Logo
Logo
×

নগর-মহানগর

তসবীর সিনেমা হল

যশোরে শতবর্ষী ঘূর্ণায়মান নাট্যমঞ্চ ফিরছে স্বরূপে

Icon

যশোর ব্যুরো

প্রকাশ: ০১ জুলাই ২০২২, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

তসবীর সিনেমা হলের আড়ালে ‘মুছে যাওয়া’ শতবর্ষী স্থাপনা বিশ্বেস্বর সরকার-বি. সরকার মেমোরিয়াল ঘূর্ণায়মান নাট্যমঞ্চ আবার সচলের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সংস্কার ও সংরক্ষণ কাজ শুরু করেছে যশোর ইনস্টিটিউট কর্তৃপক্ষ। দীর্ঘদিন ধরে নাট্যমঞ্চটি অচল থাকায় তসবীর সিনেমা হল নামেই বেশি পরিচিতি পায় স্থাপনাটি। কর্তৃপক্ষের নতুন উদ্যোগে স্বরূপে ফিরছে শতবর্ষী মঞ্চটি।

জানা গেছে, মঞ্চনাটককে দৃশ্য থেকে দৃশ্যায়নের বিশ্বস্ত প্রাণবন্ত উপস্থাপন ও দর্শকগ্রাহী করতে যশোরের বি. সরকার মেমোরিয়াল ঘূর্ণায়মান মঞ্চ নির্মিত হয় ১৯২১ সালে। যা দেশের মধ্যে দ্বিতীয়, প্রথমটি বগুড়ার উডবার্ন হল। কলকাতার বিখ্যাত গিনি হাউজের মালিক বিশ্বেস্বর সরকার (যার আদি নিবাস যশোরের চৌগাছায়) এ হল নির্মাণে আর্থিক সহায়তা করেন। এ মঞ্চে একটি নাটকের একইসঙ্গে তিনটি সেট নির্মাণ করে নাটক মঞ্চস্থ করা যায়। যশোরের সাংস্কৃতিক অঙ্গনের ‘মাদার অর্গানাইজেশন’ যশোর ইনস্টিটিউটের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় বি (বিশ্বেস্বর) সরকার মেমোরিয়াল ঘূর্ণায়মান মঞ্চ শতবর্ষের ঐতিহ্য নিয়ে আজো অতীত ঐতিহ্যকে স্বগৌরবে লালন করে চলেছে। যা এতদিন অবহেলা অযত্নে পড়ে থেকে অকেজো হয়ে পড়েছিল।

বৃহত্তর যশোর জেলার তৎকালীন নড়াইল মহাকুমার লোহাগড়ার বিখ্যাত মজুমদার পরিবারের কৃতি সন্তান রায় বাহাদুর যদুনাথ মজুমদারের উদ্যোগে টাউন ক্লাবের সঙ্গে সঙ্গে নিউ আর্য থিয়েটার প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯১৯ সালে। তিন বছর পর ১৯২১ সালে এ থিয়েটারের সঙ্গে ঘূর্ণায়মান রঙ্গমঞ্চ নাটকের জন্য নির্মিত হয়। নামকরণ করা হয় বিশ্বেস্বর-বি. সরকার মেমোরিয়াল হল। ১৯২৮ সালে এ থিয়েটার নাট্যকলা সংসদ নামে যশোর ইনস্টিটিউটের সঙ্গে একীভূত হয়। উপমহাদেশের নাট্য আন্দোলনের সূচনালগ্ন থেকে শতবর্ষের ঐতিহ্যকে ধারণ করে আসছে এ প্রতিষ্ঠান। পাকিস্তান আমলে চলচ্চিত্র প্রর্দশনের জন্য এ হল ইজারা দেওয়া হয় নোমানী পরিবারের কাছে। ইজারাদাররা বি. সরকার মেমোরিয়াল হলের নাম পরিবর্তন করে তসবীর সিনেমা হল রাখে। ফলে ‘বি সরকার মেমোরিয়াল হল’ নিজস্ব নাম হারিয়ে ‘তসবীর মহল’ নামে পরিচিতি পায়।

যশোর ইনস্টিটিউটের নাট্যকলা সংসদের সম্পাদক অ্যাডভোকেট চুন্নু সিদ্দিকী জানান, ১৯৪৭ সালে ভারত বিভাগের পর নাট্যকলা বিভাগে ব্যাপক লুটপাট ও ভাঙচুর হয়। তখন ঘূর্ণায়মান রঙ্গমঞ্চের বিদ্যুৎ ব্যবস্থাসহ মঞ্চটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ১৯৫২ সালে অ্যাডভোকেট রওশন আলী যশোর ইনস্টিটিউটের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হলে মঞ্চটির সংস্কারের উদ্যোগ নেন এবং নাটক মঞ্চায়নের উপযোগী করা হয়। নব্বই দশকের পর থেকে এ মঞ্চ আর তেমন ব্যবহার হয়নি। তবে নাট্যকলা সংসদের পরিচালনা কমিটির উদ্যোগে মঞ্চের উপরিভাগ কয়েক দফায় সংস্কার করা হয়। দীর্ঘদিন পর অব্যবহৃত থাকায় অচল হয়ে পড়া মঞ্চটি সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

 

Jamuna Electronics
wholesaleclub

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম