Logo
Logo
×

বাংলার মুখ

তিস্তা কুড়িগ্রাম রমনা রেলপথ বেহাল

Icon

রংপুর ব্যুরো

প্রকাশ: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

মাটি সরে গেছে, পাথর নেই, ভাঙা কাঠের স্লিপার, দুর্বল সিগন্যালিং ব্যবস্থা আর কর্মকর্তা-কর্মচারী সংকটের মধ্য দিয়ে চলছে তিস্তা-কুড়িগ্রাম-রমনা রেল যোগাযোগ। এ পরিস্থিতিতে মনে হয় রেলওয়ের লালমনিরহাট ডিভিশনের এ রেলপথটি যেন অভিভাবকহীন। ইতিমধ্যেই এ রুটে বন্ধ হয়ে গেছে রমনা মেইলসহ তিনটি ট্রেন। চালু আছে শুধু রমনা লোকাল এবং একটি শাটল ট্রেন। কর্মচারী সংকটের কারণে স্টেশনে ট্রেনের হুইসেল শুনে সিগন্যাল ডাউন এবং আপ করা হয়। এই রেলপথের ৮টি স্টেশনের মধ্যে শুধু একটিতে একজন স্টেশন মাস্টার আছেন। বাকি সাতটিতে বুকিং সহকারীরাই একাধারে স্টেশন মাস্টার, পয়েন্টার, সিগন্যাল আপ-ডাউনার, ঝাড়ুদারের কাজ করে এ রেলপথে যাত্রী সেবা দিচ্ছেন।

তাই এখন এই রেলপথ চালু, পর্যাপ্ত জনবল নিয়োগ ও সেবার মান বাড়ানোসহ রেলপথের সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছে এলাকাবাসী। আন্দোলনকারীরা বন্ধ করে দেয়া তিনটি ট্রেনসহ ভাওয়াইয়া এক্সপ্রেস নামের একটি আন্তঃনগর ট্রেন চালু করে ট্রেন চলাচল নিশ্চিতের পাশাপাশি সরকারের রাজস্ব বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন। রেলওয়ের লালমনিরহাট ডিভিশনের রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ বলছেন, এ ধরনের কোনো উদ্যোগ তাদের নেই। সরেজমিন অনুসন্ধান ও সংশ্লিস্ট সূত্রে জানা গেছে, তিস্তা-রমনা রেলপথের বর্তমানে সর্বোচ্চ গতি ৮ থেকে ১০ কিলোমিটার। এ রুটে রমনা লোকাল ট্রেন চালু থাকলেও সেটির সিডিউল নেই। সকাল ১০টার ট্রেন আসে কখনও ১২টায়, কখনও বিকেলে। কখনও রাতে। এ রুটের ট্রেন লাইনের ৭০ ভাগ স্থানেরই পাথর নেই। কাঠের স্লিপার ভেঙে গেছে। সেগুলো ক্ষয়ে গেছে।

রেল-নৌ, যোগাযোগ ও পরিবেশ উন্নয়ন গণকমিটি, কুড়িগ্রাম-লালমনিরহাটের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি নাহিদ হাসান নলেজ বলেন, আমরা ট্রেনে যাতায়াত করতে চাই।

এসব বিষয়ে লালমনিরহাট রেলওয়ে ডিভিশনের ম্যানেজার মিজানুর রহমান বলেন, ভাওয়াইয়া এক্সপ্রেস নামের কোনো আন্তঃনগর ট্রেন চালু কিংবা রেল রুট সংস্কারের ব্যাপারে বর্তমানে কোনো উদ্যোগ নেই।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম