ফেসবুকে তরুণীদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে টাকা আদায়
মৌলভীবাজার প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৬ আগস্ট ২০১৯, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
প্রবাসী ব্যক্তিদের নাম ও ছবি ব্যবহার করে ফেসবুকে ভুয়া আইডি খুলে নারীদের ফাঁদে ফেলে ব্ল্যাকমেইল করত জাহাঙ্গীর। ইতিমধ্যে একাধিক তরুণীর কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছেন লাখ লাখ টাকা। শাহ জাহাঙ্গীর আলীর বাড়ি সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলার ফকিরাবাদ গ্রামে। সে শাহ কলমদর আলী মাস্টারের ছেলে। শনিবার রাতে সিআইডি সাইবার সেন্টার মৌলভীবাজার জেলা পুলিশের সহায়তায় সদর উপজেলার সরকারবাজার থেকে গ্রেফতার করা হয় জাহাঙ্গীরকে। তারপরই জাহাঙ্গীরের বিভিন্ন প্রতারণার কাহিনী বেরিয়ে আসতে থাকে। তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা রয়েছে। সিআইডি’র সাইবার পুলিশ সেন্টার জানায়, জাহাঙ্গীর প্রবাসী কোনো ব্যক্তির ফেসবুক আইডি থেকে তথ্য ও ছবি সংগ্রহ করে সেই ছবি দিয়ে ভুয়া আইডি তৈরি করেন। এরপর ওই ভুয়া আইডি দিয়েই তরুণীদের ফ্রেন্ডলিস্টে যুক্ত হতেন। পরবর্তীতে নিজেকে প্রবাসী ও সম্পদশালী পরিচয় দিয়ে তরুণীদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলতেন জাহাঙ্গীর। ফেসবুকে যোগাযোগের কিছুদিন পর তরুণীকে পছন্দ হয়েছে বলে বিয়ের প্রস্তাব পাঠাতেন। অভিভাবকদের দেখানোর কথা বলে তরুণীদের কাছ থেকে তার ও তার পরিবারের ছবি সংগ্রহ করতেন জাহাঙ্গীর। যেসব তরুণীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলতেন, তাদেরকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে কৌশলে তাদের একান্ত ছবি সংগ্রহ করতেন প্রতারক জাহাঙ্গীর। এরপর এসব ছবি ভিকটিমের ম্যাসেঞ্জারে পাঠিয়ে টাকা দাবি করতেন তিনি। নিজের একাধিক ভুয়া ফেসবুক আইডির মাধ্যমে এসব নগ্ন ছবি প্রকাশ করে তরুণীদের সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করার হুমকি দিয়ে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে টাকা আদায় করতেন জাহাঙ্গীর। সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খায়রুল আলম যুগান্তরকে বলেন, সম্প্রতি একজন ভুক্তভোগী জাহাঙ্গীর সম্পর্কে লিখিত অভিযোগ করেন। এরপর শনিবার রাতে তাকে গ্রেফতারের পর তার একাধিক আইডি বিশ্লেষণ করে এখন পর্যন্ত একশ’র বেশি তরুণী-কিশোরীর নগ্ন ছবি ও ভিডিও পাওয়া গেছে।