ঝালকাঠিতে স্ত্রীকে হত্যা করল ছাত্রলীগ নেতা

ঝালকাঠি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৬ মে ২০২৩, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
ঝালকাঠিতে কলেজ পড়ুয়া স্ত্রী সায়মা পারভীন তানহাকে (২০) ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছে জেলা ছাত্রলীগের এক শীর্ষ নেতা। পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে থানায় আত্মসমর্পণ করেন ওই ছাত্রলীগ নেতা। সোমবার দুপুরে ঝালকাঠি শহরতলির ইকোপার্কে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত সায়মা পারভীন তানহা ঝালকাঠি সরকারি মহিলা কলেজের অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্রী। সে শহরের ফকিরবাড়ি সড়কের শাহাদাত তালুকদারের মেয়ে। ঘাতকের নাম আলী ইমাম খান অনু। তিনি ঝালকাঠি জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি। জানা গেছে, ফকিরবাড়ির দলিল লেখক দিলদার হোসেন নান্নার ছেলে আলী ইমাম খান অনু ২০২১ সালের ২ সেপ্টেম্বর গোপনে বিয়ে করেন প্রেমিকা প্রতিবেশী সায়মা পারভীন তানহাকে। বিয়ের পর তারা নিজ নিজ পরিবারের সঙ্গে থাকতেন। সম্প্রতি তানহা ফেসবুকে অন্য এক যুবকের সঙ্গে চ্যাট করতেন। বিষয়টি জানতে পেরে ছাত্রলীগ নেতা অনু রোববার রাতে নিজের ফেসবুকে স্ত্রী পরকীয়ায় আসক্ত বলে পোস্ট দেন। সোমবার বেলা ১১ টার দিকে স্ত্রীকে ফোনে ইকো পার্কে ডেকে আনেন অনু। এরপর ফেসবুকের পোস্ট ও চ্যাটিং নিয়ে দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে অনু ছুরি দিয়ে তানহার পেটে ও বুকে আঘাত করলে ঘটনাস্থলেই তানহার মৃত্যু হয়। মৃত্যুর পর অনু তার ফেসবুকে বেলা ১২টার দিকে স্ত্রীকে হত্যার কথা স্বীকার করে পোস্ট দিয়ে ঝালকাঠি সদর থানায় আত্মসমর্পণ করেন। পুলিশ ঘাতক অনুকে নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে তানহার লাশ ও ছুরি উদ্ধার করে।
অনু তার ফেসবুক পোস্টে লেখেন, আমার স্ত্রী পরকীয়ায় আসক্ত ছিল। তাই নিজেই তাকে খুন করেছি। এর জন্য আমি ছাড়া আর কেউ দায়ী নয়।
তানহার বাবা শাহাদাত হোসেন তালুকদার জানান, আমি বিয়ের বিষয়ে কিছুই জানি না। ঘাতক অনু আমাদের বাসার কাছেই বসবাস করে। সে আমার মেয়েকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। আমি এ হত্যার বিচার চাই।
ঝালকাঠির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মহিতুল ইসলাম বলেন, ঘটনার পরপরই অনু পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেছে। তার দেওয়া স্বীকারোক্তি অনুযায়ী তানহার লাশ উদ্ধার করা হয়। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঝালকাঠি সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।