
প্রিন্ট: ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:১৭ এএম

খোরশিদুল আলম মজিব, ত্রিশাল (ময়মনসিংহ)
প্রকাশ: ২০ জানুয়ারি ২০২৩, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
আরও পড়ুন
তিন বছর আগে কিডনি বিকল হয়ে মারা যান সোবহান মিয়া। বাবার মৃত্যুর পর সংসারের হাল ধরতে গার্মেন্টকর্মী হিসাবে কাজ শুরু করেন মা আমেনা বেগম। তবে দুই সন্তানের দেখভাল করতে চাকরিটাও ছেড়ে দিতে হয়েছে তাকে। তারপর থেকে অন্যের বাড়িতে কাজ করে কোনো রকমে চলেছে সংসার। তবে দ্রব্যমূল্যের এই ঊর্ধ্ব গতিতে অসহায় হয়ে পড়েন আমেনা। গত শুক্রবার বড় মেয়ে মরিয়মসহ আত্মহত্যা করেন আমেনা বেগম। বাবা-মা-বোনহারা বাকরুদ্ধ ফাতেমা যেন বারবার এদিকে ওদিকে তাকিয়ে খুঁজে ফেরে আপন কাউকে।
জানা গেছে, অভাব-অনটন নিয়ে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়া আমেনা গত শুক্রবার রাতে নিজ ঘরের দরজা বন্ধ করে দুই মেয়েসহ বিষ পান করেন। কিছুক্ষণ পর মায়ের অস্বস্তি দেখে ভিতর থেকে দরজা খুলে দেয় পাঁচ বছরের শিশু ফাতেমা। হাসপাতালে নেওয়ার পথে মা আমেনা খাতুনের মৃত্যু হয়। গফরগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্স থেকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে বোন মরিয়মও পাড়ি দেয় না ফেরার দেশে। মা-বোনকে হারিয়ে নানির কাছে জায়গা হয়েছে পাঁচ বছরের শিশু ফাতেমার। খবর পেয়ে ত্রিশালের বালিপাড়া ইউনিয়নের ধলা গ্রামের শিশু ফাতেমার দায়িত্ব নিয়েছেন ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসক মোস্তাফিজার রহমান।