Logo
Logo
×

নগর-মহানগর

মাদক ও চাঁদাবাজি বন্ধ করা একা আমার পক্ষে সম্ভব না

Icon

সাব্বির আহমেদ সুবীর, বাঞ্ছারামপুর

প্রকাশ: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

বাঞ্ছারামপুর পৌরসভা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ২০১৩ সালের ৬ জুন। নিজস্ব ভবন ছাড়াই চলছে ‘গ’ শ্রেণীর এ পৌরসভা। পৌর এলাকাজুড়ে ড্রেনেজ ব্যবস্থার বেহাল দশা। বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের অভাব, গ্যাস সংকট, প্রশস্ত রাস্তার পরিমাণ খুবই সামান্য, পুরনো রাস্তাগুলোর অধিকাংশই সংস্কার হয়নি। পর্যাপ্ত ডাস্টবিন না থাকায় বাসাবাড়ি ও দোকানের ময়লা-আবর্জনা রাস্তায় ও ঢোলভাঙ্গা নদীতে ফেলা হচ্ছে। এখানে বিনোদনের জন্য নেই কোনো পার্ক। নাগরিক সুযোগ-সুবিধা না থাকলেও বেড়েছে পৌরকর। এসব নিয়ে স্থানীয় পৌরবাসীর মাঝে বিরাজ করছে চাপা ক্ষোভ।

২০১৫ সালের ১৫ জুন অনুষ্ঠিত পৌরসভার প্রথম মেয়র নির্বাচিত হন খলিলুর রহমান টিপু। তিনি বাঞ্ছারামপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক। এসব বিষয় নিয়ে কথা হয় তার সঙ্গে। মেয়র খলিলুর রহমান টিপু জানিয়েছেন, এলাকাটি আগে ছিল ইউনিয়ন পরিষদ। এখন যেহেতু পৌরসভা হয়েছে নাগরিক সুবিধা যেমনই হোক না কেন পৌরকর তো বাড়বেই। আশা করি, সামনের বছর থেকে পৌরসভার উন্নয়নও বাড়বে। তখন পৌরবাসীও সুবিধা পাবেন। মেয়র বলেন, নির্বাচনের আগে পৌরবাসীকে আমি যেসব আশ্বাস ও প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম তার অনেকটাই বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়ে উঠছে না। এরমধ্যে কিছু কিছু বাস্তবায়ন করেছি। মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে পৌরবাসীকে দেয়া সব প্রতিশ্রুতি পূরণ করার চেষ্টা চালাচ্ছি। পর্যাপ্ত বরাদ্দ না পাওয়ার কারণে আশানুরূপ উন্নয়ন করতে পারছি না।

মেয়র বলেন, আগের তুলনায় পৌরসভা এলাকায় মাদক ও চাঁদাবাজি অনেক কমে এসেছে। ইতিমধ্যে কয়েকজন বড় মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করাতে সক্ষম হয়েছি। আশা করি, আগামি এক-দেড় বছরের মধ্যে আরও কমিয়ে আনব। বাঞ্ছারামপুর পৌরসভা থেকে মাদক ও চাঁদাবাজি বন্ধ করা একা আমার পক্ষে সম্ভব না। আমি পৌরবাসীকে নিয়ে তা বন্ধে আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছি। তিনি বলেন, আগে তো এলাকায় কোনো ড্রেনই ছিল না। আমি তো ৪টি ড্রেন নির্মাণ করে দিয়েছি এবং পৌর এলাকার প্রায় গ্রামের ভিতরে ছোট ছোট ৩০-৩৫টি রাস্তা নির্মাণ করেছি। পৌরসভায় তেমন কোনো আয় নেই।

মেয়র বলেন, পৌরসভায় প্রথম দফার নিয়োগে অনিয়ম ও মাস্টাররোলে নিয়োগে আত্মীয়করণের অভিযোগ উঠায় আমি দ্বিতীয় দফায় নিয়োগের ক্ষেত্রে অনিয়ম ঠেকাতে কঠোরভাবে পরীক্ষা নেয়ার ব্যবস্থা করেছি। পৌরসভার কেউ যদি চাকরিতে নিয়োগের কথা বলে কারও কাছ থেকে কোনো টাকা-পয়সা নিয়ে থাকে তা প্রমাণিত হলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। এক ধরনের টাউট-বাটপার লোক পৌরসভা নিয়ে নিয়োগ বাণিজ্য, আত্মীয়করণসহ বিভিন্ন ধরনের অনিয়ম-দুর্নীতির মিথ্যা অভিযোগ তুলছে। ছানাউল্লার বাড়ির পাশের রাস্তাটি পানি জমে নষ্ট হয়ে যাওয়ায় দুই দফায় সংস্কার করা হয়েছে। মতি ডাক্তারের বাড়ির পাশের রাস্তাটি ব্যাপক ভাঙা ছিল, এখান দিয়ে প্রতিদিন শত শত যানবাহন চলাচল করায় বারবার ভেঙে যায়। ফলে সংস্কার করা হয়েছে কয়েক দফায়। এ বিষয়ে জানতে চাইলে মেয়র বলেন, এখানে কয়েকবার বরাদ্দ দেয়া হয়েছে, কিন্তু কোনো ধরনের অনিয়ম-দুর্নীতি হয়নি। ময়লা-আবর্জনা ফেলার জন্য আমরা বাঞ্ছারামপুর বড় বাজারের পূর্ব পাশে একটি খাস জায়গা বন্দোবস্ত নেয়ার জন্য চেষ্টা করছি।

ইদানীং অন্য জায়গায় ময়লা ফেলার পরিকল্পনা চলছে। পৌর এলাকার সিএনজি স্টেশনে যানবাহনের ভাড়া তালিকা সাঁটানো নেই। তারা মনগড়া মতো টাকা আদায় করছে। এ বিষয়ে মেয়র বলেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ আমরা কয়েক দফায় মিটিংও করেছি ন্যায্য ভাড়া নির্ণয়ের জন্য। শেষ পর্যন্ত এর সমাধান হয়নি। আশা করি সামনে সমাধান হয়ে যাবে। সিএনজি স্টেশন যেহেতু পৌর এলাকায় তাই নিয়ম মেনেই ইজারার মাধ্যমে দেয়া হয়েছে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম