
প্রিন্ট: ০১ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:৩৪ পিএম
যুগান্তরে সংবাদ প্রকাশ
ঝিনাইদহে কলেজ ভবনের পিলারের ফাটল মেরামত
ঝুঁকিমুক্ত কিনা তা নির্ণয়ের জন্য তদন্ত কমিটি গঠনের দাবি

মিজানুর রহমান, ঝিনাইদহ
প্রকাশ: ২৮ ডিসেম্বর ২০২১, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

ছবি: যুগান্তর
আরও পড়ুন
যুগান্তরে সচিত্র সংবাদ প্রকাশের পর রোববারই রড বের হয়ে যাওয়া পিলারগুলো মেরামত করা হয়েছে। জেলার মহেশপুর উপজেলার বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান কলেজের যে কলামটিতে (পিলার) হানিকম্ব হয়েছে, সেটি সরেজমিন পরিদর্শনপূর্বক সহকারী প্রকৌশলী ফারুক আহম্মেদ, এসএম
জাফরান কবীর, উপসহকারী প্রকৌশলী তুহিন হোসাইন ও কলেজ অধ্যক্ষ রফি উদ্দীনের উপস্থিতিতে আধুনিক প্রযুক্তি মাইক্রো কংক্রিট দিয়ে বন্ধ করা হয়েছে। এখন নির্মাণকাজ চলমান রয়েছে। এ বিষয়ে জানিয়েছেন ঝিনাইদহ শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী।
এ বিষয়ে সোমবার দুপুরে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ রফি উদ্দীন যুগান্তরকে বলেন, সচিত্র সংবাদ প্রকাশের পর রোববার তড়িঘড়ি করে রড বের হয়ে যাওয়া পিলারগুলো ঢালাই দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে। সে সময় তিনিসহ নির্মাণকাজ তদারকি কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। এরপরও ভবনটি ঝুঁকিমুক্ত কি-না, তা নির্ণয়ের জন্য নির্মাণ বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে তদন্ত কমিটি গঠনের দাবি করেছেন তিনি।
‘ঝিনাইদহে কলেজের নির্মাণাধীন ভবনের ৫টি পিলারে ফাটল’ শিরোনামে ২৬ ডিসেম্বর যুগান্তরের শেষ পাতায় একটি সচিত্র সংবাদ প্রকাশের পর নড়েচড়ে বসে কর্তৃপক্ষ। শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর ঝিনাইদহের নির্বাহী প্রকৌশলী ইশতিয়াক ইকবাল হিমেলের স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে ঠিকাদার মিজানুর রহমানকে ক্ষতিগ্রস্ত সব কলাম (পিলার) দ্রুত মেরামত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সঠিক মেরামত করা না হলে এর দায়দায়িত্ব ঠিকাদারকে বহন করতে হবে, এমন উল্লেখ রয়েছে ওই চিঠিতে।
মহেশপুর উপজেলার সরকারি বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ হামিদুর রহমান ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ রফি উদ্দীন শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী বরাবর পৃথক চিঠি দিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, নির্মাণাধীন ৬ তলা ভবনের ৪ তলার ৫টি কলামের (পিলার) মাঝখান দিয়ে ঢালাই ফেটে রড বের হয়ে গেছে এবং আলো বালু (আলগা বালি) বের হচ্ছে। এছাড়া ঢালাই করা ছাদ পানিতে আদ্র হয়ে যাচ্ছে। ২৬ ডিসেম্বর এক চিঠিতে ঝুঁকিমুক্তভাবে ভবন নির্মাণের জন্য পদক্ষেপ গ্রহণের অনুরোধ করা হয়েছে।
ঝিনাইদহের শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে সরকারি বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ হামিদুর রহমান ডিগ্রি কলেজের ৬ তলা বিশিষ্ট একাডেমিক ভবন নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন ঝিনাইদহ-৩ আসনের সংসদ-সদস্য অ্যাডভোকেট শফিকুল আজম খান চঞ্চল। ২০২১ সালের ১৭ জানুয়ারি ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করার পর নির্মাণকাজ শুরু করেন নিয়োগ করা ঠিকাদার মিজানুর রহমান। এ ভবন নির্মাণকাজে প্রায় ৬ কোটি ২৫ লাখ টাকা ব্যয় করা হচ্ছে। আগামী বছরের ৩০ জুন ভবনটির নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার কথা।