Logo
Logo
×

নগর-মহানগর

লক্ষ্য আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন 

চট্টগ্রামে আ.লীগ বিএনপির ঘর গোছানোর তোড়জোড়

আ.লীগের সদস্য নবায়ন সংগ্রহ অভিযান শুরু আজ বিএনপির শেষ পর্যায়ে * যুবলীগের সম্মেলন ঘিরে ব্যানার-তোরণে ছেয়ে গেছে নগরী

Icon

মজুমদার নাজিম উদ্দিন, চট্টগ্রাম

প্রকাশ: ২৫ মে ২০২২, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

চট্টগ্রামে আ.লীগ বিএনপির ঘর গোছানোর তোড়জোড়

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে চট্টগ্রামে ঘর গোছানোর তোড়জোড় শুরু করেছে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। উভয় দল তৃণমূলকে ঢেলে সাজাতে তৎপর হয়ে উঠেছে। নেতাকর্মীদের চাঙ্গা করতে নানা উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।

নতুন সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন, সম্মেলন ও নতুন নেতৃত্ব নির্বাচনের মাধ্যমে মূল দল এবং অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনগুলোকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে দলের দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় সিনিয়র নেতারা মাঠে কাজ করছেন।

চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ আজ আনুষ্ঠানিকভাবে তৃণমূল পর্যায়ে সদস্য নবায়ন ও নতুন সদস্য সংগ্রহ অভিযান শুরু করতে যাচ্ছে। এর আগে সদস্য সংগ্রহ অভিযান শুরু হলেও এক পক্ষের অভিযোগের কারণে মাঝপথে তা থমকে যায়।

নতুন উদ্যমে আবার শুরু হতে যাচ্ছে বলে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। এদিকে মূল দলের পাশাপাশি যুবলীগকেও শক্তিশালী করে তোলা হচ্ছে।

আগামী ২৮ মে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা, ২৯ মে উত্তর জেলা ও ৩০ মে মহানগর যুবলীগের সম্মেলন হওয়ার কথা রয়েছে। এ সম্মেলন ঘিরে চট্টগ্রাম নগরীতে এখন সাজ সাজ রব। পোস্টার, ব্যানার ও তোরণে ছেঁয়ে গেছে গোটা নগরী।

উজ্জ্বীবিত হয়ে উঠেছেন নেতাকর্মিরা। অপরদিকে এপ্রিল থেকে ইউনিট পর্যায়ে সদস্য সংগ্রহ অভিযান শুরু করে নগর বিএনপি। সদস্য সংগ্রহ অভিযান এখন শেষের পথে। জুন থেকে তৃণমূল পর্যায়ে সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন কমিটি গঠন প্রক্রিয়া শুরুর আশা করছে দলটি।

দলীয় সূত্র জানায়, আগামী জাতীয় নির্বাচন ও নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন ইস্যুতে আন্দোলনে নামতে পারে বিএনপি। এরইমধ্যে দলের সিনিয়র নেতারা বিভিন্ন সভা-সমাবেশ থেকে আন্দোলনের ইঙ্গিত দিয়ে নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ ও প্রস্তুত থাকতে বলছেন।

সর্বশেষ নগর বিএনপির ইফতার মাহফিলে লন্ডন থেকে অনলাইনে যুক্ত হয়ে বক্তব্য দেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এ মাহফিলে কেন্দ্রীয় নেতারা ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র রক্ষায় নেতাকর্মীদের রাজপথে সক্রিয় থাকার আহ্বান জানান।

এদিকে ছাড় দিতে রাজি নয় আওয়ামী লীগও। আন্দোলনের নামে যেন কেউ দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে সেজন্য নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার এবং সতর্ক থাকার আহ্বান জানাচ্ছেন দলীয় নেতারা।

দলীয় সূত্র মতে, কেন্দ্র ঘোষিত তৃণমূল পর্যায়ে দলকে গতিশীল করতে আজ সকাল ১০টায় নগরীর কাজীর দেউড়িস্থ ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন হলে আনুষ্ঠানিকভাবে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের আওতাধীন থানা, ওয়ার্ড ও ইউনিট পর্যায়ে সদস্য নবায়ন ও নতুন সদস্য সংগ্রহ অভিযান শুরু হবে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হবেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকবেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ হোসেন।

প্রধান বক্তা থাকবেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ। এছাড়া উপস্থিত থাকবেন কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতা। সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন অনুষ্ঠানে প্রতিটি ওয়ার্ড এবং থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, আহ্বায়ক, যুগ্ম আহ্বায়ক ও ইউনিট সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকদের উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে।

নগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ যুগান্তরকে জানান, আগামী জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে দলকে তৃণমূল থেকে শক্তিশালী করতে কেন্দ্রের নির্দেশনা রয়েছে। এরই অংশ হিসাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হচ্ছে।

তিনি আরও জানান, এর আগে নগরীর ৪৩টি সাংগঠনিক ওয়ার্ডের ১২৯টি ইউনিটের মধ্যে ৯১টির সম্মেলন হয়। আপত্তি উঠায় কিছু ইউনিটে সম্মেলন করা সম্ভব হয়নি। কেন্দ্রের নির্দেশে তৃণমূলকে শক্তিশালী করতে ১৫টি সাংগঠনিক টিম কাজ করছে বলেও তিনি জানান।

দীর্ঘদিন ধরে চলা নগর বিএনপির সাংগঠনিক স্থবিরতা কাটাতে উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্র। এ প্রক্রিয়ার অংশ হিসাব মার্চের শেষ দিকে আহ্বায়ক কমিটির ক্ষমতা খর্ব করে একটি তদারক টিম ও পাঁচটি সাংগঠনিক টিম গঠন করা হয়।

এসব টিমের নেতৃত্বে তৃণমূল গোছানোর কাজ চলছে। নগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এমএ আজিজ যুগান্তরকে বলেন, এপ্রিলের মাঝামাঝি থেকে ১২৯টি ইউনিটে সদস্য সংগ্রহ অভিযান শুরু হয়।

মাঝখানে রমজান ও ঈদের ছুটিতে কিছুটা বাধাগ্রস্ত হলেও বেশিরভাগ ইউনিটের প্রাথমিক সদস্য সংগ্রহ শেষ হয়েছে। এ মাসের মধ্যেই চূড়ান্ত তালিকা কেন্দ্রে জমা দেওয়া হবে। নির্বাচন সামনে রেখে দ্রত তৃণমূল গুছিয়ে আনতে কেন্দ্র থেকে তাগাদা দেওয়া হচ্ছে।

তিনি আরও জানান, মাঠপর্যায়ে বিপুল সাড়া মিলছে। প্রতিটি ওয়ার্ডে ৩০০ জন করে সদস্য করার কথা থাকলেও কোনো কোনো ওয়ার্ডে ১ হাজার ৫০০ থেকে ২ হাজার পর্যন্ত ফরম বিতরণ করতে হয়েছে।
 

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম