ডিএনসিসি কাউন্সিলর নির্বাচন ২০২০
৫১ নম্বর ওয়ার্ড: আবাসিক পরিবেশ নিশ্চিতের প্রত্যয়
মো. রফিকুল ইসলাম
প্রকাশ: ৩০ ডিসেম্বর ২০১৯, ০১:০০ পিএম
প্রিন্ট সংস্করণ
শরীফুর রহমান ও মোস্তফা কামাল। ছবি: যুগান্তর
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) ৫১ নম্বর ওয়ার্ডে আবাসিক পরিবেশ নিশ্চিতের প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীসহ সম্ভাব্য কাউন্সিলর প্রার্থীরা।
পাশাপাশি ভোটারদের আশ্বাস দিচ্ছেন উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষা করার। এছাড়া এ ওয়ার্ডকে ঢাকা উত্তরের সেরা ওয়ার্ড হিসেবে গড়ে তোলারও অঙ্গীকার করেন তারা।
উত্তরা মডেল টাউনের সেক্টর ১১, ১২, ১৩ ও ১৪ এবং পার্শ্ববর্তী গ্রাম আহালিয়া, দলিপাড়া ও বাইলজুরীর বিভিন্ন অংশ নিয়ে ৫১ নম্বর ওয়ার্ড গঠিত। ওয়ার্ডের ভোটার সংখ্যা ২৬ হাজার হলেও এখানে কয়েক লাখ লোকের বসবাস।
ভদ্র ও ক্লিন ইমেজের কাউন্সিলরখ্যাত শরীফুর রহমানের আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন নিশ্চিত হওয়ায় নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন একই দলের অর্ধডজন সম্ভাব্য প্রার্থী।
তবে স্বতন্ত্র বা অন্য কোনো দলের প্রার্থীদের তেমন একটা কার্যক্রম চোখে না পড়লেও বিএনপির ত্যাগী কর্মী হিসেবে পরিচিত উত্তরা পশ্চিম থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মোস্তফা কামাল হৃদয় দলীয় মনোনয়ন পেতে ও ওয়ার্ডে নির্বাচনী তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন।
এ ওয়ার্ডে উত্তরা মডেল টাউনের গুরুত্বপূর্ণ ৪টি সেক্টর থাকলেও এখনও ড্রেনেজ ও স্যুয়ারেজ ব্যবস্থা অপ্রতুল। অনেক রাস্তাঘাট এখনো ভাঙা। অভিজাত আবাসিক এলাকা হওয়া সত্ত্বেও আবাসিক পরিবেশ নষ্ট করে এখানে গড়ে উঠেছে বাণিজ্যিক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান।
হাসপাতাল-ক্লিনিক স্কুল-কলেজসহ রকমারি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। এতে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন এলাকাবাসী। এখনও ওয়ার্ডে কোথাও কোথাও চুরি-ছিনতাই ও মাদকের বেচাকেনা হচ্ছে।
আবাসিক প্লটে গড়ে উঠেছে বস্তিঘর, টং দোকান। কোথাও কোথাও ফুটপাত দখল করে কাপর জুতা ও নিত্য ব্যবহারের জিনিসপত্রের পসরা সাজিয়ে বিক্রি করছে হকাররা।
আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও ৫১ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর শরীফুর রহমান যুগান্তরকে বলেন, গত মার্চে নির্বাচিত হয়ে অল্প সময়েই এলাকার ব্যাপক উন্নয়নের লক্ষ্যে ইতিমধ্যেই বেশকিছু কার্যক্রম হাতে নিয়েছি। ৫১ নম্বর ওয়ার্ডকে মডেল ওয়ার্ড হিসেবে গড়ে তুলতে সম্ভাব্য যা কিছু দরকার তা করার উদ্যোগ নিয়েছি।
স্বতঃস্ফূর্তভাবে এলাকাবাসীও আমাকে সবরকম সহযোগিতা করছেন। এলাকার ভাঙা রাস্তাঘাট অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সংস্কার শুরু হয়েছে। বেশ কিছু ড্রেনেজ ও স্যুয়ারেজের নির্মাণকাজ চলছে।
উন্নয়ন খাতে তেমন একটা বাজেট এখন পর্যন্ত বরাদ্দ না হলেও নিজের চেষ্টায় এবং পকেটের পয়সায় এলাকাবাসীকে সবরকম সেবা দিয়ে যাচ্ছি। এলাকার নিরাপত্তাসহ প্রতিদিন এমনকি মাঝরাত পর্যন্ত যেখানে সমস্যা সেখানেই ছুটে যাচ্ছি।
এলাকাবাসীর দ্বারে দ্বারে গিয়ে তাদের সমস্যা জানার চেষ্টা করে তা সমাধান করতে চেষ্টা করছি। এলাকাবাসী আমাকে পুনরায় নির্বাচিত করলে তাদের নিয়ে এলাকার আবাসিক পরিবেশ নিশ্চিত করার পাশাপাশি যে সমস্যাগুলো আছে তা খুঁজে বের করে সমাধান করব।
বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে বিশ্বাসে আমাকে মনোনয়ন দিয়েছেন সে বিশ্বাস আমি অক্ষরে অক্ষরে পালন করব, এটা আমার অঙ্গীকার।
বিএনপির দুঃসময়ের ত্যাগী কর্মী হিসেবে পরিচিত উত্তরা পশ্চিম থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি ও ৫১ নম্বর ওয়ার্ডে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী মোস্তফা কামাল হৃদয় যুগান্তরকে জানান, দেশকে ভালোবাসি, এলাকাবাসীকে ভালোবাসি এবং দলকে ভালোবাসি।
তাইতো যেকোনো প্রতিকূল অবস্থায়ও দলের সঙ্গে নিঃস্বার্থভাবে থেকে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করছি। অর্ধশতাধিক ভুয়া ও কাল্পনিক মামলা কাঁধে নিয়ে একনিষ্ঠভাবে দলের কর্মী হিসেবে কাজ করে যাচ্ছি।
আমাকে যদি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি মনোনয়ন দেয় এবং এলাকাবাসী কাউন্সিলর হিসেবে নির্বাচিত করেন, তবে এ এলাকাকে সিসিটিভির আওতায় এনে শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত করব। এলাকার যাবতীয় সমস্যা সমাধান করে আবাসিক পরিবেশ নিশ্চিত করব।