাকায় ‘ভূমিদস্যু’ হিসাবে পরিচিত। তিনি বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের নাম ব্যবহার করে ভূমি দখল করেছেন। প্রতিমন্ত্রী হওয়ায় জাকির হোসেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগের কথা বলে চিলমারী, রৌমারী ও রাজিবপুর উপজেলার অনেক চাকরি প্রার্থীর কাছে টাকা নিয়েও চাকরি দেননি। এতে পরিবারগুলো পথে বসেছে। এসব কারণে ওই আসনের প্রায় ৯৫ ভাগ মানুষ জাকির হোসেনের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে। ফলে দলীয় নেতাকর্মীরা সাধারণ মানুষের কাছে গিয়ে বিভিন্ন প্রশ্নের সম্মুখীন হয়ে বিব্রত হচ্ছেন।

তারা বলেছেন, সংসদ নির্বাচনে কুড়িগ্রাম-৪ আসনে নৌকা মার্কায় জাকির হোসেন ছাড়া আওয়ামী লীগের যে কাউকে মনোনয়ন দিলে নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে আসনটি দলীয় সভাপতিকে উপহার দেবেন।

এই পত্রে স্বাক্ষর করেছেন-রাজিবপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই সরকার, রাজিবপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য শফিউল আলম, কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও রৌমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রেজাউল ইসলাম মিনু, রৌমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শহিদুল ইসলাম শালু, আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা উপকমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মুরাদ লতিফসহ ১৬ জন নেতা।

এ বিষয়ে জানতে প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেনের মোবাইল ফোন নম্বরে বুধবার রাতে ও বৃহস্পতিবার সকালে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি। তাকে হোয়াটসঅ্যাপে ম্যাসেজ দিলেও জবাব মেলেনি। ফলে তার মন্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম