রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্র
১৯ অক্টোবর পরমাণু চুল্লি স্থাপন উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী
ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৩ অক্টোবর ২০২২, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
নির্মাণাধীন রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউনিটের পারমাণবিক চুল্লি স্থাপন (রিঅ্যাক্টর প্রেশার ভেসেল) উদ্বোধন হচ্ছে ১৯ অক্টোবর। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে এ রিঅ্যাক্টর চুল্লি স্থাপন উদ্বোধন করবেন বলে জানিয়েছেন প্রকল্প কর্তৃপক্ষ। এ উদ্বোধনীর আনুষ্ঠানিকতার জন্য প্রকল্প এলাকায় ব্যাপক প্রস্তুতি নিচ্ছে কর্তৃপক্ষ।
রূপপুরে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে সহযোগিতা দিচ্ছে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় সংস্থা আণবিক শক্তি করপোরেশন রসাটম। চুক্তি অনুযায়ী, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে দুটি ইউনিটে ২৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে। যা নির্মাণের জন্য প্রাথমিকভাবে ১ লাখ ১৩ হাজার কোটি টাকারও বেশি খরচ ধরা হয়েছে। বাংলাদেশের ইতিহাসে একক উন্নয়ন প্রকল্প হিসাবে রূপপুর দেশের সবচেয়ে বড় প্রকল্প। করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যেও রূপপুরে প্রতিদিন তিন শিফটে দেশি-বিদেশি ২২ থেকে ২৩ হাজার শ্রমিক দিনরাত কাজ করেছেন। মঙ্গলবার বিকালে মনিটরিং কমিটির দুই দফা সভা শেষে সন্ধ্যায় মনিটরিং কমিটির সভাপতি ও রাজশাহীর বিভাগীয় কমিশনার জিএসএম জাফরউল্লাহ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে ঈশ্বরদীতে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের সার্বিক নিরাপত্তা বিধান ও কার্যাদি সম্পাদনে সহযোগিতা প্রদান ও মনিটরিংয়ের জন্য গঠিত মনিটরিং কমিটির নিয়মিত সভায় কর্মসূচি বাস্তবায়নে স্থানীয় পর্যায়ে করণীয় সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করা হয়।
জিএসএম জাফরউল্লাহ বলেন, আগামী ১৯ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউনিটের রিঅ্যাক্টর স্থাপনের শুভ উদ্বোধনে সদয় সম্মত হয়েছেন। যা দেশের ইতিহাসে একটি মাইলফলক। বিভাগীয় কমিশনার বলেন, এই চুল্লিপাত্র স্থাপনের ৬ থেকে ৮ মাসের মধ্যে রূপপুর বিদ্যুৎ উৎপাদনে যেতে পারবে বলে আমরা আশা করছি। প্রথম পর্যায়ে এখান থেকে ১২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের পর তা জাতীয় গ্রিডে সংযুক্ত করা হবে।
উপজেলার সাহাপুরের নতুনহাটে গ্রিনসিটি আবাসিকে ‘আরএনপিপি’ ভবনের কনফারেন্স রুমে অনুষ্ঠিত এ সভায় উপস্থিত ছিলেন রূপপুর প্রকল্পের পরিচালক ড. শৌকত আকবর, পাবনার জেলা প্রশাসক বিশ্বাস রাসেল হোসেন, পুলিশ সুপার আকবর আলী মুনসিসহ রূপপুর প্রকল্প ও প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তারা।
প্রকল্প পরিচালক ড. শৌকত আকবর বলেন, আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য কাজ করছি। এরই মধ্যে প্রথম ইউনিটের ৭৫ ভাগ ভৌত-অবকাঠামো কাজ সম্পন্ন হয়েছে।