দক্ষিণবঙ্গের মানুষের স্বপ্ন বাস্তবায়ন
কাউখালীর বেকুটিয়া সেতু দৃশ্যমান
কাউখালী (পিরোজপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১২ জানুয়ারি ২০২২, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
দক্ষিণবঙ্গের মানুষের স্বপ্নের দ্বার খুলবে ২০২২ সালে। পদ্মা সেতুর বাস্তবায়নের পর এবার বেকুটিয়া সেতু উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে স্বপ্ন পূরণ হবে। কাউখালীর বেকুটিয়া বরিশাল-খুলনা আঞ্চলিক মহাসড়কের বেকুটিয়া-কুমিরমারা পয়েন্টে কঁচা নদীর ওপর অস্টম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতুর নির্মাণ কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। ব্রিজের ৮০ ভাগ কাজ ইতিমধ্যে সম্পন্ন করেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
সেতুর সুপার স্ট্রাকচার এবং অ্যাপ্রোচ ও সড়কের নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার পথে। এ বছরের জুন মাসে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলবাসীর স্বপ্নের এই বেকুটিয়া সেতু উদ্বোধনের আশা করছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। সেতুটি চালু হলে বরিশাল-পিরোজপুর-বাগেরহাট-খুলনা, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরের সঙ্গে যাতায়াতে সময় অনেক কমবে। এবং এই অঞ্চলের বাণিজ্যিক সুবিধা বৃদ্ধি পাবে। এমনকি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে বাংলাদেশের দক্ষিণবঙ্গের বরিশাল থেকে পায়রা পর্যন্ত নিরবচ্ছিন্ন সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার স্বপ্নের দুয়ার খুলে যাবে। বেকুটিয়া ফেরিঘাটে দীর্ঘদিন দুর্ভোগের শিকার পরিবহণ, পরিবহণ শ্রমিক ও সাধারণ যাত্রীরা জিম্মি দশা থেকে মুক্তি পাবে।
জি টু জি পদ্ধতিতে সেতু নির্মাণের দায়িত্ব পায় চীনের ‘চায়না রেলওয়ে সেভেনটিন ব্যুরো গ্রুপ কোম্পানী লিমিটেড’। সেতু নির্মাণে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৮৯৮ কোটি টাকা। এর মধ্যে ৬৫৪ কোটি টাকা গ্রান্ড অনুদান দিয়েছে চীন সরকার। বাকি ২৪৪ কুটি টাকার জোগান দিচ্ছে বাংলাদেশ সরকার। ৪২৯ মিটার ভায়াডাক্টসহ সেতুর দৈর্ঘ্য ১ হাজার ৪২৭ মিটার এবং প্রস্থ ১০ দশমিক ২৫ মিটার (ডবল লেন)। মূল সেতুর দৈর্ঘ্য ৯৯৮ মিটার। ১০টি পিলার এবং ৯টি স্প্যানের ওপর দাঁড়িয়ে আছে বক্স গার্ডার টাইপ এই সেতু। ৯টি স্প্যানের ৭টি ১২২ মিটার এবং ৭২ মিটার স্প্যান রয়েছে ২টি। ২০২২ সালের জুনে প্রকল্প মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু প্রকল্পের ব্যবস্থাপক ও বরিশাল সড়ক ও জনপথের নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুম মাহমুদ সুমন জানিয়েছে, কঁচা নদীর ওপর সেতু নির্মাণ প্রায় শেষ পর্যায়ে। এতে এই অঞ্চলের ব্যবসা-বাণিজ্য এবং পর্যটনে গতি আসবে বলে আশা করেন তিনি। অস্টম চীন-বাংলাদেশ মৈত্রী সেতু নির্মাণে দেশি-বিদেশি প্রকৌশলী ও শ্রমিক দিনরাত সেতু নির্মাণ কাজ করছে।