Logo
Logo
×

বাংলার মুখ

চাঁদপুর-লাকসাম রেলপথে দখলদারিত্ব চলছেই

Icon

চাঁদপুর প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৬ নভেম্বর ২০১৯, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

চাঁদপুর-লাকসাম রেলপথের দু’পাশ দিন দিন অবৈধ দখল আর বিভিন্ন স্টেশন এলাকা ময়লার স্তূপে পরিণত হচ্ছে। উন্নয়ন হয়েছে রেল সড়কের কিন্তু সংকট রয়ে গেছে নানা স্তরে। চাঁদপুরে রেলপথের বিভিন্ন স্থানে রেলওয়ের সম্পত্তি যে যার মতো করে দখল করে দোকানপাট নির্মাণ করছেন। আবার অনেকে বসতঘর তুলে বসবাস করছেন। এলাকার প্রভাবশালীসহ রাজনৈতিক ব্যক্তি ও বিত্তবানরা এ দখলদারিত্বের সঙ্গে জড়িত। আবার অনেক রাজনৈতিক ব্যক্তি ও বিত্তবান নিজে সরাসরি দখল প্রক্রিয়ায় না গিয়ে অন্যের মাধ্যমে দখল করছেন সরকারি এ সম্পত্তি। এর ফলে দিন দিন যাত্রীসেবার মান ও স্টেশন এলাকার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। চাঁদপুর শহরের প্রাণকেন্দ্র কালীবাড়ি কোর্ট স্টেশনটির সামনে ও পেছন যেন ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। হকাররা ফলসহ নানা কিছু নিয়ে পুরো প্লাটফর্ম দখল করে রেখেছেন। দেখলে মনে হবে এ যেন একটি বাজার। কোনো নিয়ম নেই এখানে। জিআরপি পুলিশকে এদের দেখেও না দেখার ভান করে চলে যেতে দেখা যায়। চাঁদপুর-লাকসাম রেলপথের স্টেশনগুলোতে একসময় যাত্রীর উপস্থিতিতে থাকত সরগরম। কিন্তু যাত্রীসেবার মান ও এ রুটে বিভিন্ন ট্রেন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় যাত্রী সংখ্যা কমেছে বহুলাংশে। চাঁদপুর-লাকসাম রুটে ট্রেন চলাচল সংখ্যা কমে মাত্র দুটিতে এসে দাঁড়িয়েছে। এতে চলাচল করা যাত্রীরা দুর্ভোগে পড়ছেন। এদিকে গত আট বছরে চাঁদপুর-লাকসাম রেল সড়কের শাহতলী, বলাখাল ও শাহরাস্তিসহ কয়েকটি স্টেশন বন্ধ হয়ে গেছে। এছাড়া এ লাইনের আরও ৫-৬টি স্টেশন বন্ধ হওয়ার পথে। অন্যদিকে বন্ধ হয়ে যাওয়া ট্রেনগুলো হচ্ছে- চাঁদপুর-লাকসাম রুটে ডেমু কমিউটার দুটি ও চাঁদপুর-ভৈরব রুটে লোকাল দুটি। অপরদিকে রেল যন্ত্রাংশ, পাথর-স্লিপার, ফিসপ্লেট-ক্লিপ স্বল্পতাসহ রেল সড়ক উন্নতীকরণ করা হলেও যাত্রীসেবার মান বাড়েনি। স্টেশনে পর্যাপ্ত বসার স্থান নেই, নেই পাবলিক টয়টেল। এছাড়া ট্রেনে হকার, হিজড়া ও ভিক্ষুকের যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ হয়ে পড়েন যাত্রীরা।

সহকারী স্টেশন মাস্টার শিমুল মজুমদার বলেন, রেলের কার্যক্রম ডিজিটাল হয়ে গেছে। এখন আর আগের মতো টিকিট কালোবাজারি নেই। এছাড়া চাঁদপুর-লাকসাম রেল সড়কের অনেক উন্নয়ন হয়েছে। আমাদের কাছে যাত্রী হয়রানির কোনো অভিযোগ কখন আসেনি। ট্রেনে কোনোভাবে যেন যাত্রী হয়রানি না হয় সেজন্য ট্রেনের দায়িত্বরতদের আমরা সতর্ক করে থাকি। চাঁদপুর বড়স্টেশন রেলের সহকারী স্টেশন মাস্টার শোহেব বলেন, চাঁদপুর-লাকসাম ৫৭ কিলোমিটার রেল সড়ক উন্নতি হওয়ার পর থেকে চাঁদপুরে ট্রেনের টাইম সিডিউল কখনই বিপর্যস্ত হয়নি। সঠিক টাইমে সব ট্রেন চলে আসে। রেলের টিকিট কালোবাজারি, রেলস্টেশনে মালামাল ওঠা-নামায় সিন্ডিকেট ও অনিয়ম, যাত্রী ভোগান্তি রোধে আমরা চেষ্টা করছি। রেলওয়ে ঊর্ধ্বতন উপ-সহকারী প্রকৌশলী (পথ) লিয়াকত আলী মজুমদার বলেন, ইঞ্জিন ও বগি সংকটে চাঁদপুর-লাকসাম নয়, অন্যান্য জেলার ট্রেনও কমে গেছে। চাঁদপুর-লাকসাম রেলপথ উন্নতি হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সব স্টেশন আধুনিকায়ন করা হবে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম