ইউপি চেয়ারম্যান থেকে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র
![Icon](https://cdn.jugantor.com/uploads/settings/icon_2.jpg)
নওগাঁ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৮ জানুয়ারি ২০১৯, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
![ইউপি চেয়ারম্যান থেকে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র](https://cdn.jugantor.com/assets/news_photos/2019/01/08/image-130880-1546926524.jpg)
খাদ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন নওগাঁ-১ (নেয়ামতপুর-পোরশ-সাপাহার) আসনের সংসদ সদস্য সাধন চন্দ্র মজুমদার। এ খবরে উচ্ছ্বসিত তার নির্বাচনী এলাকাসহ গোটা জেলার মানুষ।
জেলার বিভিন্ন স্থানে আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ করা হচ্ছে। সাধন চন্দ্র মজুমদার তৃণমূল থেকে উঠে আসা একজন রাজনৈতিক নেতা। ছাত্রলীগ দিয়ে রাজনীতির হাতেখড়ি। ইউপি চেয়ারম্যান ছিলেন। এরপর উপজেলা চেয়ারম্যান এবং সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এবার খাদ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেলেন।
আওয়ামী লীগের এই নেতার জন্ম ১৯৫০ সালের ১৭ জুলাই একটি মধ্যবিত্ত পরিবারে। পাঁচ ভাইয়ের মধ্যে তিনি চতুর্থ। বাবা ছিলেন ধান ব্যবসায়ী। ব্যক্তিজীবনে তিনি চার কন্যা সন্তানের জনক। নওগাঁ ডিগ্রি কলেজ থেকে স্নাতক পাস সাধন চন্দ্র মজুমদার ১৯৮৪ সালে হাজীনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ১৯৮৯ সালে নিয়ামতপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।
১৯৯৬ ও ২০০১ সালের সংসদ নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী ডা. ছালেক চৌধুরীর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পরাজিত হন। ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ডা. ছালেক চৌধুরীকে পরাজিত করে বিজয়ী হন সাধন চন্দ্র মজুমদার। ২০১৪ সালে দশম জাতীয় সংসদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এবং ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির ঐক্যফ্রন্টের মোস্তাফিজুর রহমানকে পরাজিত করে তৃতীয়বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। সাধন চন্দ্র মজুমদার জেলা আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেছেন।
২০০৮ সালের নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর দীর্ঘ ১০ বছর সংসদ সদস্য থাকায় এলাকার ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন সাধন চন্দ্র মজুমদার। যোগাযোগ ব্যবস্থা, পানির সুব্যবস্থা, বনায়ন, শিক্ষা ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন এনেছেন তিনি। সব মিলিয়ে তিন উপজেলায় নিজের ও আওয়ামী লীগের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছেন তিনি। এলাকাবাসীর আশা মন্ত্রী হিসেবে তিনি এলাকার আরও উন্নয়ন করতে পারবেন।