২০২৩ সালের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল রোববার প্রকাশ করা হয়েছে। এতে ভালো ফল করে উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠেন অনেকেই। সঙ্গে ছিলেন অভিভাবক ও শিক্ষকরা। আনন্দ ভাগাভাগি করতে কলেজ ক্যাম্পাসে সেলফি তোলাসহ বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে উচ্ছ্বাস করেন উত্তীর্ণরা। কেউ কেউ আবার কাঙ্ক্ষিত ফল না পেয়ে হতাশায় মুষড়ে পড়েন। যুগান্তর ব্যুরো ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর : টাঙ্গাইলের মধুপুর শহীদ স্মৃতি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় সাফল্যের ধারাবাহিকতায় উপজেলা পর্যায়ে এবারও শ্রেষ্ঠত্ব বজায় রেখেছে। এ কলেজ থেকে বিজ্ঞানে ৭৭, মানবিকে ১০৭ এবং ব্যবসায় শিক্ষায় ৫জন জিপিএ ৫ পেয়েছে। এছাড়া মধুপুর সরকারি কলেজ থেকে ৬৯ জন জিপিএ ৫ পেয়েছে। কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডে এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় পাসের হার ৭৫ দশমিক ৩৯ শতাংশ। যা গত দুই বছরের তুলনায় কম। ফলাফলে ছেলেদের তুলনায় এগিয়ে আছে মেয়েরা। জিপিএ-৫ পেয়েছে পাঁচ হাজার ৬৫৫ জন। ময়মনসিংহ বোর্ডে পাসের হার এবং জিপিএ-৫ প্রাপ্তিতে এগিয়ে আছে মেয়েরা। জিপিএ-৫ প্রাপ্ত পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ছাত্র সংখ্যা ১ হাজার ৪০৫ জন এবং ছাত্রীর সংখ্যা ১ হাজার ৮৩৯ জন। পাসের হার ৭০.৪৪ শতাংশ। আর জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে। নালিতাবাড়ীতে এইচএসসি পরীক্ষায় এবার পাশের হারে এগিয়ে রয়েছে হাজী নূরল হক নন্নী পোড়াগাঁও মৈত্রি কলেজ। আর জিপিএ-৫ এ এগিয়ে রয়েছে শহীদ আব্দুর রশীদ মহিলা কলেজ। দৌলতখানে সরকারি আবু আবদুল্লাহ কলেজের ৭ জন ও দৌলতখান মহিলা কলেজের ৩ জন পরীক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছেন। কমলগঞ্জে শমশেরনগর বিএএফ শাহীন কলেজে ১১১ জন, সরকারি গণ-মহাবিদ্যালয়ে ২ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে। কাউনিয়া কলেজে ৩৮ জন, হারাগাছ সরকারি কলেজে ১০ জন, মীরবাগ কলেজের ৯ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে। হাজীগঞ্জে এইচএসসিতে ৮৯ জন, আলীমে মাদ্রাসা থেকে ২৮ জন ও এইচসিসি বিএম শাখা থেকে ৬৩ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে। ফেনী গার্লস ক্যাডেট কলেজ ৫৭ শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে শতভাগ জিপিএ-৫ পেয়েছে। ফেনী সরকারি কলেজে ১৭২ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে। দাগনভূঞায় দরবেশেরহাট পাবলিক কলেজ ধারাবাহিকভাবে পাশের হার শতভাগ। মোট পরীক্ষার্থী ১২২ জনের মধ্যে জিপিএ ৫ পেয়েছে ৪ জন। ইকবাল মেমোরিয়াল সরকারি ডিগ্রি কলেজে ৭৯৪ পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছে ৫৪২ জন। জিপিএ৫ পেয়েছে ৫ জন। বাগাতিপাড়ায় ১৭৮ জন জিপিএ-৫ পেয়ে উপজেলায় শীর্ষ স্থান দখল করেছে কাদিরাবাদ ক্যান্টনমেন্ট স্যাপার কলেজ। মোট ৩৭২ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে শতভাগ উত্তীর্ণ হয়েছে। বাগাতিপারা সরকারি কলেজে ১৪৪ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে ৮৮ জন পাশ করলেও কেউ জিপিএ-৫ পায়নি। চরভদ্রাসনে সরকারি কলেজ থেকে ৩৫৪ জন ছাত্রছাত্রীর জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা সবাই মেয়ে এবং মানবিক বিভাগের ছাত্রী। ফরিদগঞ্জে গৃদকালিন্দিয়া হাজেরা হাসমত ডিগ্রি কলেজ থেকে ৮ জন, গল্লাক আদর্শ ডিগ্রি কলেজ থেকে ৪ জন, শোল্লা স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে ৪ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে। ভোলায় এবারও জেলার সেরা হয়েছে বাংলাবাজার ফাতেমা খানম কলেজ এবং চরফ্যাশন অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম কলেজ। পাশের হার ৯৮ ও ৯৭। জিপিএ-৫ পাওয়ার দিকে সেরা হয়েছে চরফ্যাশন সরকারি কলেজ। ওই কলজে জিপিএ ৫ পেয়েছে ১২০টি। চাঁদপুর সরকারি কলেজ থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৫৯ জন। চাঁদপুর সরকারি মহিলা কলেজ থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১১১ জন। পুরান বাজার ডিগ্রি কলেজ থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৯১ জন। নরসিংদীর আবদুল কাদির মোল্লা সিটি কলেজ ১ হাজার ৯৯ জন পরীক্ষার্থীয় অংশ নিয়ে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ হাজার ৪৭ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে ৬৬৬ জন, ব্যবসায় শিক্ষা শাখা থেকে ১৫৭ জন এবং মানবিক শাখা থেকে ২২৪ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে। গোমস্তাপুরে ৪০টি জিপিএ-৫ পেয়ে শীর্ষে রয়েছে রহনপুর ইউসুফ আলী সরকারি কলেজ। ৫টি জিপিএ-৫ পেয়ে ২য় স্থানে রয়েছে আলিনগর স্কুল ও কলেজ এবং ৪টি জিপিএ-৫ পেয়ে ৩য় স্থানে রয়েছে রহনপুর মহিলা কলেজ। বড়লেখায় এবারও উপজেলায় প্রথম হয়েছে এম. মুস্তাজিম আলী কলেজ। এই কলেজের ১৩২ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে পাশ করেছে ১১৭ জন। গৌরীপুরে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৮ জন। এরমধ্যে এইচএসসিতে পরীক্ষা দেয় ২ হাজার ৯৪ জন। পাশ করেছে ৮৪১ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৮ জন। অপরদিকে মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ডে আলিম পরীক্ষার্থী ২১৬ জন। পাশ করে ১৯১ জন। পাশের হার ৮৮.৪২ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৯ জন। জয়পুরহাট গার্লস ক্যাডেট কলেজে ৪৭ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে সবাই পাস করেছে। মধ্যে ৪৬ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে। জয়পুরহাট সরকারি কলেজে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৬০ জন। দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডে গত তিন বছরের তুলনায় কমেছে পাশের হার ও জিপিএ-৫ প্রাপ্তির সংখ্যা। পাশাপাশি কমেছে শতভাগ পাশকৃত কলেজের সংখ্যা, বেড়েছে একজনও পাশ করেনি-এমন কলেজ। তবে এবারও ছাত্রদের তুলনায় এগিয়ে রয়েছে ছাত্রীরা। ছাত্রী জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩ হাজার ৩৯৪ জন এবং ছাত্র জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩ হাজার ৬৫ জন। দুর্গাপুরে কলেজ পর্যায়ে পাশের হার ৭০.৫৮ এবং মাদ্রাসা পর্যায়ে পাশের হার ৮১.৫৪%। মীরসরাইয়ে আবুতোরাব প্রফেসর কামাল উদ্দিন চৌধুরী কলেজে ৪৪ জন, মহাজনহাট এফ রহমান কলেজে ৬৬ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে। আমতলী সরকারি কলেজ থেকে ১১৬ এবং বকুলনেছা মহিলা ডিগ্রি কলেজে ১০ জন পরীক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে। জুড়ীতে তৈয়বুন্নেছা খানম সরকারি কলেজে ৭ জন হযরত শঅহ নিমাত্রা (র.) সাগরনাল ফুলতলা ডিগ্রি কলেজে ১ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে। চিলমারীতে সর্বমোট জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১৪ জন। এর মধ্যে গোলাম হাবিব মহিলা ডিগ্রি কলেজ থেকে ১১ জন, চিলমারী মহিলা ডিগ্রি কলেজে ২ জন ও সর্বনিম্ন অবস্থানে চিলমারী সরকারি কলেজে ১জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছেন।